ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রফতানি আয় ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

রফতানি আয় ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের রফতানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিগত চার মাসে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.২৪ ভাগ এবং সেবা খাতের রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬.৪৬ ভাগ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেশের কোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৪১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের চলমান রফতানি অব্যাহত থাকলে এ বছর মোট রফতানির পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাণিজ্যবান্ধব সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশের রফতানি বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশের পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিগত ১০ বছরে সে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০২১ সালে দেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার রফতানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছে। সে কারণেই দেশের রফতানি বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকার কাওরানবাজারে টিসিবি অডিটরিয়ামে সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলামসহ ইপিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৭.৮৬ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ শেষ হলে দেশে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ^বাসীর কাছে বিস্ময়কর। দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের ঝরে পড়ার হার ৪৫ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। সাক্ষরতার হার ৯৪ ভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। বেকারত্বের হার ৪.২ ভাগে নেমে এসেছে। দারিদ্র্যের হার ৩১.৫ থেকে ২১.৮ ভাগে নেমে এসেছে। নারীর কর্মসংস্থান ১৬.২ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদন ৪৯৪২ থেকে ২০১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, ২০২১ সালে বিদ্যুত উৎপাদন হবে ২৪০০০ মেগাওয়াট। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ দেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এখন মানুষের কাছে দৃশ্যমান। এবার ব্যবসায় বিশেষ অবদান রাখায় দেশের ১৩৭ জন পেয়েছেন কমার্শিয়াল ইমপর্টেন্ট পারসন (সিআইপি) কার্ড। রফতানি বাণিজ্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাদের এই কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া সিআইপি (বাণিজ্য) নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ৪১ পরিচালক। কার্ডপ্রাপ্তদের কয়েকজন হলেন- পপুলার জুট এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান আহমেদ, বাবুল জুট ট্রেডিংয়ের মালিক নুরুল ইসলাম বাবুল, রেজা জুট ট্রেডিংয়ের সেলিম রেজা, জনতা জুট মিলস লিমিটেডের এমডি নাজমুল হক, কুলিয়ার চর সি ফুডের চেয়ারম্যান মুুছা মিয়া, স্কয়ার ফুড এ্যান্ড বেভারেজের এমডি অঞ্জন চৌধুরী প্রমুখ।
×