ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাতক্ষীরায় পিক-আপের ধাক্কা

প্রাণ গেল নানি-নাতির

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

প্রাণ গেল নানি-নাতির

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে নানি ফরিদা বেগম (৫০) ও নাতি সাদ (১৪) ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নানা মারাত্মক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার খুলনা মহাসড়কে কুমিরা বালি গাঁধা নামকস্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন- যশোর কেশবপুর উপজেলার ভবতীপুর গ্রামের সামাদ মোড়লের স্ত্রী ফরিদা বেগম ও নাতি তালা উপজেলার তৈলকুপি গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সাদ। আহত নানা সামাদকে মারাত্মক আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেশবপুর থেকে নানা সামাদ মোড়ল নানি ও স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে তৈলকুপি যাচ্ছিল জামাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে। এ সময় কুমিরা নামকস্থনে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে একটি পিকআপ তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে নানি ফরিদা বেগম ও নাতি সাদ নিহত হয়। নানা সামাদ মোড়ল মারাত্মক আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। রাজশাহীতে দুই স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, পুঠিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপে বাসের ধাক্কায় বিদেশী নাগরিকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সেনভাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেনÑ পিকআপ চালক গোলাপ হোসেন (২৬) ও যাত্রী আব্বাসী (৪০)। এদের মধ্যে গোলাপ টাঙ্গাইলের মুধুপুর এলাকার হাসান আলীর ছেলে। আর আব্বাসী তুরস্কের নাগরিক। পবা হাইওয়ে পুলিশ জানান, একটি পিকআপ রাজশাহীর দিকে আসার সময় মাছবাহী একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মহাসড়েকের উপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় সেঞ্চুরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে পিকআপকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায় পিকআপটি। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপের ড্রাইভার গোলাপ মারা যান। পাবনায় তিন নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, পাবনায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহত, ১১ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে টেবুনিয়া-পাকশী সড়কে পাথরবোঝাই ট্রাক উল্টে রঞ্জু শাহ নামক এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি সদর উপজেলার দাপুনিয়া গ্রামে। জানা গেছে, নাজিরপুর থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক দাপুনিয়া যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এ সময় পাথর গায়ের ওপর পড়লে ৯ জন আহত হয়। আহতদের পাবনা সদর হাসপাতালে আনা হলে রঞ্জু শাহের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের সুজানগর উপজেলার বিরাহিমপুর নামক স্থানে সোমবার রাত ১১টার দিকে ট্রাকের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও তিনজন। জানা যায়, পাবনামুখী লেগুনার সঙ্গে কাশিনাথপুরগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে লেগুনার ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হন। নিহতরা হলেন, সুজানগর উপজেলার দুলাই বদনপুর গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মী শফিকুল ইসলাম ও সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে আঃ হামিদ পালান। মাধপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আঃ খালেক জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। ঠাকুরগাঁওয়ে পল্লী চিকিৎসক নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, সদর উপজেলায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় এক জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন পাঁচ জন। নিহত আরিফুল ইসলাম (২৫) সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নের দারাজগাঁও গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে। সে ছিল একজন পল্লী চিকিৎসক। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের সালান্দর ডেনিস মোড়ে পঞ্চগড়ের বালাবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত বেগে ছুটে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং বাস ও ট্রাকের সামনের অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে আরিফুল ইসলাম মারা যায় এবং মহিলাসহ ১৬ জন আহত হয়। নওগাঁয় ধান ব্যবসায়ী নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, পত্তনীলা উপজেলায় মঙ্গলবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলাম (৫০) নামে এক ধান ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। নিহত শরিফুল ইসলাম ধামইরহাট উপজেলার মইশর গ্রামের মছির উদ্দিনের ছেলে। উপজেলার বিজিবি ব্যাটালিয়ন এলাকায় রাস্তার দক্ষিণ পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
×