ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুতে মার্চের মধ্যে আরও ৮ স্প্যান বসছে

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

  পদ্মা সেতুতে মার্চের  মধ্যে আরও ৮ স্প্যান বসছে

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুতে আগামী মার্চের মধ্যে আরও অন্তত আটটি স্প্যান বসছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন ৬নং মডিউলের ৩৭ থেকে ৩৩ নং খুটিতে চারটি এবং ৩নং মডিউলের ১৩ থেকে ১৭নং খুঁটি পর্যন্ত আরও চারটি স্প্যান বসানোর টার্গেট নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে ৩৬ নং খুঁটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এই খুঁটির ফিনিশিং ক্যাপের ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। ঢালাইয়ের পরবর্তী ৭/৮ দিন পরেই খুঁটি স্প্যান বসানোর উপযোগী হয়। সে অনুযায়ী বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এই ৩৬ ও ৩৭নং খুঁটির উপরে ৭ম স্প্যানটি (৬-এফ) বসানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখন বাদ সেধেছে চ্যানেলের নাব্য সঙ্কট। সেতুর চ্যানেলের পানির গভীরতা কম থাকায় প্রায় ৩ হাজার টন ওজনের এই স্প্যান বহন করে ভাসমান ক্রেনটি যেতে পারছে না। ৩৬ শ’ টন ধারণ ক্ষমতার বিশাল ভাসমান ক্রেনটি গন্তব্যে যাবার উপযোগী করতে দিনরাত পদ্মায় ড্রেজিং চলছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর এই স্প্যানটি খুঁটিতে বসিয়ে দেয়ার টার্গেট রয়েছে। তবে নাব্য সঙ্কট দূর করা না গেলে জানুয়ারির প্রথম দিকে স্প্যানটি খুঁটিতে বসানো হবে। প্রকৌশীলরা আরও জানান ৩৬নং খুঁটির পাশাপাশি ৩৫ ও ৩৪নং খুঁটির কাজও অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ৩৩নং খুঁটির কাজও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ৩নং মডিউলের ১৩, ১৪, ১৬ ও ১৭ নম্বর খুটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে ১৫ নম্বর খুটির কাজ এখনও শেষ হয়নি। শীঘ্রই ১৫নং খুটির কাজও সম্পন্ন করা যাবে বলে প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে পদ্মা সেতুর একজন দায়িত্বশীল প্রকৌশলী জানিয়েছেন ৬নং এ ৩নং মডিউলের ৮টি স্প্যান বসানোর বিষয়ে এখন রাতদিন কাজ চলছে। ৬নং মডিউলের ২টি স্প্যান ইতোমধ্যে রং করে বাইরে রাখা হয়েছে। ৬নং মডিউলের বাকি ২টি এবং ৩নং মডিউলের ৪টি স্প্যান ফিটিংয়ের কাজ কুমারভোগের বিশেষায়িত ওয়ার্কশপে চলমান রয়েছে। ৩নং মডিউলের খুটি রেডি থাকলেও স্প্যান রেডি না থাকার কারণে স্থাপনে বিলম্ব হচ্ছে। ৩নং ও ৬নং মডিউলে মোট ৬টি করে স্প্যান বসবে। ৪টি করে স্প্যান বসে যাওয়ার পরেই আরও ২টি করে স্প্যান বসানোর প্রস্তুতিও রয়েছে। এদিকে ৩১ ও ৩২নং খুঁটিতে খাজকাটা পাইল বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই এই দুই খুটিতে ৩টি করে ৬টি পাইলের বটম সেকশন বসিয়ে দেয়া হয়েছে। সেতুর রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজেও অগ্রগতি রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০৪টি স্লাব বসে গেছে। মূল সেতুটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির চেয়ারম্যান মি. লিউজিমিং তিন দিনের সফরে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার সেতু ভবনে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী সভা করেছেন। সেতু সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে সেতুর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেতু বিভাগ সেতু নির্মাণের আরও প্রয়োজনীয় ইনস্ট্রুমেন্ট বৃদ্ধি করে সেতুর কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছে। মি. লিউজিমিং শুক্রবার মাওয়ায় প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করেন। দিনভর তিনি প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। শনিবার তিনি দুপুর ১২টার দিকে তিনি মাওয়া থেকে চীনের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। তার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের টীমে প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীগণ রয়েছেন।
×