জয় বাংলা
এমরান চৌধুরী
একটি ধ্বনি মিষ্টি ধ্বনি
কখনো বা মাতাল ধ্বনি
যে ধ্বনিতে চোখের মণি
ছাড়ত নিজের ঘর,
পিচ ঢালা পথ কাঁপিয়ে তোলে
ছুটত নিরন্তর।
একটি ধ্বনি মিষ্টি ধ্বনি
কখনো বা মাতাল ধ্বনি
যে ধ্বনিতে মধুমতির
সবটা নদীর জল,
ছলাৎ করে ছলকে ওঠে
নামত খুশির ঢল।
একটি ধ্বনি মিষ্টি ধ্বনি
একাত্তরের সন্জীবনী
সে ধ্বনিটি ‘জয় বাংলা’
আর কোনোটা নয়,
এমন ধ্বনির সুবাসে হয়
নতুন সূর্যোদয়।
বিজয় এলো
আহসান মালেক
নয়টি মাসের যুদ্ধ শেষে
বাংলা মায়ের সোনার ছেলে,
মুক্ত করে প্রাণের স্বদেশ
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে।
ছিন্ন করে শাসন বেড়ি
তাড়ায় ভয়ের আঁধার কালো,
স্বপ্নমাখা চোখের তারায়
জাগায় নতুন দিনের আলো।
মায়ের মুখে হাসির ছোঁয়া
বোনের কণ্ঠে জয়ের গান,
নীল আকাশের নীল সাগরে
মেঘরা করে সূর্যস্নান।
রোদের গুঁড়ো গায়ে মেখে
গাইছে পাখি উড়ে ঘুরে,
হলুদ বরণ সর্ষে খেতে
বাতাস নাচে সুরে সুরে।
তিরিশ লক্ষ জীবন দানে
বিজয় এলো বাংলাদেশে,
দীপ্ত মুখর দিক দিগন্ত
লাল সবুজে উঠল হেসে।
সুখের সাথে শোক
আখতারুল ইসলাম
যুদ্ধ শেষে বীর জনতা আসলো যখন ঘরে,
খুশির জোয়ার ভেসে এলো ষোলোই ডিসেম্বরে।
একাত্তরের বিজয় দেখি আমার সবুজ গায়ে,
কিংবা পাশের নদীর স্রোতে পাল তোলা এক নায়ে।
পাখি ওড়ে আপন মনে অলি ওড়ে ফুলে,
জয়ধ্বনি বাংলা জুড়ে আকাশ বাতাস কূলে।
ইচ্ছে মতো চলতে পারি বলতে পারি কথা,
এ আমাদের পরম পাওয়া প্রাণের স্বাধীনতা।
বিজয় মানে মায়ের হাসি বাবার প্রিয় মুখ,
বুকের ভেতর উথলে ওঠে অন্যরকম সুখ।
তবু দেখি ডিসেম্বরে সুখের সাথে শোক,
অশ্রু ঝরে ভাই হারানো বোনের দুটি চোখ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: