ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অচলাবস্থার অবসান ॥ বিক্রমাসিংহে শপথ নেবেন আজ

রাজাপাকসের পদত্যাগ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজাপাকসের পদত্যাগ

প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসে শনিবার সকালে পদত্যাগ করেছেন। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। দীর্ঘ দুমাসের ক্ষমতার দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে দ্বীপ দেশটিতে অচলাবস্থা চলছিল। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলো। তিনি রবিবার সকালে শপথ নেবেন। খবর এনডিটিভি, এবিসি নিউজ ও মানি কন্ট্রোলের। কলম্বো পেজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার সঙ্গে শুক্রবার টেলিফোনে আলোচনা করে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিক্রমাসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) জানিয়েছে যে, আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রবিবার সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেবেন। সিরিসেনা ২৬ অক্টোবর বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে দেশটিতে অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক সঙ্কটে পতিত হয়। তবে বিক্রমাসিংহে তাকে পদচ্যুত করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন এবং আদালত ও পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানান। দৈনিক কলম্বো পেজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, নতুন মন্ত্রিসভা সোমবার শপথ নেবে। ৩০ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। যাতে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির (এলএলএফপি) ছয়জন এমপি মন্ত্রিত্ব পাবে। রাজাপাকসের ছেলে শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, সাবেক লৌহমানব শনিবার পদত্যাগ করবেন। সুপ্রীমকোর্টের দুটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার প্রধানমন্ত্রিত্ব অবৈধ বলে জানানোর পর ঘোষণাটি দেয়া হলো। এর আগে তিনি জাতির উদ্দেশে এক ভাষণ দেবেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্য শ্রীলঙ্কা পোডুজানা পেরামুনা (এসএলপিপি), এসএলএফপি ও অন্যরা রাজনৈতিক জোট গঠন করে এখন সরকার গঠনে কাজ করবেন। রাজাপাকসেপন্থী লক্ষণ ইয়াপা আবেওয়ার্দানা সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকে রাজাপাকসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পদত্যাগ করার। পরে প্রেসিডেন্ট নতুন সরকারকে নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অপর প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। বাজেট ছাড়া কোন দেশ চলতে পারে না। যে কারণে রাজাপাকসে জানিয়েছেন, তিনি জাতির উদ্দেশে বিশেষ ভাষণ দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। গত প্রায় দুসপ্তাহ ধরে শ্রীলঙ্কার সরকার কোন কাজ করতে পারেনি। যেজন্য দেশটিতে আগামী অর্থবছরের বাজেট পাস করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সুপ্রীমকোর্টের স্থগিতাদেশের ওপর সময় বাড়ানোর আদেশ দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করার পর পদত্যাগ করেন। শীর্ষ আদালত বিষয়টির ওপর পরবর্তী শুনানি মধ্য জানুয়ারিতে নির্ধারণ করেছে। তখন তারা রায় জানানোর পরিকল্পনা করেছেন। ভোটে পরাজয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এর প্রেক্ষিতে দেশটি জানুয়ারির প্রথমে রাষ্ট্রীয় বাজেট ব্যয়ের ঝুঁকিতে পড়ল। কেননা সরকারের কোন বাজেট নেই।
×