ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন

নির্বাচন ২০১৮, ইশতেহার ও ২০১৯-২০২৩ সময়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন ২০১৮, ইশতেহার ও ২০১৯-২০২৩ সময়ের সম্ভাবনা

(গতকালের পর) ২) শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণে অনীহা দূরীকরণে লাগসই শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও প্রযুুক্তিকরণের চলমান প্রচেষ্টাকে বহুগুণে শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষ করে ১৫-৩০ বছর বয়সী যুবক ও যুব মহিলাদের সর্বোৎকৃষ্ট ও ক্ষেত্রবিশেষে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানে প্রাইভেট-পাবলিক প্রকল্পায়নে উপযুক্ত পরিমাণ বিনিয়োগ করে জনমিতিক লভ্যাংশ ঘরে তোলা সম্ভব। প্রতি বছর শিক্ষা খাতে সামষ্টিক দেশজ উৎপাদনের শতকরা ০.৫ ভাগ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ২০২৩ সালে শিক্ষা খাতের বরাদ্দ বর্তমানে ২.৫ ভাগ থেকে অতি প্রয়োজনীয় ৫.০ ভাগে উন্নীত করা প্রয়োজন। অনুরূপভাবে ২০২৩ সালে স্বাস্থ্য খাতেও জিডিপির শতকরা ৪.৫ ভাগ বরাদ্দ প্রয়োজন। এ সব উদ্যোগে ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং বিশেষ করে রফতানি খাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা খাতে লিঙ্কচেইনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় নকল বন্ধ করা ও সকল পরীক্ষায় এমসিকিউ বাদ দেয়া জরুরী। প্রজাতন্ত্রের প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৮% আর শারীরিকভাবে হুমকিতে পড়াদের জন্য শতকরা ০২ ভাগ সংরক্ষণ করে সম্পূর্ণ মেধাভিত্তিতে এবং এমসিকিউ বাদ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চৌকস ব্যবস্থাপনার ভিত গড়তে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ছাড়া বাকি সকলকে সমান সুযোগ দিয়ে দক্ষ নিরপেক্ষ ও গতিময় প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি করা হলে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি আরও জোর কদমে অগ্রসর হবে। ৩) ওষুধ ও চামড়া শিল্পে বাংলাদেশ বিশ^ স্বীকৃতভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। সে জন্য ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো এবং নীতি কৌশলে সহায়তা দিয়ে এ দুটো খাতে সম্পদ সৃষ্টি করা সম্ভব। ইটলস বিজয় পরবর্তী সময়ে গ্যাস অনুসন্ধানে ১২ নম্বর ব্লকে যে পঞ্চম স্ট্রাকচার পাওয়া গেছে তাতে বেশ বড় পরিমাণ গ্যাসপ্রাপ্তির আশা করা যাচ্ছে। সফলতা আসলে এবং ইতোমধ্যে আমদানি করা এলপিজি দিয়ে শিল্পায়নে গ্যাস সরবরাহে ফ্রোন্টলোডিং করা সম্ভব হবে পারে। বিদ্যুত উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার এবং গৃহস্থালি কাজে পাইপে গ্যাস সরবরাহ ক্রমবর্ধমান হারে কমাতে হবে এবং শিল্পায়নে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে। পারমাণবিক শক্তিতে বিদ্যুত পেতে দেরি আছে বিধায় রংপুর দিনাজপুরের এক শ’ বর্গকিলোমিটার মাটির নিচে যে উন্নতমানের কয়লা সম্ভার জমে আছে, তা ওপেট পিটে অত্যাধুনিক অথচ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে দশ থেকে বিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত করার জন্য