ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ॥ চড়া মূল্য দিতে হলো ২০১৮ সালে

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

 জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ॥ চড়া মূল্য দিতে হলো ২০১৮ সালে

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০১৮ সালে অনেক চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ গেছে হাজার হাজার মানুষের, ক্ষতি হয়েছে শত শত কোটি ডলারের। আর বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাধ্যমে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাবল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে মানুষ। সাহায্য সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইড এমন ১০টি দুর্যোগের তালিকা করেছে, যাদের এক একটির কারণেই হওয়া আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গড়ে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। খবর বিবিসির। বিজ্ঞানীরা জনিয়েছেন, ইউরোপ জুড়ে যে তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে তার জন্য মানুষের কারণে ঘটা বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সরাসরি দায়ী। তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে সৃষ্ট যেসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জীবন ও সম্পদের তাদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা হ্যারিকেন ফ্লোরেন্স ও মিশেল। এর প্রথমটিতে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ৭০০ কোটি ডলার। আর পরেরটির জন্য লোকসান হয়েছে আনুমানিক এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের। মানুষের কারণে হ্যারিকেন ফ্লোরেন্সের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দ্বিগুণ হয়েছে। একই ঘটনা হ্যারিকেন মিশেলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মানবসৃষ্ট কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় হ্যারিকেনের বৃষ্টির পানি উত্তপ্ত ছিল, যা এর গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে জাপানে হওয়া বন্যা। জাপান গ্রীষ্মকালেও প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে ২৩০ জন। এরপর সেখানে দেখা দেয় টাইফুন জেবি। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ই জাপানের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। ইউরোপে দেখা দিয়েছে রেকর্ড পরিমাণ তাপপ্রবাহ। গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির কারণেই তাপপ্রবাহের মতো দুর্যোগের প্রবণতা বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। ক্রিশ্চিয়ান এইডের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন কি যেসব স্থানে বিজ্ঞানীরা পূর্ণ গবেষণা এখনও করেননি, সেসব স্থানে খরা ও দাবানলের মতো ঘটনা ঘটার পেছনেও তাপমাত্রার বৃদ্ধির ভূমিকাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। সংস্থাটির পক্ষে কেট ক্র্যামার মন্তব্য করেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এমনভাবে কথা বলা হয় যেন এটি ভবিষ্যতের কোন একটি বিষয়।
×