ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৩:০১, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন

তৌহিদ আক্তার পান্না,ঈশ্বরদী ॥ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে এবার অতীতের যে কোন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে অনেক বেশী পরিমাণ ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী শামসুর রহমান শরীফ এমপি নির্বাচিত হবেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সচেতন মহল সুত্রে জানা গেছে। সুত্রমতে,এবার আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর সংখ্যা বেশী থাকায় তারা অনেক দিন ধরে মাঠে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন,দেশে একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অনেক প্রকল্প চলমান থাকা এবং আগামিতে আওয়ামীলীগ সরকারের নানা মুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সভা-সমাবেশ,গণসংযোগ,লিপলেট বিতরণ করে নির্বাচনী মাঠ আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রস্তুত করে তোলেন। এরই মধ্যে দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত হওয়ার পর সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগ নেতারা দ্বিধাদন্ব ভুলে নানা ভাবে নৌকার প্রার্থী শামসুর রহমান শরীফকে বিজয়ী করতে নির্বাচনী মাঠে গণসংযোগসহ সভা-সমাবেশ করে ভোটারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগে কোন দলীয় কোন্দল নেই। সকল নেতাকর্মীরা বাড়িতে,পাড়ায় ও মহল্লায় গিয়ে একযোগে কাজ করছেন। সকল প্রকার নেতাকর্মীরা নিজ বাড়ি থেকে শুরু করে নিকটস্থ চল্লিশ বাড়িতেও বার বার ভোট চেয়ে মাঠ প্রস্তুত করেছেন। বিগত বিশ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে শামসুর রহমান শরীফ পাবনা-৪ এলাকায় রুপপুর পরমাণু প্রকল্পের কাজসহ সকল বিভাগে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করায় সাধারণ মানুষ যেমন খুশী হয়েছেন,তার চেয়ে বেশী খুশি হয়েছেন সকল শ্রেণী পেশার ব্যবসায়ী,বুদ্ধিজীবিসহ সচেতন মহলের মানুষ।এছাড়াও বিগত সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি ঘটনা ও সমস্যাকে মোকাবেলা করেছেন ঠান্ডা মাথায়। এসব কারণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ মনে করেন যে,দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাবনা-৪ আসনের জন্য যেমন ভাল মানুষ ও যোগ্য নেতৃত্ব দরকার। তেমনি সু-শাসকেরও বিকল্প নেই এ আসনের জন্য।মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার দুরোদর্শিতার বিকল্প নেই। ঈশ্বরদীকে সিটি করপোরেশনে রুপান্তর, সরকারী কলেজে মাস্টার্স কোর্স,বিমান বন্দর,স্থল বন্দর,শিশুপার্ক,স্টেডিয়াম,রেল জংসনকে আধুনিকায়ন করা ও পেপার মিল চালু,রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ নানা প্রকার উন্নয়নের স্বপ্ন দেখায় বিভোর শামসুর রহমান শরীফ তাঁর আচার ,আচরণ,কর্মকান্ড ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রমান করেছেন তাঁর বিকল্প নেতৃত্ব নেই পাবনা-৪ আসনে। এসব নানা কারণে ভোটাররা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছেন এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ ভোটে তাকে বিজয়ী করবেন। শুধু তাই নয়,আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী,বিভিন্ন পেশাজীবি,ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক মহল ও ভোটাররা এবার ভোট কাস্টিংএ ও রেকর্ড সৃষ্টি করবেন। তারা ভোটারদের লিগ্যাল ভোটের মাধ্যমে বহু বছরের ইতিহাসে পাবনা-৪ আসনের প্রথম কেবিনেট মন্ত্রী ও মহা নায়ক ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের পক্ষে শতকরা ৯৫ থেকে ৯৮ ভাগ ভোট সংগহ করে দেশের সকল আসনের ভোট সংগ্রহের অতীতের সকল রেকর্ডকে অতিক্রম করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে চায়। সে জন্য সকল মহলে নৌকার পক্ষে দিনরাত কাজ করা হয়েছে। সুত্রমতে, প্রতিদ্বন্দি ধানের শীষের প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্রিয় নেতাদের ভুলের কারণেও নৌকার পালে এবার জোড়ে হাওয়া লেগেছে। হাবিবুর রহমানকে প্রার্থী করায় ঈশ্বরদীর বিএনপিতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তৃণমুল বিএনপি নানা কর্মসুচি পালন করায় হাবিব কেন্দ্রিয় কমিটি থেকে ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির কমিটি বাতিল ও পৌর কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় সিরাজ পিন্টু সমর্থিত তৃণমূল বিএনপির মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা গত অতি সম্প্রতি প্রতিবাদ সভা করে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে হাবিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। ঈশ্বরদী পৌর ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একমত হয়ে পাকশী হাসেম আলী মিলনায়তনে যৌথ বর্ধিত সভার মাধ্যমে সিরাজুল ইসলাম সরদারকে তৃণমূলের একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। যৌথসভায় গৃহীত স্দ্ধিান্ত ও সকলের স্বাক্ষরিত রেজুলেশনের অনুলিপি বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির নিকট দাখিল ও ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ স্বশরীরে ঢাকায় উপস্থিত হয়ে সিরাজুল ইসলাম সরদারকে পাবনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী করার দাবি জানান। কিন্তু হাই কমান্ড হাবিবকেই বিএনপির চুড়ান্ত প্রার্থীতা প্রদান করে। এর পর থেকেই শুরু হয় উভয় গ্রুপের নেতা,কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অভিমান,ক্ষোভ,ক্রোধ ও হাবিব বিরোধী কর্মসুচি। তারা মাহাবুব আহমেদ স্মৃতি মঞ্চে সভা করে বলেন,আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার স্বার্থে তাকে সুযোগ দিচ্ছি এবং আমরাও ধানের শীষে নির্বাচন করতে প্রস্তুত আছি ,তবে তিনি যদি আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিলুপ্তকৃত কমিটি পূণর্বহাল করেন এবং পৌর ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীসহ সকল নেতাকর্মীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন। সভায় হাবিবকে এহেন সংগঠন বিরোধী কাজের জন্য অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয়। এর আগে হাবিবের বিরুদ্ধে শহরে ঝাড়– মিছিল ও কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হয়। এসব কারণে বিএনপি প্রার্থীর যে সমর্থণ ছিল তাতেও ভাটা পড়া শুরু হয়। একই সাথে সাধারণ ও নতুন ভোটাররাও নৌকার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। নৌকাকে বিজয়ী করতে তারাও মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সুত্রমতে,এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে বিপুল ভোটে নৌকা বিজয়ী হবে।
×