ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মতিন মিয়া যেন শিলাচি!

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

মতিন মিয়া যেন শিলাচি!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফেডারেশন কাপে তিন গোল করেছেন কিন্তু দল ফাইনালে জেতেনি। স্বাধীনতা কাপেও তার গোল তিনটি। এবার ফাইনালে ঠিকই গোল করেছেন এবং দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই ছয়টি গোলের পাঁচটিই করেছেন বদলি ফরোয়ার্ড হিসেবে নেমে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ইতালির স্ট্রাইকার সালভেতোর শিলাচি ছয় গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। প্রতিটি গোলই তিনি করেছিলেন বদলি হিসেবে মাঠে নেমে। স্বাধীনতা কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়াও যেন সেই শিলাচির মতো ‘সুপার সাব’। সিলেটের ওসমানীনগরের ছেলে মতিন ঢাকার মাঠে ডিয়েগো ম্যারাডোনার মতো ড্রিবলিং করে গোল করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে (লীগ ম্যাচে সাইফের হয়ে, বিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা)। অভাবের সংসারে অর্থের জোগান দিতে ঢুকেছিলেন রং মিস্ত্রির কাজে। তারপর হয়ে গেলেন ‘খেপ’ ফুটবলার। তারপর সুযোগ পেয়ে ঢাকায় চলে আসনে ক্লাব ফুটবলে। তারপর জাতীয় দলে। এই মৌসুমে বসুন্ধরায়। বুধবারের ফাইনালে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে যখন বসুন্ধরার মার্কোসকে পুরস্কৃত করছিলেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, তখন অনেকেই বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, পুরস্কারটা মতিনকেই দেয়া উচিত ছিল। তবে এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই মতিনের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘দলের সবার আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমরা শিরোপা জিতব। সে কারণে চ্যাম্পিয়ন জার্সিটা আগেই বানানো হয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়ে অনেক ভাল লাগছে। শেষ দিকে নেমে (৬২ মিনিটে) গোল করা অনেক কঠিন ব্যাপার। আমার বিশ্বাস ছিল আমি যদি শেষ ১০ মিনিটও খেলতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা কাজে লাগাতে পারব। সেটাই কাজে লাগিয়েছি।’ স্বাধীনতা কাপে দুটি ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন মতিন। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে বদলি হিসেবে খেলেন। ফাইনালের গোলটি নিয়ে বলেন, ‘আমি ট্রেনিং মাঠে চেষ্টা করতাম এভাবে গোল করতে। সেটা কাজে লাগিয়েছি ফাইনালে। এটা আমার প্রথম শিরোপা। আর ফাইনালে এটাই আমার প্রথম গোল। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় গোল মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে বিপিএলের গোলটা।’ বদলি হিসেবে নামানোটাকে কেমন লাগে? ‘আমি মনে করি বদলি হিসেবে নামলে যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমাকে বেস্ট ইলেভেনে নামাবে। ভাল খেলার চেষ্টা করি। তারপরও যদি সেরা একাদশে সুযোগ না পাই তাহলে তো আমার করার কিছু নাই। আমি চেষ্টা করি। পাঁচ মিনিটের জন্য মাঠে নামলেও সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করি।’
×