আকর্ষণীয় দামে জমি ক্রয়, ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ সন্তোষে স্থানান্তর, কোম্পানিতে তাদের মালিকানা শেয়ার এবং কর্মযজ্ঞে তাদের সন্তান সন্ততিদের চাকরিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করে একটি মেগা উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ ২০১৯ সালের শুরুতেই নিতে হবে। ২০২২ সালে ৬০০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুত উৎপাদনকারী পায়রা প্রকল্পে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্তগণের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা দিশারী হতে পারে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ কর প্রয়োজন যে, পায়রাসহ সব গভীর সমুদ্র বন্দরের নাব্য বর্তমানের ৯-১০ ফুট থেকে ১৭-১৮ ফুট গভীরে নিয়ে যাওয়ার কাজে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। ৪) পরিকল্পনা সম্পদ ম্যাপিং, জাতীয় অগ্রাধিকর প্রণয়নে সহায়তা এবং গৃহীত অগ্রাধিকার সংরক্ষণ, সর্বোত্তম ফলাফল লাভকরা সম্পদ নিয়োজন ফর্মুলা নিরূপণ ও প্রোগ্রাম তথা পরস্পর সম্পর্কিত প্রকল্প সমূহ চিহ্নিতকরণ, প্রণয়নে সহায়তা এবং মনিটরিংয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে বাস্তবায়ন নিশ্চিতে সক্ষম একটি পরিকল্পনা কমিশন সৃষ্টি করা যেতে পারে, যা সরাসরি সরকার প্রধানের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে। ব্লু ইকোনমির সৃষ্টি, বিকাশ ও বাস্তবায়ন এখনই শুরু হতে পারে। ৫) পর্যটন ও বেসামরিক পরিবহন খাতটি হতে পারে আগামী পাঁচ বছরে সবচেয়ে লাভজনক শিল্প। প্রতিযোগী অনেক সংস্থা ঢাকায় ফ্লাইট যাতায়াতে বিশাল অঙ্কের লাভ গুণে অথচ বিমান কেন জানি ধুঁকছে। অপ্রচলিত সমাধানে দক্ষতার সন্ধান ও প্রয়োজনবোধে কিছু কালের জন্য ইউনিয়ন বন্ধ করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। যুক্তরাজ্যের পরামর্শে বেসামারিক পরিবহনে দক্ষ জনশক্তি ও ব্যবস্থাপনা বৃিদ্ধতে দীর্ঘসূত্রতা হয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। আশু পদক্ষেপে বিমানবন্দর ও ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় ক্ষিপ্রতা আনা যেতে পারে। প্রয়োজনবোধে স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট অংশীদার খোঁজা যেতে পারে। পর্যটন খাত একটি সোনার খনি হতে পারে। কক্সবাজারের ৮০ মাইল দীর্ঘ চমৎকার বিচে বেসরকারী খাতে অনেক কটেজ এবং বিত্তবান পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী গলফ কোর্স এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান লাভজনক হবে। তবে প্রথমেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ, বিশ্রাম, অফিস ও অন্যান্য অবকাঠামো অবিলম্বে বাড়ানো প্রয়োজন। অন্তত দেশীয় আঞ্চলিক সরাসরি ফ্লাইট, রেল ও সড়কপথে গতি বাড়ানোর চিন্তা করা যেতে পারে। অনুরূপভাবে বড় বড় চা বাগানে গলফ কোর্স নির্মাণ করা যায়। সিলেটে ইতোমধ্যে সৃষ্ট বিশ^মানের রিসোর্ট ছাড়াও টাঙ্গুয়ার হাওড়ে চিত্তাকর্ষক পর্যটন অবকাঠামো সৃষ্টি ও যাতায়াত সুবিধা সৃষ্টি করা জরুরী। তা ছাড়া সিলেটে দার্জিলিংয়ের মতো উন্নত মানের চা উৎপাদন এবং বেতশিল্পের আকর্ষণীয় পণ্যাদি পর্যটক আকর্ষণে সাহায্য করবে। ৬) ঢাকা মহানগরে ভবিষ্যতে একটি সিটি গবর্নমেন্ট হতে হবে। সে কথা স্মরণে রেখে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ও ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (ইওচউঅ) ক্ষমতায়ন এবং গ্যাস ও বিদ্যুতসহ বিভিন্ন সেবা খাত সিদ্ধান্ত দিতে পারা কর্তৃপক্ষের সমন্বয় অংশগ্রহণ জরুরী। মহানগরীর মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভার ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তবে জনবন্ধু শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত দোতলা আকাশ সড়ক, রিংরোড, জলপথ ও পাতাল রেলেই চূড়ান্ত সমাধান নিহিত। তবে ইশতেহারের স্পিরিট অনুসার গ্রামগঞ্জে নগর জীবনের সুবিধা ও অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে নগরে চলে আসার প্রবণতা কমানো যেতে পারে। গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী ও কেরানীগঞ্জে উপশহর নির্মাণ জরুরী। রেলপথ টঙ্গীতে থামিয়ে দিয়ে এবং রাজধানীর খেলার মাঠ পূর্বাচলে সরিয়ে নেয়া যেতে পারে। ব্যাংকসমূহের হেড অফিস ডিভিশন হেড কোয়ার্টারে, রেলের সদর ঈশ^রদীতে, নেভীর মুখ্য অফিস চট্টগ্রামে এবং চা-এর প্রধান অফিস শ্রীমঙ্গলে সরিয়ে দেয়া যেতে পারে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পর্যায়ক্রমিক ভিন্ন ভিন্ন অফিস সময়, বামলেনের যানকে বাঁয়ে মোড় বাধ্যতামূলক করা, রাজধানীর প্রবেশ পথগুলোতে টোল মেশিন বসানো, সেবা খাতের বিল পরিশোধ চেকে, পোস্টাল সেবা বা ইন্টারনেট ছাড়া পরিশোধ করতে না পারা এবং সমবায়ী ও ফিসক্যাল ব্যবস্থাধীনে পুরনো গণযানকে বড় বড় আধুনিক দোতলা বাস দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে। ৭) প্রবীণ প্রবীণের বয়সসীমা ৬৫ নির্ধারণ করে প্রবীণ নিবাস নির্মাণে সিএসআর ও অন্যান্য প্রণোদনা প্রদান, প্রবীণ নাগরিক নিবন্ধন কার্ড, সিকি ভাড়ায় প্রবীণদের সরকারী ও বেসরকারী যানবাহনে যাতায়াত সুবিধা, সিকি খরচে সব প্রকার হাসপাতালে প্রবীণদের চিকিৎসা প্রদানে অগ্রাধিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ৮) নারীর ক্ষমতায়নে ২০২৪ সালে ১২তম সংসদ নির্বাচন প্রত্যেকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শতকরা ২০ ভাগ মনোনয়ন নারীদের বাধ্যতামূলক বিধান খুবই সহায়ক হবে। মহিলা কোটায় সংসদ সদস্য কোটা উঠিয়ে দেয়ার বিষয়টিতে নারী নেতৃত্ব অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। জিডিপি গণনায় গৃহস্থালি কর্মকা-ে মহিলাদের অবদান সিংহভাগ অন্তর্ভুক্তির দুরূহ কাজটিতে মনোযোগ দেয়ার সুপারিশ করা হলো। এক্ষেত্রে ভারত ও মেক্সিকোতে যে কাজ হচ্ছে, তা বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ৯) বিশ^ব্যাপী সিনথেটিক অনীহার সুযোগে সোনালি আঁশ ফিরে এসেছে। কৃত্রিম আঁশ সংযুক্ত করে আকর্ষণীয় পাটতন্তুর চাহিদা বাড়ছে বিশ^ব্যাপী। তবে দেশে পলিথিন ব্যবহারে যে আইনী নিষেধাজ্ঞা আছে, তা কঠোরভাবে শতভাগ বাস্তবায়ন করা জরুরী। আর মোটরযানের অভ্যন্তরীণ সজ্জায় যে বস্ত্র জাতীয় জিনিস ব্যবহৃত হয়, সেখানে পাটতন্তুর প্রবেশে গবেষণা, বিনিয়োগ ও শুভেচ্ছা খরচের ব্যবস্থা নিলে অর্থ সম্পদ ছাড়াও কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে