ধানের শীষ আপদ, নৌকা বিপদ ॥ সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় এলেও কোন লাভ নেই। ধানের শীষ একটা আপদ, নৌকা আরেকটা বিপদ। এখন এসবের একটা পরিবর্তন দরকার। এজন্য গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। দেশের অর্থনীতি ঢেলে সাজাতে হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। চোর-বাটপারদের দিয়ে এটা হবে না। এজন্য প্রয়োজন নীতিবান, আদর্শবান নেতৃত্ব। শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া বাজারে গাজীপুর-৪ আসনের দলীয় প্রার্থী মানবেন্দ্র দেব’র গণসংযোগ শেষে এক পথসভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ৩০ তারিখে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। সবাই আমাকে প্রশ্ন করে ৩০ তারিখে ভোট দিতে পারব তো। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা এমন করে সাজানো হয়েছে যারা ক্ষমতায় আছে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না। দেশে দুইটা ভাগ হয়ে গেছে। এক ভাগ মানুষ একদিকে, ৯৯ ভাগ মানুষ আরেক দিকে। এক ভাগ আবার দুটি গোষ্ঠী হয়ে গেছে। একটা ধানের শীষের গোষ্ঠী আরেকটা নৌকার গোষ্ঠী। খেয়াল করে দেখবেন আবাহনী মোহামেডান যেমন কেনা বেচা হয়, আজকে নৌকার লোক হয়ে গেছে ধানের শীষ। তাদের নীতি আদর্শ বলতে কিছু আছে কি? নাই। অনেকে বলে বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা হলো এমপিগিরি ব্যবসা। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, যে পার্লামেন্টে ৮০ ভাগ ব্যবসায়ী সেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আইন হবে? নাকি পাবলিকের স্বার্থে আইন হবে? আপনারা বুঝে নেন। এই অবস্থা আর কতদিন চলবে। তিনি বলেন, কাপাসিয়ার মাটির সন্তান তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, আমি দরকার হলে একশ বছর ঘাস খেয়ে থাকব কিন্তু কোন শর্তযুক্ত ঋণ নেব না এবং কাউকে আমি এই সম্পদ বিদেশে পাচার করে নিয়ে যেতে দিব না। আজকে সম্পদ পাচার হচ্ছে এবং এভাবে হাজার হাজার লাখো কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এখন ঋণখেলাপীতে ভরে গেছে দেশ। এই ঋণখেলাপীদের ঋণ যাতে বাজেয়াফত করা যায়। একটা পদ্মা সেতু শেখ হাসিনা করেছেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে সমস্ত বেআইনী সম্পত্তি বাজেয়াফত করে পদ্মা সেতুর মতো তিনটা সেতু করে দেব। অর্থনীতি ঘুরিয়ে দেব। প্রার্থী মানবেন্দ্র দেব বলেন, কৃষকের মার্কা দেশ-জনতার মার্কা কাস্তে মার্কা। দেশের মানুষের মর্যাদা রাখতে, দেশের কৃষকের মর্যাদা রাখতে তিনি কাস্তে মার্কায় ভোট চান। তিনি বলেন, ভ‚মি অফিস দুর্নীতি ও পল্লীবিদ্যুতে চারশ’ টাকার মিটার দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা, দশ হাজার, চৌদ্দ হাজার টাকা দিয়ে ঘুরতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। গণসংযোগ ও পথসভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ছাড়াও ছাত্র ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মানবেন্দ্র দেব, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি রুহুল আমীন, সিপিবি জেলা সভাপতি জয়নাল খান, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।