বিংশ শতাব্দীর চরম উৎকর্ষের যুগে আজও পৃথিবীর ১ বিলিয়ন লোক কোনদিন চিকিৎসকের দেখা পাননি বা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত। বিশ্বের লাখ লাখ লোকের ন্যূনতম চিকিৎসা গ্রহণের আর্থিক সামর্থ্য নেই, এমনকি সুচিকিৎসা পেতে অনেককে সম্পদ বিক্রি কিংবা ঋণ গ্রহণ করতে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দেশে প্রতিবছর ৩.৪ শতাংশ মানুষ দরিদ্র হচ্ছে, ১৫ শতাংশ পরিবার অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। অথচ গরিব-ধনী নির্বিশেষে সবার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতভাবে পাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং সেই সেবা প্রাপ্তির জন্য যেন কারও আর্থিক দৈন্যের মধ্যে পড়তে না হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব ব্যাংকের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের মাথাপিছু আয় দৈনিক ১.৯০ ও ৩.১০ ডলার, স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে তাদের যথাক্রমে ৪.৫১% এবং ৪.০৮% চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। অনেকেই আর্থিক বিপর্যয়ে পড়ছে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যব্যয়ে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ এ্যাকাউন্ট’-এর তথ্যমতে, স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে জনপ্রতি ১০০ টাকার ৬৭ টাকাই মানুষের পকেট থেকে ব্যয় হচ্ছে, ২০১২ সালে যা ছিল ৬৩ টাকা। সরকার জনপ্রতি ২৩ টাকা, দাতা সংস্থাগুলো ৭ টাকা ও অন্যান্য সংস্থা ৩ টাকা ব্যয় করছে।
আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি, তাই রোগীও বেশি। গ্রামেগঞ্জে, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগসমূহেও প্রয়োজনের তুলনায় ডাক্তার, চিকিৎসার সরঞ্জাম, ওষুধপত্র, জনবল এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ সুযোগ-সুবিধা সীমিত। প্রতি ২০৩৯ জনের জন্য মাত্র একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তার। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার নয়, বরং একটি সুযোগ, যা কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। এই অসমতা এতটাই তীব্র যে, তা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়।
রোগীর অভিযোগ ও বাস্তবতা : যদি জানতে চাওয়া হয়, কেমন চলছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা, ডাক্তার-রোগীর সম্পর্কই বা কেমন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তর হবে নেতিবাচক। উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত, উচ্চশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত, সবার মধ্যেই ডাক্তারদের সম্পর্কে বিরূপ বা নেতিবাচক ধারণাই বিরাজ করে বেশি। রোগী এবং জনগণের বিরাট অংশই ডাক্তারদের প্রতি ক্ষুব্ধ ও বীতশ্রদ্ধ। অনেকেরই অভিযোগ, ডাক্তাররা রোগীকে ভালভাবে সময় দিয়ে দেখেন না, ভাল করে কথা বলেন না, মনোযোগ দিয়ে শোনেন না, যতœ সহকারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন না, কথা না শুনেই ওষুধ লিখে দেন। রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বুঝিয়ে বলেন না, দুর্ব্যবহার করেন, একগাদা দামী-দামী ওষুধ লেখেন, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগের রোগীদের অবস্থা আরও করুণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অভিযোগ, অনেকদিন ধরে ভর্তি আছি, কিন্তু ডাক্তার-নার্স ঠিকমতো আসে না, ভাল করে দেখে না, ওষুধপত্র ঠিকমতো দেয় না, বিছানাপত্র ঠিক নেই, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই, খাবার মান ভাল না, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব। এমনকি যে অধ্যাপকের তত্ত্বাবধায়নে ভর্তি তারও দেখা মেলে না, জুনিয়র চিকিৎসকরাই চিকিৎসা করেন। ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তাঁদের উচ্চ ফী, বিভিন্ন ল্যাবরেটরি বা ক্লিনিক থেকে কমিশন খাওয়া, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে উপঢৌকনের বিনিময়ে ওষুধ লেখা ইত্যাদি। অভিযোগগুলো অসত্য নয়, কিন্তু ঢালাওভাবে সব ডাক্তারদের ক্ষেত্রে সত্যও নয়।
