ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে এনবিআরের অভিযান

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৮

 রংপুরে অবৈধ সিগারেটের বিরুদ্ধে এনবিআরের অভিযান

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ॥ চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট (১০ শলাকা প্যাকেট) সিগারেটের দাম ২৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ টাকা করা হয়। আর এই ৩৫ টাকা প্যাকেটের সিগারেট থেকে বিভিন্ন কর বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয় প্রায় ২৫ টাকা। রাজস্বের টাকা সিগারেট বাজারজাতকরণ করার আগেই পরিশোধ করতে হয় বলে এর থেকে কম মূল্যে সিগারেট বিক্রি করা সম্ভব নয়। কিন্তু রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু উৎপাদনকারী মাত্র ১৫-২০ টাকা দামে সিগারেট বিক্রি করছে। নকল ব্যান্ডরোল দিয়ে এসব সিগারেট বাজারজাত করায় সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বাজারের ৮০ শতাংশই দখল করে রেখেছে কম দামী বা নিম্নস্তরের সিগারেট। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার সিগারেট কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছিল। চলতি অর্থবছরের এ খাতের রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যে কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নকল ব্যান্ডরোলের সিগারেট পরিহার করতে জনসচেতনামূলক প্রচারভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রংপুরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ‘অবৈধ সিগারেট পরিবহন, পরিবেশন, বিক্রয় এবং ক্রয় করা দন্ডনীয় অপরাধ’ লেখা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এ বিষয়ে কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আহসানুল হক বলেন, এ রকম প্রচার আমরা গত বছরও করেছি এবার একটু বেশি করছি যাতে সরকারের রাজস্ব ঠিকমতো আসে, মানুষ যেন কম দামী সিগারেট না খায়। আমরা কম দামের সিগারেট আটক করছি। বিভিন্ন দোকানে গিয়ে এসব অবৈধ সিগারেট না রাখতে বলা হচ্ছে।
×