ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফখরুলের বিশ্বাস নির্বাচনী লড়াইয়ে তারা জয়ী হবেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

 ফখরুলের বিশ্বাস নির্বাচনী লড়াইয়ে তারা জয়ী  হবেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোর কথা বলছেন, সেটি তো আমাদের কাজ নয়, আপনাদের সেই ক্ষমতা আছে। ব্যালট পেপার বিএনপি নয়, আপনারাই ছাপাবেন। কারণ, আওয়ামী লীগই ভোট কারচুপির ছক করছে। যা দেখেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) অসহায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে। কারণ এ রাষ্ট্র জনগণের। জনগণকেই সব অন্যায়, অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ে আমরা জয়ী হব। কারণ মানুষের কথা, তাদের চোখে যে বিশ্বাস দেখেছি, তাতে আমাদের বিজয় আসবে। ৩০ ডিসেম্বর সবাইকে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ নির্বাচন এরই মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। এবারের নির্বাচনে প্রমাণিত হবে, আমরা কি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে থাকব নাকি একনায়কের দেশে থাকব। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, কথা বলার অধিকার থাকবে কি থাকবে না, তা এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জনগণকে জাগিয়ে তুলতে। কারণ এ রাষ্ট্র তাদের, তাদের সব অন্যায়-অবিচার-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে। আমার বিশ্বাস, এ লড়াইয়ে আমরা জয়ী হবো। কারণ, মানুষের কথা, তাদের চোখে যে বিশ্বাস দেখেছি তাতে মনে হচ্ছে আমাদের বিজয় আসবে। ফখরুল বলেন, দেশ ও জাতি আজ ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সব সময় মনে করেছি, এ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল, সেটি জনগণ তিনটি নির্বাচনে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বুঝতে পারল, জনগণের ভালবাসার আস্থা তারা ধরে রাখতে পারবে না। তখনই একটি রায়ের মাধ্যমে সেটি বাতিল করে দিল। অথচ আদালতের রায়ে মতামত ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান রাখা যেতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেটি পাশ কাটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিল। এমনকি দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে আদালত যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল সেটিও পাশ কাটিয়ে গেছে সরকার। ফখরুল বলেন, সরকার প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চক্রান্ত করছে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার আগে থেকেই এ নিবাচন নিয়ে আমরা যে মতামত প্রকাশ করেছি, সব একে একে ফুটে উঠেছে। আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। তবে যতই ধানের শীষের জোয়ার উঠছে, ততই সরকার নতুন নতুন চক্রান্ত করছে। আমাদের অনেক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যবহার করছে আদালতকে। কিন্তু এরপরও আমরা দমে যাইনি। ফখরুল বলেন, আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর সরকার গায়েবি মামলা দেয়া শুরু করে। এখন আবার মামলা দিচ্ছে নতুন করে। আমরা যখন সংলাপে গেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর আর কাউকে গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু তিনি তার কথা রাখেননি। আমাদের ওপর এত নির্যাতনের পরও বলতে পারেন, আমরা কীভাবে টিকে আছি? আমরা টিকে আছি শুধু মানুষের ভালবাসায়, মানুষের সমর্থনে। আমরা যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই মানুষ ছুটে আসছেন। আমরা মানুষের ভালবাসার এ শক্তির ওপর টিকে আছি।
×