পাটশিল্প ক্ষেত্রে। পাটশলাকার আসবাব এবং পাট আঁশের নিত্যব্যবহার্য পণ্যসম্ভারও বিপুল সম্ভাবনাময়। ১০) অত্যন্ত দক্ষ কূটনীতিবিদ প্রধানমন্ত্রী জনবন্ধু শেখ হাসিনা যেভাবে বিশ^ পরাশক্তি গণচীন এবং আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি ভারত, রাশিয়া ও জাপানের পরস্পরবিরোধী স্বার্থের সমন্বয়ও সমঝোতা এনে বাংলাদেশের ভৌগোলিক কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগাচ্ছেন, তা অব্যাহত রাখতে না পারলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য সহায়তা, সমর্থন ও অভয়দানকারী বৃহৎ ও মহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গীবাদ দমন, ট্রানজিট করিডর প্রদান ও বন্দর সুবিধা ব্যবহারের সঙ্গে প্রতিবেশী নেপাল ভুটানের সঙ্গে করিডর ট্রানজিট, অভিন্ন নদীসমূহের পানিবণ্টন, জলবিদ্যুত উৎপাদন ও সঞ্চালন ইত্যাকার বিষয়ে সহযোগিতার বিস্তার ও গভীরায়ন করা যেতে পারে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে গণচীনের দৃঢ় সমর্থন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ নিতে হবে পুরোপুরি। জাপান ও রাশিয়ার পাশে থাকাও খুব মূল্যবান। ১১) আর্থিক, ব্যাংকিং ও বীমা খাতে বেশকিছু সমস্যা ও অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। তবে এতে কোন সঙ্কট নেই। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এখনও সমস্য সমাধানের আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। ন্যূনতম রক্তক্ষরণে এক্ষেত্রে সব সমস্যা সমাধান করে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক, স্বচ্ছ, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক আর্থিক ও ব্যাংকিং বীমা খাতের সংস্কার কাজ হাতে নেয়া যেতে পারে। যদি কেউ প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের এসব অসাধারণ অর্জনে আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির মহাসড়কে দ্রুতবেগে ধাবমান জয়ে বিশ^বাসীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে, তার পেছনের রহস্য কি? উত্তরটি কঠিন নয়। বাংলাদেশের জনগণ সাধারণত অত্যন্ত সদাশয়। এখানে কিষান-কিষানি ও সব প্রকার শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম দেশের একটি বড় সম্পদ। ’৭২ সালে প্রায় শূন্যের কোঠা থেকে উঠে আসা একটি উদ্যমী ও দক্ষ উদ্যোক্তা শ্রেণী বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিপুল ভূমিকা রাখছে। অবশ্য চলার পথে খেলাপী হয়ে যাওয়া ঋণের একটি অংশকে (ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিকূলতায় সৃষ্ট) উদ্যোক্তা সৃজনে সামাজিক বিনিয়োগ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। কিন্তু বিশ^ চরাচরে বাংলাদেশের চৌকস, উদ্ভাবনী, সাহসী, প্রযুক্তি ব্যবহারপ্রবণ, দক্ষ, কূটনীতি, সংস্কৃতিমনা এবং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সরকারপ্রধান জনবন্ধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বই হচ্ছে হচ্ছে বাংলাদেশের মুকুটে শ্রেষ্ঠ ভূষণ। অব্যাহত অগ্রগতিতে এর ধারাবাহিকতার কোন বিকল্প নেই। (সমাপ্ত) লেখক : সাবেক গবর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
×