১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এর বিজয়ের দিনটি দেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই দিনই দেশ হানাদার মুক্ত হলো। আর এই দিনই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের স্বাধীনতাকামীদের কাছে আত্মসমর্পণ করল। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পাকবাহিনী রমনা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার সমর্থক ভারতীয় বাহিনীর কাছে। আমাদের নতুন প্রজন্ম যাদের বয়স ৪৭ বছরের কম তারা মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় স্বচক্ষে দেখেনি- কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- তাই তারা মুক্তিযুদ্ধ না দেখেও দেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পেরেছে- আর তাই তো আজ তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় দিন-রাত অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিচ্ছে। ১৬ ডিসেম্বর মহাআনন্দ আর মহাসমারোহে বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হবে সারাদেশে। ডিসেম্বরের এই বিজয়ের মাসেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে বিজয় দিবস আর সংসদ নির্বাচন এই দুটো জিনিসই সমান গুরুত্ব বহন করছে। বিজয় অর্জন করতে গিয়ে কত রক্ত দিতে হলো, কত ত্যাগ স্বীকার করতে হলো, আর কত তিতিক্ষার পরিচয় দিতে হলো এগুলো নবপ্রজন্মকে জানানো আমাদের একান্ত কর্তব্য। বিজয় তো আর একদিনই আর এমনি এমনি আসেনি- কত প্রাণ ঝরে গেল- কত মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হলো সে কথা নবপ্রজন্মকে জানাতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে নবপ্রজন্ম দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে কি ভাবছে তাও তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে এবং এই বিষয়ে তাদের সঠিক জ্ঞান দিতে হবে।
স্বাধীনতাবিরোধীদের কোন চক্রান্তই দেশের স্বাধীনতা অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি- আজও যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করছে তারা দেশের স্বাধীনতা ধ্বংস করতে পারবে না- এই জন্য দেশবাসীকে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে সতত সজাগ থাকতে হবে- কারণ স্বাধীনতার চাইতে আর বড় কিছু নেই- থাকতে পারে না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোন অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না- সাধারণ মানুষও চায় না, তবে অশান্তি যাতে না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে- বিশেষ করে দেশের তরুণ প্রজন্মকে। স্বাধীনতার বিপক্ষে এখনও যারা কাজ করছে তাদের সম্পর্কে স্বাধীনতাকামী সকল মানুষকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে- নবপ্রজন্ম যদি অতন্দ্র প্রহরীর মতো তাদের পাহারা দেয় তবে তারা দেশের ও জনগণের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
কলাবাগান, ঢাকা থেকে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: