ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইল-১ আসন

উন্নয়ন চমকে নৌকার প্রার্থী জনপ্রিয়তার শীর্ষে

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮

উন্নয়ন চমকে নৌকার প্রার্থী জনপ্রিয়তার শীর্ষে

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ লালমাটি অধ্যুষিত শাল গজারির অবারিত বনাঞ্চল, বঙ্কিম চন্দ্রের আনন্দমঠ আর ফকির সন্ন্যাসী আন্দোলনের পীঠস্থান টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিগত ১৯৯০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। এখানে রয়েছে আওয়ামী লীগের একক ভোট ব্যাংক। তাছাড়া এখানকার নৃ-তাত্বিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ২৫ হাজার ভোট আওয়ামী লীগের তথা নৌকার প্লাস পয়েন্ট। এ আসনে ১৯৯০ ও ৯৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী জয় লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকেট পান কৃষি বিজ্ঞানী সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি সে বছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি ওই সময় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি ম-লীর সদস্য নির্বাচিত হন ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুত, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলা কমপ্লেক্স, নতুন ইউনিয়ন বিভাজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও এবং ভবন নির্মাণ, আধুনিক অডিটরিয়াম, ৭২ হাজার মেট্রিক টনের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সাইলো, থানা কমপ্লেক্স, নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা, বাজার উন্নয়ন, শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ করে ব্যাপক সুনাম ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এলাকার জনগণ তাকে এখন সততা আর উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে দেখছেন বলে জানান সাধারণ ভোটাররা। ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ বলেন, আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা তথা নৌকা হলো উন্নয়ন-অগ্রগতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও শান্তির প্রতীক। আর ড. আব্দুর রাজ্জাক একজন উন্নয়নকামী সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ। মধুপুর উপজেলার সাধারণ ভোটাররা জানান, ড. আব্দুর রাজ্জাক একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিনি সদালাপী, কর্মীবান্ধব ও ক্লিন ইমেজের নেতা। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে এ আসনে তিনি সবার প্রিয় এবং একজন ফেবারিট প্রার্থী। এ আসনে তার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীর আস্থাভাজন। শুধু এই আসনেই নয়, পুরো জেলাজুড়ে রয়েছে তার উন্নয়নের ছোঁয়া। এ কারণে তিনি এ আসনে অপ্রতিদ্বন্ধী। ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন জানান, ড. আব্দুর রাজ্জাক একজন সাদা মনের মানুষ। এ এলাকার জনগণের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য তিনি সবসময় সচেষ্ট। মধুপুর-ধনবাড়ীর উন্নয়নের রূপকার। পাহাড়ীয়া এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ মধুপুর ও ধনবাড়ীর সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। কাজেই তার কোন বিকল্প নেই। তার এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থেই এবার ধনবাড়ী ও মধুপুরের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে ড. রাজ্জাককে বিজয়ী করবে। ভোটাররা এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ধনবাড়ী-মধুপুরে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করবেন।
×