ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে সাকিবকে জরিমানা

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে সাকিবকে জরিমানা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সিরিজের প্রথম টি২০ ম্যাচে কোনকিছুই স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষে ঘটেনি। বাজে ব্যাটিংয়ের পর বোলাররা বেধড়ক মার খেয়েছেন। তবে এর আগেই বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে যখন বেহাল দশা তখনই মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি যখন একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গতির তোপে বুক চিতিয়ে তখনই একটি বলে ওয়াইড দাবিতে আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এটি ক্রিকেট আচরণবিধি লঙ্ঘনের লেভেল ১ পর্যায়ে পড়ে। সে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সাকিবের ম্যাচ ফি থেকে ১৫ শতাংশ কর্তন করেছে জরিমানা হিসেবে। সেই সঙ্গে তাকে ১ ডিমেরিট পয়েন্টও দেয়া হয়েছে। সিলেটে সোমবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের ব্যাটিং চলার সময় ক্যারিবীয় দুই পেসার ওশান টমাস ও শেলডন কটরেল তাদের গতিতে কাবু করে ফেলেছিলেন। তবে দারুণ লড়াই চালিয়েছেন সাকিব একা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে টমাসের করা বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি সাকিব। লেগস্টাম্পের বাইরে থাকা বলটিকে ওয়াইড দাবি করে আম্পায়ারকে আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু আম্পায়ার সেটিকে সঠিক বল হিসেবেই গণ্য করেছেন। এরপর সাকিব বিষয়টি মানতে পারেননি এবং বেশ কিছুক্ষণ বিতর্ক চালিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে আইসিসি এটিকে ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলা ও আচরণবিধির ২.৮ ধারা অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে। ম্যাচশেষে রেফারি জেফ ক্রো আনীত অভিযোগ স্বীকার করে নেন সাকিব। সে জন্য আনুষ্ঠানিক কোন শুনানির প্রয়োজন পড়ছে না। তবে আচরণ ভঙ্গের জন্য সাকিবের ম্যাচ ফি থেকে ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি এবং ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও দিয়েছে। ফলে টি২০ ক্রিকেটে এখন সাকিবের মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়াল ২। গত মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে অসংলগ্ন আচরণ করে ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসি অখেলোয়াড় সুলভ আচরণের জন্য জরিমানার পাশাপাশি ডিমেরিট পয়েন্টের প্রচলন করে। সবমিলিয়ে ২৪ মাসের মধ্যে আর দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে সাকিবকে।
×