ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদুল হাসানের ধারাবাহিক ‘লাকি থার্টিন’ প্রচার শুরু

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

 ফরিদুল হাসানের ধারাবাহিক ‘লাকি থার্টিন’ প্রচার শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্যাটেলাইট চ্যানেল আরটিভিতে গতকাল থেকে প্রচার শুরু হয়েছে মেধাবী নির্মাতা ফরিদুল হাসানের দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘লাকি থার্টিন’। নাটকটি রচনা করেছেন জাকির হোসেন উজ্জ্বল। ‘লাকি থার্টিন’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমিরুল হক চৌধুরী, আনিসুর রহমান মিলন, অহনা, সাজু খাদেম, সিদ্দিকুর রহমান, শর্মিলা আহমেদ, খালেদা আক্তার কল্পনা, ফারজানা ছবি, ফারুক আহমেদ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, মৌসুমী নাগ, নাজিরা মৌ, হুমাইরা হিমু, এ্যানি খান, তানিয়া বৃষ্টি, আমীন আজাদ, সোহেল খান, শফিক খান দিলু, মিলি বাসার, আনন্দ, নাছির উদ্দিন মাসুদ ও আরও অনেকে। নাটকটি সপ্তাহে প্রতি রবি, সোম, মঙ্গল, রাত ১০টায় আর টিভিতে প্রচার হবে। ‘লাকি থার্টিন’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে উত্তর তাজপুর গ্রামের মোহাব্বত হাওলাদারের বিশাল একান্নবতি পরিবার। সত্তর বৎসর বয়সী মোহাব্বত হাওলাদারের স্ত্রীদের মধ্যে এখনও তিনজন তার সঙ্গে আছেন। তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা সংসার। বাকীদের কেউ কেউ মারা গেছেন কেউ তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছিলেন পনের বছর বৎসর আগে। ছেলে মেয়ে সব বড় হয়ে গেছে। এমনকি নাতি নাতনিদের মধ্যেও অনেকের বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। সবার ধারণা হয়েছিল বিয়ে রোগ মনে হয় সেরে গেছে তার। কিন্তু তখনই তিনি হঠাৎ একদিন নতুন একটা বিয়ে করে নিয়ে আসেন। মোহাব্বত হাওলাদার ভ্যানগাড়িতে করে নববধূ বেশে লাকিকে নিয়ে গ্রামে ঢুকতেই মোটামুটি হৈচৈ পড়ে যায়। মূহূর্তে সংবাদটা ছড়িয়ে যায় চারদিকে। তার পরিবারের লোকজনতো আছেই, গ্রামের লোকজন ছুটে আসতে থাকে। সংবাদ পেয়ে মোহাব্বত হাওলাদারের বৌয়েরা ঝাড়ু নিয়ে বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করে। ছেলেরা প্রতিজ্ঞা করে কিছুতেই বাবার এইরকম একটা কাজ তারা সমর্থন করবে না। আর নাতি নাতনীরা এবং গ্রামবাসী কৌতুহলি হয়ে অপেক্ষা করে কি ঘটে দেখার জন্য। মোহাব্বত হাওলাদার বাড়ির সামনে আসে। সন্তানরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে সেটা সে আগে থেকেই জানে। এর আগেও সে এই ধরণের পরিস্থিতিতে পড়েছে। তবে আগে যেমন ধমক দিয়ে বা দুই চারটা চড় থাপ্পড় দিয়ে তত করে নতুন বৌ নিয়ে ঘরে চলে যেন এবার যে সেটা হবে না বুঝতে পেরেছিলেন। বাড়ির সামনে ছেলেরা যখন ভেন থামিয়ে দেয় তিনি পকেট থেকে একটা সবুজ গ্রেনেড বের করেন। কেউ যদি তাকে বাড়িতে বৌ নিয়ে ঢুকতে বাঁধা দেয় তাহলে নিজেকে শেষ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। গ্রেনেড দেখে সবাই সরে যায়। ঝাড়– হাতে বৌয়েরাও পিছিয়ে যায়। মোহাব্বত হাওলাদার তার স্ত্রীকে নামিয়ে সম্মানে তার ঘরে নিয়ে যায়।
×