বাস্তবায়নের উপায় : আমাদের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অস্বস্তিকর এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে। জনগণের মাঝেও ভয়-ভীতি-ক্ষোভ আর চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা বেড়েই চলেছে। এগুলোর কারণ উদ্ঘাটন ও সমাধানকল্পে পর্যালোচনা প্রয়োজন। তবে একক প্রচেষ্টা বা কোন গোষ্ঠীর পক্ষে এর সমাধান অনেকটাই অসম্ভব। স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার এই ভগ্নদশা থেকে উত্তরণের জন্য রোগী, ডাক্তার, প্রশাসন, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সর্বোপরি মিডিয়ার সমন্বিত ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সমন্বয়ে বাস্তব ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নিজ নিজ দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করলে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা : সবার জন্য, সর্বত্র’ বাস্তবায়ন অসম্ভব নয়।
ডাক্তারের করণীয় : মনে রাখতে হবে, ভাল ডাক্তার হওয়ার পাশাপাশি ভাল মানুষ হওয়া জরুরী। রোগীদের কথা ধৈর্য সহকারে শোনা, তাকে ভালভাবে দেখা, অসুখের ধরন এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানানো, অনিরাময়যোগ্য বা জটিল রোগ সম্পর্কে রোগী বা তার স্বজনকে ভালভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে। রোগীর আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনাপূর্বক তার সামর্থ্যরে বাইরে অতিরিক্ত বা দামী-দামী পরীক্ষা-নিরীক্ষা না দেয়া, গাদা-গাদা ওষুধ কিংবা অযথা বেশি দামী ওষুধ না লেখা উচিত। ডাক্তারদের উপলব্ধি করতে হবে, কথায় কথায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এমনকি শত উস্কানির মুখেও ধর্মঘট করা অনুচিত। নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের নামে ধর্মঘটের মতো ধ্বংসাত্মক কাজ করলে মানুষ ডাক্তারদের শ্রদ্ধা করবে কেন? দু’একজন রোগী বা তার আত্মীয়স্বজনের অপকর্মের জন্য অন্যান্য রোগীকে অসহায় অবস্থায় ফেলে ধর্মঘট অযৌক্তিক। মনে রাখতে হবে, চিকিৎসাসেবা অন্যান্য পেশার মতো নয়, এর সঙ্গে জীবন-মৃত্যু জড়িত।
রোগীদের করণীয় : রোগী বা তার আত্মীয়স্বজনের মনে রাখা দরকার, অনেক জটিল রোগ যেমন স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি বা লিভার নষ্ট হলে, ব্লাড ক্যান্সার বা অনেক ক্যান্সার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাময়যোগ্য নয়। আইসিইউতে মুমূর্ষু রোগীদের ভর্তি করা হয় এবং সেখানে মৃত্যুর হার বেশি। শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে চিকিৎসা অসম্ভব।
সরকারের কর্তব্য : স্বাস্থ্যব্যবস্থার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তায় সরকার তথা প্রশাসনের ওপর। সেজন্য বাস্তব পরিকল্পনা, বাস্তবায়নের যথাযথ ব্যবস্থা এবং সমন্বয়ের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
১। মানসম্মত মেডিক্যাল কলেজ এবং দক্ষ ডাক্তার : অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে ভাল সেবা আশা করা বাতুলতা। মানসম্মত মেডিকেল কলেজ দক্ষ ডাক্তার তৈরির পূর্বশর্ত। যত্রতত্র মেডিক্যাল কলেজের ছড়াছড়ি, মানসম্মত মেডিক্যাল কলেজের অভাব, শিক্ষক সঙ্কট, দক্ষ প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অপ্রতুলতা, ন্যূনতম সংখ্যক শিক্ষকের পদ না থাকা বা শূন্য থাকা ও সহযোগী লোকবলের অভাব, কিছু কিছু প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে মেধার চেয়ে ব্যবসায়ী মনোবৃত্তিকেই প্রাধান্য দেয়া, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের শর্ত পূরণ না করেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, হাসপাতালে পর্যাপ্ত রোগীর অভাবে হাতে-কলমে বাস্তব ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন ব্যাহত, সবকিছুই যোগ্য চিকিৎসক তৈরির অন্তরায়। দলীয় অথবা রাজনৈতিক প্রভাবও অনেকাংশেই এর জন্য দায়ী। তাই প্রশাসনকে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় না নেমে বরং ভাল চিকিৎসক তৈরির অন্তরায়গুলো দূর করার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
২। চিকিৎসা ব্যয় কমানো : অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতে চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি, ওষুধের আকাশচুম্বী দাম, রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উচ্চ খরচ, বেড চার্জ, এডমিশন ফি, মাত্রাতিরিক্ত অপারেশন চার্জ, সিসিউ, আইসিইউ এবং ডায়ালাইসিস ফি, দালালদের দৌরাত্ম্য, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবীদের অনৈতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কারণে চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। তাই অপারেশন এবং আইসিইউ চার্জ একটি সহনীয় মাত্রায় রাখা, অতি প্রয়োজনীয় ওষুধগুলোর দাম সাধারণ জনগণের নাগালে আনা, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ কমানো উচিত।
