ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার মঙ্গল কামনায় বড়দিন

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সবার মঙ্গল কামনায় বড়দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারি সুন্দর বেশ আনন্দঘন একটা দিন। দারুণ কেটেছে। বড়দিন উদ্যাপিত হয়েছে বড় এবং বিশাল আয়োজনেই। মূলত খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎসব। কিন্তু রঙটা ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও আগ্রহের কমতি ছিল না। গির্জার ঘণ্টাধ্বনি শুনে ছুটে গিয়েছেন তারাও। ধর্ম যার যার/উৎসব সবার। যেন সবার হয়ে উঠেছিল বড়দিন। সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের এই বহির্প্রকাশ বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক চেতনার জয়গান করেছে। মঙ্গলবার ছিল বড়দিন। এর আগে সোমবার রাত থেকে শুরু হয়ে যায় উদ্যাপন। ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার বিভিন্ন গির্জা ও উপাসনালয়ে বিপুল সমাগম ঘটে। ছেলে বুড়ো সকলেই নতুন পোশাকে সেজে আসেন। গির্জাগুলোতে প্রার্থনা সঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবাণী পাঠের মাধ্যমে নিজের পরিশুদ্ধি এবং জগতের সব মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। ‘সব মানুষ’ কথাটির মধ্য দিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও আপন করে নেয়া হয়। আমন্ত্রণ জানানো হয়। মুসলমান ধর্মে বিশ্বাসীদের অনেকেই এসব অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উপভোগ করেন। ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আয়োজন। সেইসঙ্গে হাসিরাশি আনন্দের নানা উপলক্ষ। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে উৎসব অনুষ্ঠান চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এভাবে আগের দিন থেকেই উৎসব আনন্দ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মূল আয়োজন ছিল মঙ্গলবার। বড় দিনের সকাল বেলাটি গির্জায় কাটান বেশির ভাগ মানুষ। তাদের জন্য ছিল বহুবিধ আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণীর ধর্মপল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, সুশৃঙ্খলভাবে ধর্মীয় আচার পালন করা হচ্ছে। অন্য ধর্মের মানুষেরা এসেছিলেন দর্শনার্থী হয়ে। তাদের সে কী কৌতূহল! কী হচ্ছে? কেন? সবই চুপটি করে দেখে যাচ্ছিলেন তারা। বোঝার চেষ্টা করছিলেন। উৎসব ছড়িয়ে পড়েছিল গির্জার বাইরেও। প্রধান ফটকের সামনে কত মানুষ যে অপেক্ষা করেছিলেন! মূল রাস্তার ধারে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়েছিলেন দোকানিরা। মেয়েরা হাত ভর্তি করে কাঁচের চুরি পরছিল। বাচ্চাদের জন্য ছিল খেলনা। হাওয়াই মিঠাই বাতাসাÑ কী ছিল না? সব ধর্মের মানুষেরা এখান থেকে কেনাকাটা করেছেন। বাসা বাড়ির আয়োজনগুলো অত চোখে পড়ে না। তাই বলে আয়োজন ছিল নাÑ এমন নয়। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে বেশিই ছিল বলা যায়। আগেই সুন্দর করে ঘর গুছিয়ে নেয়া হয়েছিল। নেমন্তন্ন করা হয়েছিল আত্মীয় পরিজন বন্ধু বান্ধবদের। উল্লেখ না করলেই নয়, এ তালিকার বড় অংশজুড়ে ছিলেন অন্য ধর্মের মানুষ। কোন কোন বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ছোটখাটো মিলনমেলা। সকলেই বড়দিনের উপহারসহ নেমন্তন্ন খেতে এসেছিলেন। মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় নেমন্তন্ন খেতে গিয়ে দেখা গেল, ঘরের এক কোনে ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জ্বলছে মরিচা বাতি। উপরে ঝুলছে আকাশের তারা। ডাইনিং টেবিলে পীঠা পুলি। মিষ্টি। সব শেষে রাতের খাবার। আর ছবি তোলা, গল্প আড্ডা তো ছিলই। গৃহকর্ত্রী বৈশাখী রায় ‘ম্যারি ক্রিসমাস’ বলে স্বাগত জানাচ্ছিলেন। আমন্ত্রিতদের মুখেও ছিল ওই কথাটি। এই যে সবার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন, কেন? জানতে চাইলে বৈশাখী রায় বলেন, ক্রিসমাস মানেই সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার উপলক্ষ। সবাই মানে, সবাই। কে কোন ধর্মের সেটা বিবেচ্য নয়। আমরা মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদে দাওয়াত পাই। তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিই। আমাদের বড়দিনেও একইভাবে তাদের প্রত্যাশা করি। এটাই উৎসবের মূল পাওয়া বলে মন্তব্য করেন তিনি। বড়দিনের জাঁকজমপূর্ণ আয়োজন ছিল ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে আলো ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি। নিচের