ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে লাল-সবুজে সাজানো ১৫৭ স্কুল

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

 টাঙ্গাইলে লাল-সবুজে সাজানো ১৫৭ স্কুল

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় স্কুল নয়। যেন একেকটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন ১৫৭টি স্কুল ভবন উপহার দেয়া হয়েছে শিশুদের। জানা যায়, শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরে পড়া রোধ, জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে হাতেখড়ি দেয়ার লক্ষ্যে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে। উপজেলার ১৫৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিটি ভবনই লাল সবুজের রং নিয়ে আঁকিয়ে জাতীয় পতাকার চিত্রে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে ভবনগুলো অঙ্কন করায় একেকটি স্কুলকে দেখলেই মনে হয় যেন একেকটি লাল সবুজের বাংলাদেশ। কোন কোন স্কুলের ভেতরের দেয়ালও একইভাবে মনোরম চিত্রে শোভায়িত করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনজু আনোয়ারা ময়না জানান, এটি একটি মডেল। লাল সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই সেটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এজন্য কাউকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজে বের করতে কষ্ট করতে হয় না। তিনি আরও জানান, প্রথম শ্রেণীতে পড়া কোমলমতি কচি শিশু এখন সহজেই জাতীয় পতাকা চিনতে পারে। স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। লাল সবুজকে মন থেকে সে ভালবাসতে শুরু করে। জাতীয় পতাকার সঙ্গে সঙ্গে সে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে দারুণ পছন্দ করে। জাতীয় পতাকা, সঙ্গীত আর মুক্তিযুদ্ধ তার হৃদয়ে একাকার হয়ে যায়। শিশুরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিয়েই বড় হয়ে ওঠার পাশাপাশি নিখাঁদ দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিচিত হবে। এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম রুমি জানান, এ উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ হাজার শিশু পড়ালেখা করে। এসব শিশুর মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শিশুর জন্য সেকেন্ড হোম করার চিন্তা থেকেই ‘এক্সিল্যান্ট স্কুল’ নামে এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস নেয়া হয়েছে। এতে ব্যাপক সুফল মিলছে বলে জানান তিনি। -ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল থেকে
×