ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের দাবি

সরকারী কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে ইসি

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

  সরকারী কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে ইসি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ সরকারী কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষের সমর্থন করার সুযোগ থেকে নির্বাচন কমিশন বঞ্চিত করেছে বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির অভিযোগ, একটি অসত্য অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে দেয়ার প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে একজন ডিসি এবং দুইজন এডিসি, চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই এখতিয়ার অবশ্যই রয়েছে, তবে নির্বাচন কমিশন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন তারা আত্মপক্ষের সমর্থন দেয়ার সুযোগ হতে বঞ্চিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানম-ি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, একজন অভিযোগ করলেই তার সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে, তাকে প্রত্যাহার করা বা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে অপরপক্ষের বক্তব্য শোনার বিষয়ে আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন আরও যতœবান হবেন, আরও সতর্ক হবেন। শুরু থেকেই বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের প্রচার শুরু থেকেই বিএনপি তাদের জন্মগত স্বভাব অনুযায়ী ব্যাপক মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করছে। উস্কানি, ভয়-ভীতি সঞ্চারের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের আগে পরিবেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাবার্তা, আচার-আচরণে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাতেই প্রতীয়মান হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ধুম্রজাল সৃষ্টির দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত। তিনি বলেন, বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, প্রজাতন্ত্রের পেশাদার ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিতর্কিত করা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে জনমনে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভীতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাই যেন বিএনপির মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠে নেতাকর্মীশূন্য বিএনপির ভরাডুবি নিশ্চিত এই আশঙ্কায় তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর নীলনক্সা অনুযায়ী জনগণের নির্বাচনকে নস্যাত করার উদ্দেশে পরিকল্পিত নাশকতা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। আবদুর রহমান অভিযোগ করেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা একদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করছে, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্লজ্জভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে; যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও লজ্জাকর। নির্বাচনের ১০ দিন বাকি থাকতেই বাংলার জনগণ বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন প্রদর্শন করেছেন।
×