ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত আমজাদ হোসেন

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

  জামালপুরে বাবা মায়ের কবরের পাশে শায়িত আমজাদ  হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেলুলয়েডের পর্দায় নির্মাণশৈলীতে দর্শককে হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন। কখনও বা আঁচড় কেটেছেন মনোজগতে। আবার যখন অভিনয় করেছেন ছড়িয়েছেন অপার মুগ্ধতা। মেধার বহুগামিতায় যখন সাহিত্য রচনা করেছেন সেটাও আলোড়িত করেছেন পাঠককে। আপন সৃজনশীলতায় আপামর মানুষকে এভাবেই নিমজ্জিত করে রেখেছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, কথাশিল্পী ও অভিনেতা আমজাদ হোসেন। তাই বিদায় বেলায় সঙ্গী করে নিলেন সেসব মানুষের ভালবাসা। শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে গেল তার শবদেহ। তার সৃষ্টির আলোয় আলোড়িত মানুষরা কথা বললেন তার কীর্তিময় জীবন। স্মরণ করলেন সৃষ্টিশীলতার কথা। এমন করেই শুভাকাক্সক্ষী, স্বজন, সহকর্মীদের চোখের জল আর বুকের ভালবাসাকে জড়িয়ে জীবনের শেষ যাত্রাকে করে রাখলেন স্মরণীয়। শনিবার শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হলো এই কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতাকে। শীতের সকালে তার কীর্তিতে গুণমুগ্ধরা সারি বেঁদে ফুল দিয়েছেন কফিনে। শহীদ মিনারের নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব শেষে শবদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এটিএন বাংলা অফিসে। সেখানে দ্বিতীয় দফা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শবদেহ পৌঁছেছে তার বর্ণবহুল জীবনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে। তার ছবিতে কাজ করা শিল্পী থেকে শুরু করে সহযোদ্ধা পরিচালক কিংবা চলচ্চিত্রের কুশলীরা জানিয়েছেন আরেক দফা শ্রদ্ধাঞ্জলি। বেদনার রেখাটানা বিষণ্ণ অভিব্যক্তি আর অশ্রুবিন্দুতে তারা প্রকাশ করেছেন তাদের কতটা আপনজন ছিলেন আমজাদ। এখানেই অনুষ্ঠিত হয় এই কীর্তিমানের দ্বিতীয় জানাজা। সেই জানাজার চ্যানেল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় দফা জানাজা। এরপর স্বজনরা শবদেহ নিয়ে বিকেলের পর রওনা হন তার জন্মভূমি জামালপুরে। সেখানেই তার ইচ্ছানুযায়ী জামালপুর পৌর করবস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে রবিবার সকালে সমাহিত করা হয় এই গুণী নির্মাতাকে। আগামী বুধবার চলচ্চিত্র পরিবারের পক্ষ থেকে বিএফডিসিতে অনুুষ্ঠিত হবে আমজাদ হোসেনের শোকসভা। থাকবে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন। শহীদ মিনারের শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ সকাল ১১টা ২০ মিনিটে বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা আমজাদ হোসেনের মরদেহ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব। নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী, শিক্ষাবিদসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জানিয়েছে ভালবাসা। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে শবদেহে অর্পণ করেছেন শ্রদ্ধার প্রতীকী পুষ্পাঞ্জলি। গগন শিরীষ বৃক্ষতলে রাখা আমজাদ হোসেনের মরদেহের পেছনে অশ্রুসিক্ত নয়নে দাঁড়িয়েছিলেন দুই ছেলে সোহেল আরমান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলসহ পরিবারের সদস্যরা। পিতার মতো মানুষের এমন হৃদয় উজাড় করা ভালবাসায় আপ্লুত হয়ে কান্না জড়ানো কণ্ঠে বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, বাবা দেখ, আজ সারা বাংলাদেশ তোমার জন্য কাঁদছে। আমার বাবা একটি গানের বাণীতে লিখেছিলেনÑ ‘গাছের একটা পাতা পড়লে/কাছের একজন মানুষ মরলে কে তার খবর রাখে ?’ আমি আজকে বাবাকে বলব, বাবা। দেখ, সারা বাংলাদেশ আজকে তোমার খবর রাখছে। তোমার জন্য কাঁদছে। দোদুল আরও বলেন, আমার বাবা ছিলেন নির্লোভ একজন মানুষ। তিনি দেশকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসতেন। সেই ‘জীবন থেকে নেয়া’ থেকে শুরু করে ‘কাল সকালে’ পর্যন্ত তার কলম চলেছে সমান্তরালে। স্মৃতিকথা মেলে ধরে দোদুল বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সিনেমা আমার বাবা নির্মাণ করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘বাংলার মুখ’, আমরা সেই সিনেমার পোস্টার দেখেছি। একাত্তরের যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এই ছবিটির দৃশ্য ধারণ করা হয়। কিন্তু এফডিসি থেকে কোন কালো হাত সেই ছবির পিকচার ও সাউন্ড নেগেটিভ গায়েব করে দেয়। যদি ‘বাংলার মুখ’ আলোর মুখ দেখত তাহলে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে উচ্চারিত হতো আমার বাবার ছবির নাম, ‘ওরা ১১ জন’ নয়। ছোট ছেলে সোহেল আরমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের পুরো পরিবার কৃতজ্ঞ। বাবা অসুস্থ হলে শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণ করেছেন। সহায়তা দিয়ে ব্যাংককে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। আর একজন শিল্পী যে সম্মান নিয়ে পৃথিবী থেকে যেতে চান, আমার বাবাকে সেই সম্মানই দেয়া হচ্ছে। বিদায় যাত্রায় নিয়ে গেলেন অগণন মানুষের ভালবাসা। একজন শিল্পীর চলে যাওয়ার সময় এর চেয়ে প্রাপ্তি আর হতে পারে না। দেশের প্রতি আমজাদ হোসেনের ভালবাসার কারণেই মৃত্যুর আগে দেশও তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে সেই ভালবাসা। বাবা এই দেশটাকে মনে-প্রাণে ভালবাসতেন। সব সময় আমাদের বলতেন, এই দেশকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছি, সব সময় ভালবাসবে। এই দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসবে এবং দেশের কল্যাণে কিছু করার চেষ্টা করবে। আমজাদ হোসেনের অনন্য কীর্তির কথা তুলে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভায় উজ্জ্বল এক ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে গান রচনা, নাটক লেখা কিংবা সাহিত্য সৃজনÑসবকিছুতেই ছিলেন অনন্য। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি যেভাবে এ দেশকে তুলে এনেছেন, তার আর কেউ পারেননি। গ্রাম থেকে উঠে আসা মানুষটি সেলুলয়েডে সেই জীবনটাকে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। মামুনুর রশীদ বলেন, ছয় দশক ধরে তিনি কাজ করেছেন চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সাহিত্যাঙ্গণে। শিল্প জীবনের সম্পূর্ণ ভাগই তিনি সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। এমন একজন শিল্পী ছিলেন, যে কাজ ধরতেন, সেটার পেছনে লেগে থাকতেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, তিনি এ দেশের চলচ্চিত্রে নতুন আবহাওয়া সৃষ্টি করেছিলেন। সেললুয়েডে তিনি সাধারণ মানুষের জীবনকে তুলে ধরেছেন। উনি প্রমাণ করেছেন, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাই আমার সত্ত্বা। একজন আমজাদ হোসেনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে তার সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে। রামেন্দু মজুমদার বলেন, তিনি এদেশের সুস্থ চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তার চলচ্চিত্রে শিক্ষনীয় বিষয় ছিল। নাটকেও তিনি হাসি-ঠাট্টার আড়ালে তুলে ধরেছেন সমাজের নানা অসঙ্গতিকে। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আগে তিনি তার লেখনী দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। এরপর চলচ্চিত্রে তিনি বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। তিনি চলচ্চিত্রে ‘আমজাদীয়’ ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। তার পরিচালনা কৌশল ও অভিনেতাদের পরিমিত অভিনয় আদায়ের মধ্য দিয়ে। তিনি যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ না করে, শুধুমাত্র সাহিত্যচর্চাও করতেন, তাহলেও এ দেশের সাহিত্যাঙ্গণে তার অবস্থান সুদৃঢ় হতো। নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। তিনি জনপ্রিয় ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেও, সেগুলোতে ছিল খুবই শক্তিশালী বক্তব্য নির্ভর। ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতিতে তিনি একজন অংশীদার ছিলেন। শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, লায়লা হাসান, মামুনুর রশীদ, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রামেন্দু মজুমদার, ফকির আলমগীর, মোরশেদুল ইসলাম, কেরামত মাওলা, সালাউদ্দিন লাভলু, রোকেয়া প্রাচী, জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক হেলাল খান। বিএফডিসিতে সহযাত্রীদের ভালবাসা ॥ শহীদ মিনার থেকে আমজাদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে আসা হয় কাওরান বাজারের এটিএন বাংলা কার্যালয়ে। সেখানে এটিএন বাংলার কর্মকর্তা-কর্মচারী তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিএফডিসি চত্বরে। আমজাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের এ কর্মস্থলে তার সহযাত্রীরা তার শবদেহে ভালবাসায় ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এফডিসির মান্না ডিজিটাল সাউন্ড কমপ্লেক্সের সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, অভিনেত্রী আনোয়ারা, প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়ক ওমর সানী, আরেফিন শুভ, ড্যানি সিডাক, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমির হোসেন, রিয়াজ, ফেরদৌস, জায়েদ খান, সায়মন সাদিক, অমিত হাসান, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, সোহানুর রহমান সোহান, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চন, পূর্ণিমা, সুরকার আলাউদ্দিন আলী, ফুয়াদ নাসের বাবু, এটিএম শামসুজ্জামান প্রমুখ। সাংগঠনিকভাবে শ্রদ্ধা জানায় ডিরেক্টরস গিল্ড, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, বাচসাস, এডিটরস গিল্ড, সিনে স্টার ফোরাম, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র ব্যবস্থাপক সমিতি, চিত্রগ্রাহক সংস্থা, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, অঙ্গসজ্জাকর সমিতি, ফিল্ম ক্লাব। এফডিসিতে তার দ্বিতীয় দফা জানাজা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তারানা হালিম বলেন, আমজাদ হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র একজন শিক্ষক, একজন মনীষী, একজন গুনী ও সর্বোপরি একজন ভাল মানুষকে হারাল। আমজাদ হোসেনের কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাবে। শ্রদ্ধা জানাতে এসে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র চলচ্চিত্রের নায়িকা ববিতা বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের মাইলফলক হয়ে থাকবেন আমজাদ হোসেন। চলচ্চিত্রে এ গুণী মানুষটির অবদানের কথা বলে শেষ করা যায় না। তার প্রতিটি চলচ্চিত্র সমাজের কথা বলেছে। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে বিভিন্ন উৎসবে যোগ দিয়েছিলাম। উৎসবে যোগ দেয়া চলচ্চিত্রকার বলেছিলেন, ‘এত সঙ্কটময় একটি শিল্প নিয়ে তোমরা কিভাবে এত ভাল কাজ করছ’। তার চলচ্চিত্র এতটাই দর্শকপ্রিয় ছিল যে, প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো কঠিন ছিল। সুচন্দা বলেন, তার মৃত্যুর মাধ্যমে চলচ্চিত্র, সাহিত্য ও নাটকে শূণ্যতা নেমে এলো। তার সংলাপ সবচেয়ে প্রিয়। এসব সংলাপ চরিত্রগুলোকে আপন করে তুলত। চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, সৃষ্টির মধ্য দিয়েই মনে রাখতে হবে তাকে। তার সঙ্গে শুটিং করতে গেলে, মনে হতো শিল্পীরা একটি সংসার গড়ে তুলেছেন। এতটাই গুণী পরিচালক ছিলেন যে, স্পটে বসেই তিনি সংলাপ লিখতেন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ দেখে মনে হয়েছিল, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পরিচালকদের মধ্যে তিনি একজন। আলমগীর বলেন, সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এফডিসির ডিরেক্টরস স্টাডি রুমে তার সঙ্গে আড্ডা হতো। সেসব আড্ডা ছিল এক একটি ক্লাস, যার শিক্ষক ছিলেন আমজাদ হোসেন। জামালপুরে বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত ॥ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমজাদ হোসেনের মরদেহ সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। এখানে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন আমজাদ হোসেনের চার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল, কল্লোল, মৃদুল, সোহেল আরমান, পরিচালক এস এ হক অলিক, সাবেক ভূমিমন্ত্রী আলহাজ রেজাউল করিম হীরা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এ সময় ছোট ছেলে সোহেল আরমান বাবার নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার দাবি জানান। পরে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে দুপুর ১২টায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় আমজাদ হোসেনকে।
×