ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে হুমকির মুখে ফসলি জমি

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

আমতলীতে হুমকির মুখে ফসলি জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ আইন ও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বরগুনার আমতলী-তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্ষেতে ইটভাটা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে আতাত করেই ইটভাটার মালিকরা অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন এমন অভিযোগ কৃষকদের। ইটভাটার মালিকরা নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করছে না। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। জানাগেছে, কৃষি জমি ও পরিবেশ রক্ষায় ফসলি জমিতে ইটভাটি না গড়ার আইন থাকলেও অবৈধ ইটভাটা মালিকরা তা মানছে না। বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি অফিসের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়া ২৭ টি ঝিকঝ্যাঁক, ড্রাম চিমনি (ব্যারেল) ও পাজা ইট পোড়ানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনির ইটভাটি স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানী হিসাবে অনেক ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ ব্যবহারের জন্য গ্রাম থেকে বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে স্তুপ করে রেখেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকির আশঙ্কা করেছে পরিবেশবাদীরা। কৃষি জমিতে ইটভাটি নির্মাণ করায় ফসল নষ্ট হচ্ছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলি জমি। পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কর্যালয়ের পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, আমতলীতে অনেক ইটভাটির পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি। ওইখানে অধিকাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। যাদের ছাড়পত্র নেই তাদের নোটিশ দিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের নীতিমালা লঙ্ঘন করে কেউ ইটভাটা নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন বলেন, অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেক ইটভাটার বিরুদ্ধে অর্থদন্ড করা হয়েছে। নির্বাচনের পরে জোড়ালো ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×