ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিভিন্ন কৌশলে বিভ্রান্তির প্রচার

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মায়াকান্না জামায়াত প্রার্থীদের

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মায়াকান্না জামায়াত প্রার্থীদের

বিভাষ বাড়ৈ ॥ ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা ওয়াদা দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন জোট ও দল। এবার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জামায়াতের মায়াকান্না যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা কার্ড চালু এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার ওয়াদাও দিচ্ছে দলটি। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির জন্যও জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট চাচ্ছেন জামায়াত নেতারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন কৌশলে চলছে জামায়াতের এ বিভ্রান্তিকর প্রচার। এদিকে মওদুদীবাদী জামায়াতকে নবী, দেশ ও জাতির দুশমন অভিহিত করে নির্বাচনে তাদের পরিহারের ডাক দিয়েছেন ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের গ্র্যান্ড ইমাম আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। জামায়াতকে বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামাগণও। তারা বলেছেন, জামায়াত হচ্ছে মোনাফেকের দল, ইসলামের দুশমন। ওদের ভোট দিলে সত্যিকারের ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতসহ সকল যুদ্ধাপরাধীকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছে আলেম সমাজ। নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে খুব একটা তৎপর নেই জামায়াত নেতারা। রাজধানীতে এক প্রার্থীসহ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত জামায়াতের ২২ প্রার্থী নানা কৌশলে চালাচ্ছেন তাদের প্রচার। নিবন্ধন না থাকায় বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ঘরে ঘরে যাচ্ছে জামায়াতের ওয়াদা সংবলিত লিফলেট-পোস্টারসহ নানা তথ্য। জামায়াত-শিবিরের বাঁশের কেল্লাসহ ফেসবুক পেজেও চলছে জামায়াতের প্রচার। যেখানে প্রার্থীরা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের মুক্তির জন্য জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট চাচ্ছেন। মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও চলছে প্রচার। তবে ঢাকায় তাদের প্রার্থীরা প্রকাশ্যে-নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার। দলের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান ঢাকা-১৪ আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী। জানা গেছে, জামায়াতের প্রার্থী থাকা প্রতিটি আসনে দলের পুরুষ নেতাকর্মীর পাশাপাশি মহিলা নেতাকর্মীরা বসে নেই ঘরে। সক্রিয় করা হয়েছে শিবিরের ছাত্রী সংস্থাকে। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন কাজ করছে রাজধানীসহ ২২টি নির্বাচনী এলাকার অলি-গলিতে। সংগঠনের ভবিষ্যত নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলাপ-আলোচনাও চালাচ্ছেন ভোটের মাঠে। মূলত ভোটের আড়ালে সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির মোক্ষম সুযোগ এখন তাদের হাতে। মানবতাবিরোধী অপরাধের চূড়ান্ত রায়ে আমৃত্যু কারাদ-াদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির জন্য ভোট চাইছেন তার ছেলে শামীম বিন সাঈদী। তিনি পিরোজপুর-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আছেন। নির্বাচনে নিজের জন্য ভোট চেয়ে তার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছাড়া হয়েছে। ভিডিওতে শামীম সাঈদী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাশাপাশি নিজের বাবাকে মুক্ত করতে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সংবিধানের সঙ্গে জামায়াতের গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় ইসিতে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে আদালত। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোটে অংশ নিতে না পেরে জামায়াতের নেতারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার কৌশল নেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি যোগ দেয়ার পর এই নির্বাচনে আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে নতুন-পুরনো উভয় জোটের শরিককে কিছু আসন ছেড়েছে তারা। বিএনপির সঙ্গে জোট করা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে জামায়াতই। এই প্রক্রিয়ায় জামায়াতের ২২ নেতা ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে কামাল হোসেনের দলের নেতারাও ধানের শীষেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও ধানের শীষে ভোট চাইছে। জামায়াতকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় বিএনপি বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। ঢাকা-১৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান। কাফরুল, মিরপুর ও শেরেবাংলা নগর থানার কিছু অংশ নিয়ে এই আসনে জামায়াতের শীর্ষ নেতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা কামাল আহমেদ মজুমদার। অর্থাৎ এখানে জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে জামায়াত নেতা। এলাকায় কথা বলে জানা গেল জামায়াত নেতার প্রচার কৌশলের নানা তথ্য। জামায়াত ধানের শীষ নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে নীরবে। দিনেরবেলা মাঠে খুব একটা দেখা যায় না তাদের নেতাকর্মীকে। রাত হলেই প্রচার চালান জামায়াত কর্মীরা। ১০ থেকে ১২ জনের ছোট ছোট দল করে এলাকাভিত্তিক লিফলেট বিতরণ করছেন তারা। প্রতিটি দলে দু-তিনজন বয়স্ক লোক থাকেন। বাকিরা বয়সে বেশ তরুণ। মসজিদের সামনে কিংবা বাজারগুলোয় লিফলেট বিতরণ করছেন। লিফলেট বিতরণ হয় নির্দিষ্ট সময়ে। লিফলেট বিতরণে নিজেদের প্রচার সীমিত রাখছে জামায়াত। ডিজিটাল কৌশল অবলম্বন করেছেন তারা। এলাকাভিত্তিক ভোটারদের কাছে মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হচ্ছে। এদিকে ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা ওয়াদা দিয়েছে আওয়ামী লীগ, ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন জোট ও দল। জামায়াতের বন্ধু বিএনপি এড়িয়ে গেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। তবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জামায়াতের মায়াকান্না যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতের। