প্রাক্তন শিক্ষক, বাংলা বিভাগ
মালিখালী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নাজিরপুর, পিরোজপুর
ণত্ব-বিধান
সংস্কৃতের যে বিধান অনুসারে দন্ত্য ’ন’ মূর্ধন্য ’ণ’তে পরিণত হয় তাকে ণত্ব বিধান বলে।
১. ‘ট’ বর্গীয় ধ্বনির আগে ‘ণ’ হবে। যেমন: ঘণ্টা, লণ্ঠন ইত্যাদি।
২. ‘ঋ’ ‘র’ ‘ষ’ এর পরে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: তৃণ, হরিণ, পাষাণ ইত্যাদি।
৩. ‘র’ ফলার পরে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: ঘ্রাণ, প্রণাম ইত্যাদি।
৪. প্র, পরা, পরি, নির এ চারটি উপসর্গের পরে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: পরিণত, প্রবীণ, নির্ণয় ইত্যাদি।
৫. প্র, পূর্ব ও অপর শব্দের পর অহ্ন থাকলে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ ইত্যাদি।
৬. পর, পরা, নার, উত্তর, চান্দ্র এর পরে ‘অয়ন’ থাকলে মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: পরায়ণ, নারায়ণ, উত্তরায়ণ ইত্যাদি।
ষত্ব-বিধান
সংস্কৃতের যে বিধান অনুসারে দন্ত্য ‘স’ মূর্ধন্য ‘ষ’তে পরিণত হয় তাকে ষত্ব বিধান বলে।
১. ‘ঋ’ কারের পর মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : ঋষি, কৃষক, দৃষ্টি ইত্যাদি।
২. তৎসম শব্দ ‘র’ এর পরে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ ইত্যাদি।
৩. ‘র’ এর পর (অ, আ) ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি থাকে তার পরে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : পরিষ্কার, তিরিষ্কার।
৪. ‘ট’ এবং ‘ঠ’ ধ্বনির আগে যুক্ত বর্ণ থাকলে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : কাষ্ঠ, কষ্ট ইত্যাদি।
৫. সু, দুর, বি উপসর্গের পরে ‘সম’ থাকলে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : সুষম, বিষম ইত্যাদি।
৬. ‘বি’ উপসর্গের পর ‘সিহ’ ধাতুর দন্ত্য ‘স’, মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : দুর্বিষহ ইত্যাদি।
৭. ‘ই’ ও ‘উ’ কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতু মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন : অভিষেক, অনুষ্ঠান, বিষম, সুষমা ইত্যাদি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: