ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা মোতায়েনে কারও উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ নেই ॥ আক্তারুজ্জামান

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

সেনা মোতায়েনে কারও উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ নেই ॥ আক্তারুজ্জামান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সেনা মোতায়েন কারও উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাত শেষে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের প্রধান কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ডাকসু ভিপি আক্তারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠুু নির্বাচনের স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কোন দলের বা পক্ষের নয়। কাজেই সেনাবাহিনীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোন কারণ বা সুযোগ নেই কারও। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে দেখা করে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের নেতাকর্মী ও নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ করেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দেশপ্রেমিক, পেশাদার, সুশৃঙ্খল সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তা খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সাবেক ডাকসুর এই ভিপি বলেন, বাংলাদেশের পেশাদার সেনাবাহিনীর একটি সর্বজনীন মর্যাদা রয়েছে। এই বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে পারে এমন কোন বক্তব্য বা বিবৃতি থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। সবাই এ ধরনের বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আমরা আশা করি। সেনা মোতায়েন করার ফলে নির্বাচনের পরিবেশ স্বাভাবিক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আসছে, আমরা আশা করি পরিবেশ নিশ্চয়ই আগের থেকে ভাল হবে। সুন্দর ও সুষ্ঠু হবে। সবার সহযোগিতায় ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হবে। এর আগে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মী নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছে দাবি করে এসব ঘটনার সঙ্গে বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া সিলেট, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ বেশকিছু স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর বিএনপি-জামায়াত হামলা করেছে দাবি করে দ্রুততার সঙ্গে এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে ইসির হস্তক্ষেপ চান তিনি। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন দলের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ, এ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, এ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, গিয়াস উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।
×