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা কার্ড চালু এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার ওয়াদাও দিচ্ছে দলটি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর আসনসহ ২২টি আসনেই ভোটারদের কাছে বিভিন্ন কৌশলে একটি লিখিত ওয়াদা পাঠাচ্ছেন জামায়াতের প্রার্থী। স্ব স্ব এলাকার সমস্যা সমাধানের বাইরে দেয়া হচ্ছে অভিন্ন কিছু ওয়াদা। আর এখানেই আছে বিভ্রান্ত করার কৌশল। নিজেদের চেহারা লুকিয়ে দেয়া হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ওয়াদা। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবন্দী রয়েছেন তিন-তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশবরেণ্য আলেমে দীনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ অসংখ্য আলেম, উলামা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন দফা ঘোষণা করে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন ভবিষ্যত কর্মসূচী। দলটির সেক্রেটারি ২১ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নের ওয়াদা দিয়েছেন। ১০ দফায় বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধিকরণ ও কর্মসূচী যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রবীণ, প্রতিবন্ধীসহ সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধন। ১৪ দফায় বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক নাগরিকদের জন্য ডিসকাউন্ট এবং বিশেষ সেবা সংবলিত কার্ড প্রদান কর্মসূচী চালু করা হবে। ২১ দফায় বলা হয় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার- মুক্তিযুদ্ধের এ তিন মূলনীতির ভিত্তিতে ভয়, শঙ্কা, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধশালী কল্যাণমুখী সমাজ গঠনে ভূমিকা পালন করা হবে। সংখ্যালঘুদের কাছে ওয়াদা দিচ্ছে জামায়াত। বলছে, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, অধিকার আদায় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা হবে। এবারের নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দলটিকে আবার জাগিয়ে তোলা হলো বলে মনে করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। তিনি ইতোমধ্যেই বলেছেন, ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে জামায়াত এখন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তাদের প্রার্থীরা বলছে, খালেদা জিয়ার সালাম নিন, তাদের অমুক প্রার্থীকে ভোট দিন। বিএনপি আগে বলত, তাদের (জামায়াতে ইসলামী) সঙ্গে আদর্শগত মিল নেই। ধানের শীষ প্রতীক জামায়াতকে দেয়ার মধ্য দিয়ে সেই বাধা আর থাকল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মধ্য দিয়ে জামায়াত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই নিশ্চিহ্ন জামায়াতকে আবার জাগিয়ে তুলল বিএনপি। সাঈদী পুত্রের ভিডিও বার্তা সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে এভাবে ভোট চাওয়া নিঃসন্দেহে দেশের আইনের পরিপন্থী। আমাদের সংবিধানবিরোধী। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার প্রার্থিতা বাতিল করা উচিত। আমরা সব সময়ই বলে আসছি, যারা দ-প্রাপ্ত সেটা দুর্নীতির দায়েই হোক বা যুদ্ধাপরাধের দায়ে; যে কোন ক্রিমিনাল অফেন্সের (ফৌজদারি অপরাধের) জন্য দ-প্রাপ্তদের নাম নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। খালেদা জিয়া, সাঈদী, তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে সে নির্বাচনী আচরণবিধি গুরুতর লঙ্ঘন করা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত। এবং সে যদি এগুলো প্রত্যাহার না করে তাহলে প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দ-িত ব্যক্তির মুক্তির কথা বলে ভোট চেয়ে শামীম সাঈদী শুধু বিচার ব্যবস্থা নয়, গোটা সংবিধানকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বলে মনে করেন শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেন, এটা তো সুপ্রীমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ভোট চাওয়া। বিজয়ের মাসে এ ধরনের ভিডিও প্রকাশ করে সে ৩০ লাখ শহীদের সঙ্গে উপহাস করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গোটা দেশ-জাতিকে সে উপহাস করছে। এদিকে জামায়াতকে নির্বাচনে বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। তিনি বলেছেন, ইসলামের দুশমন, সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনাকারী জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনে বর্জন করতে হবে। এরা যে কোন প্রতীকেই নির্বাচন করুক না কেন তাদের প্রতিহত করা ইমানের দাবি। ভোট একটি পবিত্র আমানত। এই আমানত জামায়াত ও তাদের দোসরদের প্রয়োগ করা মানে ইসলাম, দেশ ও মানবতার বিরুদ্ধে স্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা। জামায়াতে ইসলামীর মধুর বচন থেকে সাবধান ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি সহজ-সরল সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে আবারও নির্বাচনে জয় তুলে নিতে ভোটে দাঁড়িয়েছে। এদের ভোটের মতো আমানত দেয়া যাবে না। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সংসদের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছতে দেশবিরোধীদের সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন। কোন অবৈধ দলের প্রার্থীদের ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, একটি বিশেষ দলের ওপর ভর করে জামায়াত আবারও মানুষের দুয়ারে যাচ্ছে। দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো, এতদিন যারা জামায়াত ও মওদুদীদের বিরোধিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে বই লিখেছে। আজ তারা তাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে। কোন জোটভোট নয়, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে পরাস্ত করতে হবে। বাংলাদেশের মাটিকে পবিত্র মাটি হিসেবে উল্লেখ করে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, জামায়াতকে ভোট দিলে হাজারও মানুষের রক্ত মাড়িয়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে নিজেও সর্তক থাকুন এবং অন্যদেরও সতর্ক রাখুন। জামায়াতসহ যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের বর্জনের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান। জামায়াতকে নবী, দেশ ও জাতির দুশমন অভিহিত করে নির্বাচনে তাদের পরিহারের ডাক দিয়ে তিনি বলেছেন, জামায়াত হচ্ছে মোনাফেকের দল, ইসলামের দুশমন। ওদের ভোট দিলে সত্যিকারের ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতসহ সকল যুদ্ধাপরাধীকে বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
×