ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন সরকারের কাছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি

প্রকাশিত: ০৭:৪২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নতুন সরকারের কাছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ৩০ ডিসেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে জোট বা দলই সরকার গঠন করুক না কেন সেই নতুন সরকারের কাছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা। ইউপিআর সুপারিশ বিষয়ে ‘থিমেটিক গ্রæপ ওয়ার্কশপ অন ইউপিআর: ফ্রিডম অব এক্সপ্রেসন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে কর্মশালাটির আয়োজন করে আর্টিকেল নাইনটিন। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা। তাছাড়া মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন দেশী ও আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন, ফ্রন্টলাইন ডিফেন্ডারর্স এর এশিয়ার কো-অর্ডিনেটর সাঈদ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন, পেন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ড. সৈয়দা আইরিন জামান, আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল, একই সংস্থার পরামর্শক রুবাইয়াত মল্লিকা রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার আনোয়ার রোজেন, প্রথম আলোর সোহরাব হাসান, জনকণ্ঠের কাওসার রহমান, সমকালের আবু সালেহ রনিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকরা। বক্তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধন আনতে হবে। এজন্য অংশীজনদের নিয়ে কমিটি গঠনের পাশাপাশি নতুন সরকারকে অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এছাড়া সাংবাদিক, লেখক, বøগারসহ সবাই যাতে যার যার অবস্থান থেকে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন সেজন্য মুক্ত পরিবেশের ক্ষেত্রে বাধাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়া মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতনের ভীতি দূর করতে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ইতোমধ্যেই সাংবাদিক হত্যা, বøগার হত্যা, লেখক ও প্রকাশকসহ মুক্ত মত প্রকাশ করতে গিয়ে যারা হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সেই মামলাগুলোর দ্রæত চার্জশীট দেয়াসহ দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম প্রেসকাউন্সিল বা ব্রডকাস্ট কমিশন গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। সূত্র জানায়, ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ’ (ইউপিআর) হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের একটি স্বতন্ত্র প্রক্রিয়া যা জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রক্রিয়ার অধীনে সাড়ে চার বছর পর পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ রাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার সুযোগ পায় এবং তার আলোকে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। মানবাধিকারের সুরক্ষায় সর্বশেষ ইউপিআর ফোরামের ২৫১ সুপারিশের মধ্যে ১৭৮টি চ‚ড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।
×