ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে জাগরণী থিয়েটারের ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

ভারতে জাগরণী থিয়েটারের ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের দুই প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের দুটি মঞ্চায়ন করতে ভারতে অবস্থান করছে বাংলাদেশের অন্যতম নন্দিত নাট্য সংগঠন জাগরণী থিয়েটারের কর্মীরা। দলসূত্রে জানা গেছে গতকাল সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে কলকাতার তপন থিয়েটারে অনীক আয়োজিত গঙ্গা যমুনা নাট্যোৎসবে ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের মঞ্চায়ন করে জাগরণী থিয়েটার। এছাড়া আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে উড়িষ্যার রাউরকেলার সিভিক সেন্টারে স্পন্দন আয়োজিত বহুভাষী নাট্যোৎসবে ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। পাশাপাশি ২৭ ডিসেম্বর স্পন্দন আয়োজিত ফোক নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে জাগরণী থিয়েটারের নৃত্যশিল্পীরা। উৎসবে অংশ নিয়ে আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরবে জাগরণী থিয়েটারের কর্মীরা। জাগরণী থিয়েটারের এই নাট্য সফরের সদস্যরা হলে- স্মরণ সাহা, অনিকেত পাল, বাহারুল ইসলাম, সাজিদ আহমেদ রনি, সজীব ঘোষ, ইয়াসিন শামিম, এমডি আকাশ শেখ, পল্লব সরকার, আরিফ খান, জুলিয়েট সুপ্রিয়া সরকার, রিপা হালদার, মুনিরা অবনী, মানিক তাপস, রাসিন আহমেদ। জাগরণী থিয়েটারের ১৬তম প্রযোজনা ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনা দিয়েছেন অনিকেত পাল। নাটকের সহযোগী নির্দেশক স্মরণ সাহা, মঞ্চসজ্জা ও কোরিওগ্রাফি অনিকেত পাল বাবু, আলোক পরিকল্পনায় ঠান্ডু রায়হান, সঙ্গীত পরিকল্পনা সোয়েব হাসনাত মিতুল, পোস্টার আমিনুর রহমান মুকুল, পোশাক রিপা হালদার, দ্রব্য পরিকল্পনা রফিকুল ইসলাম রনি, শব্দ নিয়ন্ত্রক আকাশ, স্থির চিত্র প্রবীর ঘোষ রনি, ব্যবস্থাপনা প্রধান মোহানী মানিক, মঞ্চ ও হল ব্যবস্থাপনা বাবুল ইসলাম হৃদয়, রোকনুজ্জামান আপেল, সিমু, ফিরোজ, ইসমাইল, সাইফুল, সমন্বয়ক আজমল আমিন, প্রযোজনা অধিকর্তা স্মরণ সাহা। ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে পনেরো শতকের জার্মানির বিখ্যাত শিল্পী আলব্রেখট ডুরের শিল্পী হওয়ার কাহিনী পড়ে অমরের ফাইন আর্টস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা জাগে। আলব্রেখটকে শিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে ভাই আলবার্ট খনিতে কাজ করতে করতে যে হাত জোড়া ক্ষয়ে গিয়েছিল, ভাই আলবার্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলব্রেখট ওই বিশেষ মুহূর্তটিকে ধরে রেখেছিলেন তাঁর এক অমর শিল্পকর্মে। তাঁর এই অসামান্য অংকনকে তিনি কেবল হাত বলেই নাম রেখেছিলেন। শিল্পের জন্য কি অসাধারণ আত্মত্যাগ ভাই আলবার্টের। আমরা যদি সবাই আত্মত্যাগের মানসিকতাই বড় হই, শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের কথা না ভাবি, তাহলে আমরা সমাজকে দেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। এ বিশ্বাসকে ধারণ করে ফাইন আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে অনিল কাকুর মেয়ে শ্যামার সঙ্গে অমরের পরিচয়। শিল্পের প্রতি অসামান্য ভালবাসা ও অনুরাগ শ্যামাকে অমরের কাছে টানে। রূপ নেয় ভালবাসায়। ভালবাসার একপর্যায়ে শ্যামা প্রত্যাখ্যান করে অমরের বিয়ের প্রস্তাব। নিজেকে শ্যামার জন্য আত্মত্যাগী ভেবে পার করে একাকিত্ব জীবন। শ্যামার প্রত্যাখ্যানের সঠিক কারণ শ্যামার আত্মত্যাগ, অমর জানতে পারে আত্মত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত। আত্মত্যাগী গল্প নিয়ে সৃষ্টি ‘আমি ও শ্যামা’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে এ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭-৩০ মিনিটে ‘আমি ও শ্যামা’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। এরপর নাটকটির একাধিক মঞ্চায়ন হয়েছে।
×