ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আতঙ্ক সৃষ্টি

রাজধানীতে শক্তিশালী হ্যান্ডগ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজধানীতে শক্তিশালী হ্যান্ডগ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ওয়ারী থেকে শক্তিশালী হ্যান্ড গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকগুলো কোন সাধারণ মানের সন্ত্রাসী বা পেশাদার বোমাবাজদের তৈরি নয় বলে জানিয়েছেন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, প্রশিক্ষিত জঙ্গী বা এ ধরনের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিস্ফোরক বিষয়ে প্রশিক্ষিতরাই গ্রেনেডগুলো তৈরি করেছিল। যদিও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রেনেডগুলো কারা কি উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল তাও স্পষ্ট নয়। বিজয় দিবসের আগের দিন হ্যান্ড গ্রেনেড ও গ্রেনেড তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী বা কোন জঙ্গী গোষ্ঠী বিজয় দিবস বা নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালাতে বিস্ফোরকগুলো মজুদ করেছিল ধারণা করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। শনিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন গোয়ালঘাট লেনের ১২/১ দোকানটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার ফরিদ উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, অভিযান চালাতে গিয়ে বিস্ফোরক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়। তারা ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বোমাগুলো উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়া বোমা তৈরির বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেগুলো পরে বোম ডিসপোজাল টিম নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। তাতে ধারণা করা হয়, বোমাগুলো খুবই শক্তিশালী ছিল। কারা কি উদ্দেশে বোমাগুলো সেখানে মজুদ করেছিল, তা জানা যায়নি। জানার চেষ্টা চলছে। তবে নির্বাচনকে উপলক্ষ করে বা বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বোমাগুলো রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার বোম ডিসপোজাল টিমের প্রধান ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ছানোয়ার হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি শক্তিশালী হ্যান্ড গ্রেনেডের মতো বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়। নিষ্ক্রিয় করার সময় বোঝা যায়, সেগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল। সেগুলো দিয়ে মোটামুটি বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোও সম্ভব ছিল। গ্রেনেডগুলোর ধরন বলছে, সেগুলো কোন সাধারণ মানের সন্ত্রাসী বা পেশাদার বোমাবাজদের তৈরি নয়। যারা সেগুলো তৈরি করেছে, তারা বিস্ফোরক বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও পারদর্শী। হ্যান্ড গ্রেনেডগুলো স্টিলের পাইপ দিয়ে তৈরি ছিল। এ ধরনের গ্রেনেড সাধারণত জঙ্গী বা এ ধরনের প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা তৈরি করে থাকে। ধ্বংস করা বিস্ফোরক নিশ্চয়ই নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে সেখানে রাখা হয়েছিল। তবে সেগুলো নির্বাচন বা বিজয় দিবসে ব্যবহার করার কোন পরিকল্পনা ছিল কিনা সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন তথ্য মেলেনি। তা জানার চেষ্টা চলছে।
×