ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের ছয়টি আসনে এজেন্ট সংকটে বিএনপি

প্রকাশিত: ২২:০৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

 বরিশালের ছয়টি আসনে এজেন্ট সংকটে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ছয়টি আসনেই এজেন্ট সংকটে পরেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। বিশেষ করে নির্বাচনের শুরুতে থেকে শেষপর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা নির্বাচনী মাঠে না থাকায় তাদের সমর্থকরা মাঠে নামেনি। এছাড়া অধিকাংশ আসনে সংস্কারপন্থিদের দলের মনোনয়ন দেয়ায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা গণহারে দলত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদেয়ার কারণে ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীদের এজেন্ট সংকটে পরতে হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া প্রভাবশালী সংস্কারপন্থি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন দীর্ঘ ১৩ বছর নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের কাছ থেকে ছিলেন জনবিচ্ছিন্ন। তফসিল ঘোষণার পর এ আসনে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সংস্কারপন্থি জহির উদ্দিন স্বপনকে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য দলের মহাসচিবের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছিলেন। রহস্যজনকভাবে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত তাকেই (জহির উদ্দিন স্বপন) দলের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ওই আসনের দুই উপজেলার প্রায় ২০ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করার মধ্যদিয়ে। নেতাকর্মীরা দলের মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় নির্বাচনের পুরোটা সময় তাকে (স্বপন) নিজ বাড়িতে বসে কাটাতে হয়েছে। কোথাও একটি পোস্টার পর্যন্ত সাটাতে লোক পাননি তিনি। যে কারণে ভোটেরদিন ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট সংকটে পরতে হয়েছে তাকে। একইভাবে বরিশালের অন্য পাঁচটি আসনেও দলীয় বিরোধের কারণে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট সংকটে পরতে হচ্ছে প্রার্থীদের। তবে বিএনপির প্রার্থীদের দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা ও পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করতে চাচ্ছেন না। অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময় বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত ভাবে যেকয়টি হামলার ঘটনা ঘটেছে তা প্রত্যেকটি বিএনপির অভ্যন্তরীন দ্বন্দের কারণে হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোন হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নেই। গ্রেফতারের বিষয়ে জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, পূর্বের মামলার পলাতক আসামিদের কেবল গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করা হয়নি।
×