ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী নির্দেশ ছাড়াই পেট্রোল পাম্প বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

 সরকারী নির্দেশ ছাড়াই পেট্রোল পাম্প বন্ধের ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী কোন নির্দেশনা না থাকলেও নির্বাচনের আগের দিন আজ শনিবার তেল এবং সিএনজি সরবরাহ বন্ধ রাখছে কোন কোন পাম্প। নির্বাচনের দিন তেল এবং সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ থাকলেও তার আগের দিন বন্ধ রাখার বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বলা হচ্ছে যেহেতু আজ শনিবার রাত থেকে পরিবহন বন্ধ থাকবে তাই তেল বিক্রি হবে না। এজন্য ভোটগ্রহণের দিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সূত্র বলছে, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কোন কোন পাম্প নোটিস দিয়ে ২৯ এবং ৩০ তারিখ তাদের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এর জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্যিক) আবু হানিফ জানান, তেল বিক্রি বন্ধ নয়। আজ শনিবার তেল সরবরাহ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী আমরা শুধু ৩০ তারিখ ছুটির দিন তেল সরবরাহ বন্ধ রাখব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সরকারী ছুটির দিনে তেলের ডিপো বন্ধ থাকে। টানা সরকারী ছুটি পড়ায় তেল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। তেল কিনতে হলে ডিপোর সঙ্গে ব্যাংকও খোলা থাকতে হয়। ফলে জ¦ালানি তেলের সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। জানতে চাইলে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, সরকারীভাবে এ ধরনের কোন নির্দেশনা নেই। তার নিজের পাম্পও খোলা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, শুধুমাত্র পরিবহন না থাকার কারণে রবিবার তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। তবে টানা সরকারী বন্ধের কারণে ব্যাংক এবং ডিপো বন্ধ থাকায় অনেকে তেল তুলতে পারেনি। এ কারণে কিছুটা সঙ্কট তৈরি হতে পারে। কারও কারও তেল শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য বিক্রি বন্ধ থাকতে পারে। তবে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পরিবাগে মেঘনা তেল বিপণন কোম্পানির সরকারী পাম্পেই তেল বিক্রি দুদিনের জন্য বন্ধের নোটিস ঝুলানো হয়েছে। সরকারী বিপণন কোম্পানির ডিপো হওয়াতে তাদের আর্থিক সঙ্কট বা তেলের সঙ্কট হওয়ার কোন কথা নয়। এদিকে সিএনজি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর জানান, তারা সিএনজি বিক্রি বন্ধ রাখার কোন নোটিস দেননি। কিন্তু অনেক স্টেশন মালিকই ভোটের জন্য কর্মীদের ছুটি দিয়েছেন। কর্মীরা বাড়ি ভোট দিতে যাবেন বলেই এই ছুটি দেয়া হয়েছে। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, আমি বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার একটি স্টেশনে সিএনজি নিতে গেলে জানতে পারি ২৯ এবং ৩০ দুদিন কর্মীদের ছুটি দেয়া হয়েছে।
×