ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করেছে ॥ আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করেছে ॥ আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপির ইশতেহারকে ‘রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষকতার ইশতেহার বলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির দাবি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা না বলে বিএনপি তাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে। এটা স্বাধীনতার চেতনার ওপর চরম আঘাত। বিএনপি এ ইশতেহার দেয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন ও বৈধতা দিয়েছে। দেশের জনগণ তাদের এ ইশতেহার ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বুধবার ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বিএনপি যে ইশতেহার দিয়েছে তাতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলা নেই। বিজয়ের মাসে তারা যে ইশতেহার দিয়েছে তা জাতি আশা করেনি। তিনি বলেন, ইশতেহারে তারা সন্ত্রাস-দুর্নীতি, অর্থপাচার বন্ধের কথা বলেছ। এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা মাত্র। কারণ তারা ক্ষমতায় যখন ছিল তখন তারেক-কোকো বিপুল পরমাণ অর্থপাচার করেছে। সেই অর্থের কিছু অংশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আর তারেক রহমান হচ্ছে একজন দুর্নীতিবাজ। তাকে দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব দেয়ার জন্য রাতারাতি গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছে বিএনপি। এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আসলে বিভিন্ন সময় বিএনপি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছে। এ বৈঠকের পর আমরা বুঝতে পেরেছি তারাই নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করতে চাই। বাংলার জনগণ নির্বাচন করবেই করবে। ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের জনগণ বিএনপিকে আবারও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে তাতে দেশের জনগণকে উজ্জীবিত ও আশাবাদী করেছে। কিন্তু বিএনপির ইশতেহারে জনগণ চরম হতাশ হয়েছে। এখন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কাদের বেছে নেবে। বিএনপির ইশতেহার রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ইশতেহার। চাকরির বয়সসীমা তুলে দিতে ঐক্যফ্রন্ট যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে আরও সমস্যা বাড়বে উল্লেখ করে নানক বলেন, সরকারী চাকরিতে বয়স তুলে দেয়া ঐক্যফ্রন্টের ঘোষণা দেশের তরুণ সমাজের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জামায়াত লবিস্ট নিয়োগ করে পার পাবে না। বিজয়ের মাসে দেশের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে তাদের চূড়ান্তভাবে পরাজিত করবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সব বিদ্রোহী প্রার্থী সরে গেছেন। মাত্র চারজন আছেন, তারাও সরে যাবেন। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, তথ্য সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
×