অংশে আবার গিফটবক্স। লবি ধরে সামান্য হাঁটলে টেরাকোটা কর্নার। সেখানে বড়দিনের আকর্ষণীয় ডিসপ্লে। নিজের বলগা হরিণসহ সান্তা ক্লজ দাঁড়িয়ে। কিংবদন্তি অনুসারে, সান্তা বাস করেন সুদূর উত্তরের এক চিরতুষারাবৃত দেশে। সেই তুষারপাত এখানে সুন্দর দৃশ্যমান করা হয়। বড়দিন উদ্যাপন করতে আসা বিভিন্ন বয়সী মানুষ এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলেন। পাশেই রেস্তরাঁ। সেখানে বড়দিনের বিশেষ খাবার। পুল-সাইডে ছিল শিশুতোষ আয়োজন। এখানে রক্ত মাংসের সান্তাক্লজ! মোটাসোটা বিশালদেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শস্ত্রম-িত সান্তার গায়ে সাদা কলার ও কাফযুক্ত লাল কোট। সাদা কাফযুক্ত লাল ট্রাউজার্স। কালো চামড়ার বেল্ট। পায়ে বুট জুতা। আর পকেট ভর্তি চকোলেট। সেদিকেই বেশি খেয়াল ছিল বাচ্চাদের। হাত বাড়িয়ে চকোলেট সংগ্রহ করছিল তারা। সান্তাক্লজের সঙ্গে চলছিল নাচ গান। অস্থায়ী মঞ্চে এই নাচ গানের ব্যবস্থা রাখা হয়। ছিল ম্যাজিক শো। মজার মজার সব ম্যাজিক দেখছিল বাচ্চারা। ছিল ট্রয়ট্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা। বাদ যায়নি ঢাকার অতি পুরনো বাহন টমটমও। হোটেলের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা রাস্তা দিয়ে চলছিল ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ছিল বড়রাও। একইরকম সাজানো হয়েছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার লবি ও রেস্টুরেস্ট। পাঁচতারকা হোটেলের এলিমেন্টস রেস্টুরেন্টে বড়দিনের আয়োজন শুরু হয় মঙ্গলবার দুপুরে। এখানে ছিল খাবারের বিশেষ মেন্যু। ক্যাফে সোস্যালে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ছিল বিশেষ কেক, কুকিজ, ক্রিসমাস গুডিজসহ বিভিন্ন খাবার। বড়দিন উপলক্ষে র‌্যাডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিশেষ ডিনারের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি শিশুদের জন্য ছিল কেক, আইসক্রিম ও মজাদার খাবারের আয়োজন। সঙ্গীতায়োজন, ক্রিসমাস গুডিজ, কিডস প্লে কর্নার, ক্যান্ডি ফ্লপস স্টেশন, ফিঙ্গার ফুড বুফের ব্যবস্থা রেখেছিল হোটেলটি। জাঁকজমপূর্ণ আয়োজনে মেতেছিলেন পিতা মাতা সন্তান বন্ধু বান্ধব সকলেই। স্ত্রী সন্তান নিয়ে সোনারগাঁ হোটেলে এসেছিলেন রিচার্ড। তিনি বলেন, বড়দিনে বাসার পাশাপাশি হোটেলগুলোতে অনেক আয়োজন থাকে। শিশুদের জন্য এসব আয়োজন খুব উপভোগ্য। তাই আসা। বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক চেতনারও চমৎকার প্রকাশ ঘটে এখানে। মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। সবাই মিলে হাসিরাশি আনন্দে মাতেন। ছবি তুলেন সান্তাক্লজের পাশে দাঁড়িয়ে। শারমীন নামের এক তরুণীকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। কিন্তু সান্তাক্লজের সঙ্গে কী সুন্দর ছবি তুলছিলেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বড়দিন তো আমাদেরও। উৎসব না? উৎসবে মাততে কোন বাধা নেই। সবাই আমরা মানুষ। একে অন্যের সুখের দিনে দুঃখের দিনে মিলেমিশে থাকতে পারাই আনন্দ বলে মন্তব্য করেন তিনি। শুধু হোটেল বা গির্জার বেলায় নয়, সবখানেই বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একসঙ্গে দেখা গেছে। কোন কোন গির্জার সামনে তো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় দেখে অবাকই হতে হয়েছে। কাকরাইল গির্জার সামনে লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করছিলেন সাধারণ মানুষ। তাদের একনজন হাবিবুর রহমান। তিনি বললেন, আমার দুই মেয়েকে বড়দিন দেখাতে নিয়ে এসেছি। গত রাতে এক বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে ওরা কেক চকোলেট ইত্যাদি পেয়ে দারুণ খুশি। আজ গির্জার আনুষ্ঠানিকতা দেখাতে নিয়ে এসেছি। সব মিলিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালীর যে রূপ, সেটিই ফুটে ওঠে বড়দিনে। এমনই হোক সব উৎসব। সবার হোক। ুবড়দিন উদযাপন ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বিশ্বের দেশে দেশে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন যথাযথ মর্যাদায় উৎযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশেও দিনটিকে ঘিরে প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচী পালন করেন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা। বড়দিনের শুরুতে উন্নত দেশের লোকজনকে ভোগবাদী জীবন কমিয়ে সাধারণ জীবনযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। বিশ্বে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যাপক