ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দূষণে ৫ জেলার বায়ু মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 দূষণে ৫ জেলার বায়ু মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দূষণের ফলে দেশের ৫ জেলার বায়ু প্রায় মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর মাত্রার সূচক অতিক্রম করছে। পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিদিনের বায়ু নিরীক্ষা তথ্য বলছে, নবেম্বরের প্রথম ২৫ দিনের ১৩ দিনই নারায়ণগঞ্জের বায়ু ছিল মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। যে মাত্রায় গেল বছর বেজিংয়ে জরুরী অবস্থা জারি করেছিল চীন। পরিবেশ অধিদফতরের দাবি, বাতাসে ক্ষুদ্র বস্তুকণার উপস্থিতি মারাত্মক মাত্রায় থাকলেও, গ্যাসীয় দূষণ নেই। শীত আসতেই শুরু হয়েছে ইট পোড়ানোর ধুম। তারই কালো ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে নীল আকাশ। বিষাক্ত করে তুলছে বাতাস। কেবল ইটভাঁটির ধোঁয়া নয়, শুষ্ক মৌসুমে পথের ধুলোবালি, যানবাহনের ধোঁয়ায়ও অতিষ্ঠ নগরজীবন। পরিবেশ অধিদফতরের বায়ু নিরীক্ষা মান বলছে, রাজধানী ঢাকা বিশ্বে বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় প্রথম দিকে থাকলেও, নারায়ণগঞ্জের বাতাসের মান তার চেয়েও খারাপ। নবেম্বরের প্রথম ২৫ দিনের ১৩ দিনই, তা ছিল মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর। সবুজ নগরীর তকমা পাওয়া রাজশাহীর বাতাসের মান এ পর্যায়ে নামে ৫ দিন। বরিশালের বাতাস মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর ছিল ৪ দিন। ঢাকায় ৩ আর খুলনায় একদিন। গেল বছর বায়ুর মান এই সূচকে নেমে আসায়, নাগরিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে বেজিং শহরে টানা ৪ দিন জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছিল চীন। পরিবেশ অধিদফতর বলছে, বাতাসে বস্তুকণা ২ দশমিক ৫ পিপিএম থাকলেই, তা মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাংলাদেশে বাতাসে যার ৬০ ভাগই আসে ইটভাঁটি থেকে। ১০ ভাগ যানবাহনের ধোঁয়া, ১৫ ভাগ ধুলোবালি আর জীবাশ্মজ্বালানি ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে আসে বাকি ১৫ ভাগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু দূষণ ঠেকাতে জনপ্রিয় করতে হবে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিকে।
×