৩। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থলের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা : গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ডাক্তারদের থাকা আবশ্যক। তাই গ্রামে ডাক্তারদের আবাসন, যাতায়াত ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা এবং নির্দিষ্ট সময় গ্রামে থাকার পর নিজের উচ্চশিক্ষার পরিবেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা থাকলে ডাক্তার অবশ্যই গ্রামে যেতে আগ্রহী হবেন। তাছাড়া যাদের পোস্টিং গ্রামে হবে তাদের অতিরিক্ত গ্রণোদনা প্রদান করে আগ্রহী করা যেতে পারে। চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মস্থলের ব্যবস্থা এবং যথাযথ আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
গণমাধ্যমের ভূমিকা : চিকিৎসা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নকল্পে প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন ও অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসাসেবার অন্যতম উপাদান জনসচেতনতা তৈরি, যেটা গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া বাস্তবায়ন অসম্ভব। বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসক-সাংবাদিক সম্পর্কের বিষয়টিও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে। গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, চিকিৎসাক্ষেত্রের সাফল্যগুলো উপেক্ষা করে শুধু গুটিকয়েক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ফলাও করে প্রচার করার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। দেশেই অনেক জটিল রোগের চিকিৎসাসহ শত শত অপারেশন সফলভাবে করা হচ্ছে। কিডনি, লিভার এবং বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, হৃদরোগের বাইপাস, রিং পরানো, নিউরোসার্জারি ইত্যাদি আধুনিক চিকিৎসা উন্নত দেশের মতোই হচ্ছে। এসব বিষয়েও জনগণকে অবহিত করা দরকার। আমাদের দেশেও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসক আছেন, চিকিৎসায় সফলতাও আছে। কিন্তু সর্বদা যদি দোষ-ত্রুটিগুলো প্রচার করা হয়, ভাল কাজের স্বীকৃতি না দেয়া হয়, তবে অনেকেই উৎসাহ হারিয়ে ভয়-ভীতির মধ্যে কাজ চালাতে বাধ্য হবেন। কর্মক্ষেত্রে ডাক্তাররা যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সেগুলো সঠিকভাবে প্রচার করা দরকার।
সুচিকিৎসা যেমন সকলের মৌলিক অধিকার, তেমনি তা সুনিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্বশীল হওয়া একান্ত জরুরী। সেজন্য এখনই সময় সম্মিলিত পদক্ষেপের, প্রয়োজন সঠিক বাস্তবায়ন। নিম্নোক্ত কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। * গরিব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্রি চিকিৎসা, উচ্চবিত্তের জন্য স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা। দেশের সকল নাগরিকের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী হেল্থ কার্ড ও স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা উচিত। * সরকারী ও প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ ও ভাল ডাক্তার তৈরির যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া এবং অন্তরায়গুলো দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। * চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ওষুধপত্র, পরীক্ষার খরচ, অপারেশন চার্জ, আইসিইউ, সিসিইউসহ প্রাইভেট বা কর্পোরেট হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার অতি মুনাফা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা। * বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে যৌক্তিক বরাদ্দ বাড়ানো এবং বিনিয়োগ বাড়াতে উৎসাহ প্রদান। * প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তাসহ গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ। * প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম। তাই অসংক্রামক রোগ যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, ক্যান্সার প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। * রোগীবান্ধব পরিবেশ, চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক বাস্তবায়নে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সম্পৃক্তকরণ। * শুধু ডাক্তার নয়, চিকিৎসাসেবা সংশ্লিষ্ট সকল কর্মীদের ধর্মঘটের মতো ধ্বংসাত্মক কাজ পরিহার করতে হবে। * হাসপাতালের গ-িতে যে কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা- থেকে বিরত থাকা উচিত।
লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ,
চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা