ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষ উন্নয়নের পক্ষে

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

 মানুষ উন্নয়নের পক্ষে

কে চায় অবনতি, ধ্বংস? কে চায় আগুন সন্ত্রাস? পাগলেও নিজের ভাল বোঝে। যার অন্তরে সামান্য হলেও আছে দেশপ্রেম সে কখনই দেশের ক্ষতি চাইবে না। সে চাইবে তার পরমপ্রিয় মাতৃভূমি সামনের দিকে এগিয়ে যাক, মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুক। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া দেশের সুনাম অব্যাহত থাক, তার মর্যাদা সমুন্নত থাক। কোনভাবেই যেন দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়। তাই সুস্থ মানুষ সব সময়েই উন্নয়নের পক্ষে। আর উন্নয়নের জন্যই তো আমাদের এক সাগর রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করা। পশ্চিম পাকিস্তানীরা আমাদের ওপর শোষণ চালাত, আমাদের সম্পদ লুটে তারা থাকত সুখে ও বিলাসিতায়। যত উন্নয়ন হতো সব ওই পশ্চিম পাকিস্তানে। তৎকালীন পাকিস্তানের অপর অংশ, অর্থাৎ আমাদের বাংলাদেশ পড়ে থাকত অনুন্নয়নের স্থবিরতায়। আমরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম আর উন্নয়ন হোক দেশের, এমনটা আকাক্সক্ষা ছিল বলেই শত্রুরেও হটিয়ে আমার স্বাধিকার স্বাধীনতার দিয়ে এগিয়েছিলাম। কিন্তু যারা সেই সংগ্রামে পরাস্ত প্রতিপক্ষ, যারা পাকিস্তানপন্থী, যারা দেশের প্রকৃত উন্নয়ন চায় না- তারা এখনও এই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনতা যে তাদের সঙ্গে নেই, তারা উন্নয়নের পক্ষে - এই সত্য বার বার সামনে চলে আসছে। বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন সংক্রান্ত জরিপের ফল প্রকাশ করে গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র- আরডিসি। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮ আসন নিয়ে আবারও সরকার পরিচালনায় আসছে বলে আভাস মিলেছে ওই জরিপে। ওই জরিপের ফলে ড. কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯ ও অন্যরা তিনটি আসন পাবে বলে জানানো হয়েছে। মানুষ যে উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে সেটি বার বার প্রমাণিত হবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। দেশের মানুষ জানে কীসে তার কল্যাণ, কীসে দেশের প্রকৃত উন্নতি। তবে সুনীতি, সদিচ্ছা ও শুভচিন্তার বিপক্ষে ধ্বংসাত্মক শক্তি তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ভিডিও কনফারেন্সে তিনটি পৃথক নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনার বক্তব্যেও উঠে এসেছে তাদের শান্তি বিনষ্টের পাঁয়তারার বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেছেন, আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, বোমা হামলা করে যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচার মিছিলের ওপর হামলা করছে। আমাদের নির্বাচনী অফিস পোড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অনেক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের জোটের হাতে। তিনি যথার্থই বলেন, যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে তারা সেখানেই হামলা করে যাচ্ছে। দেশের ৫১ জেলায় ৪৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যাচ্ছে। বোমা হামলা করে যাচ্ছে। আসলে এটাই তাদের চরিত্র, সেটা তারা করে যাচ্ছে। আগামীকাল জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী বন্ধ হয়ে গেছে নির্বাচনী প্রচার। এখন ভোট প্রদানের অপেক্ষা। গণরায় পাওয়ার অপেক্ষা। ইলেকশন কমিশন একটি ভাল নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য জাতির কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে উন্নয়নবিরোধী পক্ষ যতই চিৎকার করুক, দেশের সচেতন ও উন্নয়নকামী মানুষ সম্মিলিতভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথের যাবতীয় বাধা অপসারণ করবে, এমনটাই প্রত্যাশিত। আর তাদের রায় যে উন্নয়নের পক্ষেই যাবে- এতে কোন সংশয় নেই।
×