ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক ও সাইবার অপরাধ বাড়ছে ॥ র‌্যাব ডিজি

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

 আর্থিক ও সাইবার অপরাধ বাড়ছে ॥ র‌্যাব ডিজি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন নির্বাচন যথেষ্ট শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। এতে কোন সন্দেহ নেই। ভোটাররা সবাই শান্তিপূর্ণ ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং নতুন সরকার গঠন করবেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বেনজীর আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহ পরই জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন এবং সরকার গঠন করবেন। নির্বাচনে অতীতের মতো সাংবাদিক ও আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। অপরাধ কমলেও নতুন নতুন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এই বিষয়টি ক্রাইম রিপোর্টাররা তুলে আনতে পারেন। তিনি বলেন, ফিন্যান্সিয়াল ও সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। মিথ্যে কথা ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। যদিও মিথ্যে বলে আমরা সেটা পাত্তা দিই না। অস্বস্তিকর, বিরক্তিকর প্রোপাগান্ডা ছড়ানোকারীরা বিকারগ্রস্ত। আমাদের বিশ্বাস, গুরুত্ব একই রকম। শুধু কিছুসংখ্যক মানুষের ওই প্রোপাগান্ডা ছড়ানোয় জড়িতরা নিজেদের অসহায়ত্ব ও কুরুচির বহির্প্রকাশ ঘটাচ্ছে। র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, ফিনান্সিয়াল ক্রাইমের ক্ষেত্রে অনেক অপরাধ হচ্ছে যা সাদা চোখে দেখা যায় না। আর্থিক খাতে প্রতারণা হচ্ছে। দেওয়ানী প্রকৃতির এসব অপরাধের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ কিছু করার থাকে না। আর এসব মামলার বিচার কাজে খুবই সময় লাগে। একটা মামলার বিচার সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৯ মাস হলো স্ট্যান্ডার্ড। এই সময়ের মধ্যেই বিচার কাজ হওয়া উচিত। জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যা ও সুযোগ-সুবিধা যেন বাড়ে সেজন্য গণমাধ্যমের ভাইয়েরা কাজ করতে পারেন। অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদকদের নিজেদের সহকর্মী ও বন্ধু উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবর্তনের ছোঁয়া চারদিকে। ২০ বছর আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। অনেক পরিবর্তন এসেছে। মিডিয়া জগতে দাপট ক্রাইম রিপোর্টারদের বেশি। মিডিয়ার প্রাণ বলা যায় ক্রাইম রিপোর্টাদের। দারিদ্র্যের সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক রয়েছে। দারিদ্র্য কমায় অপরাধও কমেছে দেশে। এ অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) এসএম রুহুল আমিন বলেন, আমরা অপরাধ দমন করি আর আপনারা রিপোর্টাররা তথ্যচিত্র তুলে ধরেন। সেখানে আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বিরোধের কোন সুযোগ নেই। যখন নিজের কাজটা করি না, তখন বিরোধ হতে পারে। আবার নিজের কাজটা ঠিক করলেও যখন পেঁচিয়ে প্রতিবেদন হয়, তখনও হতে পারে। সেটা উভয়পক্ষেরই হতে পারে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজের কাজটা করলে দেশ এগিয়ে যাবে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, জাতি গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সব ধরনের সহযোগিতা ছিল, তা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ক্র্যাবের সভাপতি আবু সালেহ আকন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোঃ আলমগীর হোসেন, র‌্যাবের এডিজি (অপস) কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম ও এডিজি এ্যাডমিন ডিআইজি জামিল আহমেদ। পুলিশের ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য মাঠে থাকবে ॥ এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে পুলিশের ১ লাখ ৭০ হাজার সদস্য। ২ লাখ ১০ হাজারের ফোর্সের ৮০ ভাগ সদস্য এদিন ব্যস্ত থাকবে নির্বাচনী দায়িত্বে। কাউকে দুই শিফট আবার কাউকে আরও বেশি সময় ডিউটি করতে হবে। নির্বাচনে প্রার্থী, ভোটার, প্রিসাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসারসহ প্রত্যেককে নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে নির্বাচনী ছক তৈরি করেছে পুলিশ। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব সদস্যরা মাঠে থাকলেও নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব থাকবে পুলিশের ওপর। ইতোমধ্যে সারাদেশের বিভাগীয় রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) ঢাকায় দুই দফা ব্রিফ করেছেন নির্বাচন কমিশন ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
×