ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী দিনে বিনিয়োগের কেন্দ্রস্থল হবে শেয়ারবাজার ॥ ডিএসই এমডি

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

আগামী দিনে বিনিয়োগের কেন্দ্রস্থল হবে শেয়ারবাজার ॥ ডিএসই এমডি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী বছর উপলক্ষে ২০১৮ সালে বাজার কিছুটা গতি মন্থর দেখা গেছে। যাতে আশানুরূপ গতি অর্জন করার সম্ভব হয়নি। তবে দেশের শেয়ারবাজার এমন একটি মাত্রায় অবস্থান করতে পেরেছে, যার ফলে বাজারে তেমন কোন সঙ্কট দেখা দেয়নি। ২০১৮ সালের শেয়ারবাজার মূল্যায়নে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান এসব কথা বলেছেন। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ডিএসই’র গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের বাস্তবায়নে আগামী দিনে দেশের শেয়ারবাজার বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল হবে। আর ডিএসই ভবিষ্যতে এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় স্টক এক্সচেঞ্জের সারিতে পরিণত হবে। নতুন বছরে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে শেয়ারবাজারের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে সামনে এগিয়ে নেয়াই হবে মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ডিএসইর এমডি। মাজেদুর রহমান বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে যুক্ত করতে পারা বাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। তাদের অন্তর্ভুক্তি বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে পরিচিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। ২০১৮ সালে এসএমই এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডের মতো নতুন কিছু প্রোডাক্ট চালু করার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন মাজেদুর রহমান। এই বিষয়ে ডিএসই প্রযুক্তিগত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নতুন বছরের শুরুতেই ডিএসই নতুন এ বিষয়গুলো চালু করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া একটি উন্নত ও কার্যকর বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠার বিষয়েও ডিএসই কাজ করছে। নতুন বছরের বাজেটে প্রণোদনা পাওয়া সাপেক্ষে বন্ড মার্কেটও শীঘ্রই চালু করা সম্ভব হবে। ডিএসইর এমডি বলেন, একটি ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ বাজারে আনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বেশ কিছু প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
×