ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পিএসসি ও জেএসসির ফল

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

পিএসসি ও জেএসসির ফল

২০১৮ সালের পিএসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল সোমবার ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার পাসের হার আশানুরূপ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, জিপিএ-৫ পওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। এবার মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া একেবারে নজরকাড়া। যেখানে ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ জন, সেখানে ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ৪১১ জন। তবে মেয়েদের পাসের হার ৯৭.৬৮ আর ছেলেদের পাসের হার ৯৭.৪৮ হলেও মেধা তালিকায় মেয়েরা প্রায় দ্বিগুণ। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ জোর কদমে এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন সূচকে। সেখানে ছেলেমেয়ের ফারাক শুধু কমেই আসেনি, সমান পর্যায়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশকে অগ্রগতির চূড়ান্ত পর্বে নিতে নারী-পুরুষের মিলিত প্রচেষ্টা দেশের জন্য শুভ সঙ্কেত। কোমলমতি শিশুরা যেভাবে প্রাথমিক সমাপনীতে অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে নতুন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তা যুগান্তকারী অবদান রাখবে এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারে। অষ্টম শ্রেণীর সমাপনী ফলাফলও একই সঙ্গে প্রকাশিত হয়। এই প্রথমবারের মতো নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফলের সঙ্গে চতুর্থ বিষয়কে যোগ করা হয়নি। ফলে পাসের হার গত বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও মেধা তালিকায় ছাত্রছাত্রীর মান কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ জিপিএ-৫-এর সংখ্যা কমেছে। জিপিএ-এর বিভিন্ন গ্রেডে মান কমলেও শিক্ষা কার্যক্রমের সার্বিক সূচকে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বেশ সফলতা অর্জন করেছে। নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে চতুর্থ বিষয় বাদ দেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার সময় ও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে যে যুগান্তকারী সংস্কার আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এটা তারই প্রাথমিক সংযোজন। এর পরে আরও সংস্কার এনে শিক্ষা ব্যবস্থাকে মান্ধাতা আমলের বিধিবদ্ধ থেকে মুক্ত করে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সুসংহত করাই সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা। কোমল শিশু-কিশোরদের ওপর বোর্ড পরীক্ষার চাপ কমাতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষাকে বাদ দেয়ার ওপর আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর মতে অল্প বয়স থেকে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোনিবেশ ও দায়িত্বশীল করতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার গুরুত্বকে কোনভাবেই খাটো করা যায় না। এতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, একইভাবে বোর্ড পরীক্ষার মতো একটি আবশ্যকীয় ধাপকে ছোটকাল থেকেই মোকাবেলা করার সাহসও জন্মায়, যা পরবর্তী পরীক্ষাগুলোকে অনায়াসে পার করতে কোন বেগ পেতে হয় না। শুধু তাই নয়, একজন পঞ্চম শ্রেণী পাস করা ছাত্র/ছাত্রী যখন বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোন সনদপত্র তার হাতের কাছে পায়, সেই আনন্দ আর প্রাপ্তি তাকে যে পরিমাণ প্রত্যয়ী করে তোলে, সেই অনাবিল অনুভবকে অস্বীকার করলে শিক্ষার্থীদের মনোবিকাশকে আহত করা হয়। এই বছরের প্রাপ্ত ফলাফলে খুশী হয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জাতিকে উপহার দেয়া তার ভবিষ্যত পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য। আর বর্তমান বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই ক্রমবর্ধমান ধারায় গতিশীল।
×