ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ পর্যন্ত তিন প্রবাসী গ্রেফতার

চীনে কানাডীয় কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৭:৪১, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

 চীনে কানাডীয় কমিউনিটির  মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে

চীনে তৃতীয় কানাডার নাগরিক আটক হওয়ার পর কানাডীয় কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। চীনা প্রবাসী কানাডীয়দের কাছে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা যদিও নতুন কোন বিষয় নয়। তারপরও বর্তমান পরিস্থিতি তাদের নতুন করে উৎকণ্ঠিত করে তুলেছে। এএফপি। বেজিং বৃহস্পতিবার কানাডীয় নাগরিক সারাহ ম্যাকলভার গ্রেফতার হওয়ার খবর নিশ্চিত করে। বেজিং বলেছে সারাহ ‘অবৈধভাবে কাজ করছিলেন’। এর আগে একই কারণে দুজন কানাডীয়কে গ্রেফতার করা হয়। কানাডা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বশেষ আটকের ঘটনা ভিসা নিয়ে জটিলতার কারণে হয়ে থাকতে পারে, যা প্রায়ই ঘটে থাকে। তা সত্তে¡ও ঘটনাটি চীনে প্রবাসী কানাডীয়দের শঙ্কা বাড়িয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে, আইনের কারণ দেখিয়ে আরও কানাডীয় আটক হতে পারে। সাংহাইভিত্তিক রিকি এনজি এ্যাডাম বলেছেন,‘আমি মনে করি এখানকার কানাডীয় প্রবাসী প্রত্যেকের মধ্যেই কোন না কোন ধরনের আশঙ্কা রয়েছে। গ্রেফতার বা কোন ধরনের শাস্তিমূলক অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার ভীতি কাজ করছে তাদের মনে। এ্যাডাম সাংহাইয়ে প্রবাসী কানাডীয় কমিউনিটিতে কোডারবাঙ্কার নামে একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান চালান। তিনি বলেন, তারা যে সব সময় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তা নয়, হয়রানি এড়াতে প্রবাসী কানাডীয়রা সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সতর্কতার সঙ্গে পোস্ট দিয়ে থাকে। তারা এক ধরনের আত্মসেন্সরশিপ নীতি অনুসরণ করে থাকে। মাইকেল কভরিগ একজন সাবেক কানাডীয় রাষ্ট্রদূত। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রæপের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা। চলতি মাসের ১০ তারিখ তিনি গ্রেফতার হন। কভরিগের সঙ্গে আরও গ্রেফতার হন চীনে কনসালটেন্ট ব্যবসা পরিচালনাকারী মাইকেল স্প্যাভর। স্প্যাভর প্রায়ই উত্তর কোরিয়া সফর করে থাকেন। যদিও এ তিনটি গ্রেফতারের মধ্যে কোন যোগসূত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রথম দুটি ঘটনার ক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের অন্যতম শীর্ষ নির্বাহী মেং ওয়াংঝুকে গ্রেফতারের সম্পর্ক থাকতে পারে। মেং চলতি মাসের গোড়ারদিকে কানাডায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। কভরিগ এবং স্প্যাভরকে গ্রেফতারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, তারা এমন কর্মকা্নড লিপ্ত হয়েছিলেন যা চীনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। অটোয়া ও ওয়াশিংটন শুক্রবার তাদের উভয়ের মুক্তি দাবি করেছে। বিষয়টি নিয়ে বেজিংয়ের ওপর ক‚টনৈতিক চাপ বাড়ছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
×