বৈষম্যের নিন্দা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একটি দারিদ্র্যের মধ্যে যিশুর জন্ম হয়েছিল, এটা প্রত্যেকের জীবনে প্রতিফলিত করা উচিত। ঐতিহ্য অনুসারে বড়দিন শুরুর সময়ে সোমবার মধ্যরাতে ভ্যাটিকানে সেন্ট পিটারের বাসিলিকায় বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন পোপ ফ্রান্সিস। বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে সেন্ট পিটারের ব্যালকনি থেকে ‘উর্বি অ্যাত অর্বি’ (শহর ও বিশ্বের প্রতি) ভাষণ দেন পোপ ফ্রান্সিস। ৮২ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান হিসেবে ষষ্ঠ বড়দিন উদযাপন করছেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশের খ্রীস্টান সম্প্রদায়। এ উপলক্ষে দেশের সব গির্জা ও বড় বড় হোটেল রঙিন বিজলিবাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। খ্রীস্টান ধর্মে বিশ্বাসীদের অনেকের ঘরেই বসানো হয়েছিল প্রতীকী গোশালা। বেথেলহামের গরিব কাঠুরিয়ার গোয়ালঘরেই যিশু খ্রীস্টের জন্ম। সেই ঘটনা স্মরণ করে বাড়িতে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি করতেই এটি করেন যিশুর অনুসারীরা। সোমবার রাতে প্রার্থনাসভার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। রাতে প্রার্থনার বিশেষ মাহাত্ম্য হচ্ছে, পৃথিবীতে যিশুর আগমন উপলব্ধি করা। রাজধানীর কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালে রাতে প্রধান প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে এবং বেসরকারী টিভি চ্যানেলসমূহে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হয়েছে। দিনটি সরকারী ছুটির দিন। খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের অনুসারীরা মঙ্গলবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে দেশের খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিমিনয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রাজধানীসহ খ্রীস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বড়দিনের আমেজ শুরু হয়। সোমবারই সম্পন্ন হয়েছে এদিন পালনের সব প্রস্তুতি। রাজধানীর বিভিন্ন খ্রীস্টান অধ্যুষিত এলাকায় গির্জাসহ বাসাবাড়ি বিশেষভাবে সজ্জিত করা হয়েছিল। ক্যাথলিক খ্রীস্টানরা তৈরি করেছেন যিশুর জন্মদিনের গোয়ালঘর। প্রটেস্ট্যান্টদের স্থাপনাগুলোতে শোভা পাচ্ছে যিশুর আগমনী তারকা। এসব এলাকায় সোমবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে প্রার্থনা সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার রাতভর অনুষ্ঠান চলার পর মঙ্গলবার সকালে প্রতিটি গির্জায় অনুষ্ঠিত হবে এক থেকে দুটি বিশেষ খ্রিস্টযোগ। এ উপলক্ষে রমনার আর্চবিশপ হাউস সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালকে বিশেষ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়াও রমনা সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল, তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জা, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চসহ রাজধানীর বিভিন্ন চার্চে বিশেষ খ্রিস্টযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জন্য গির্জার প্রবেশপথে সাজানো হয়েছে ক্রশ, শুভেচ্ছা কার্ডসহ উপহারসামগ্রী বিক্রির দোকান। বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, দ্য ওয়েস্টিন ঢাকা, র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেনসহ অন্যান্য হোটেল বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বড়দিনে এসব হোটেলে শিশুদের জন্য থাকে ক্রিসমাস কিডস্ পার্টিসহ নানা ধরনের খেলার আয়োজন। প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও আলোকসজ্জায়। সেখানে শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো, জাদু প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ কেক ও কুকিজের ব্যবস্থা করেছিল সোনারগাঁও হোটেল। র‌্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেনের লবিতে স্থাপন করা হয়েছিল বিশাল আকৃতির ক্রিসমাস ট্রি। হোটেলের চারটি রেস্তরাঁয় আয়োজন করা হয়েছিল ক্রিসমাস স্পেশাল পুডিং, কেকসহ নানা মুখরোচক খাবার। সঙ্গে ছিল সান্তা ক্লজ ও ফ্লেইকস। বড়দিন উপলক্ষে ওয়েস্টিন ঢাকা হোটেলকে আকর্ষণীয় রূপে সাজানো হয়েছিল। শিশুদের জন্য তারা বিশেষ কিডস্ পার্টিসহ নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ও খেলার আয়োজন করেছিল।
×