ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি-জামায়াত এখন মিলেমিশে একাকার ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

 বিএনপি-জামায়াত এখন মিলেমিশে একাকার ॥  তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৪ ডিসেম্বর ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জামায়াত এখন বিএনপির সঙ্গে। বিএনপিও এখন ধানের শীষ জামায়াতও এখন ধানের শীষ। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাকায় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘আপনি যে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, জামায়াত বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে তাদের সম্পর্কে আপনার ব্যাখ্যা কী? তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কত টাকা পেয়েছ? দেখে নেব।’ মন্ত্রী বলেন, কামাল হোসেনের মতো লোক কি দেখবে? যদি মানুষ বলে মানুষ তাকে দেখে নেবে। যার ঈমান নেই, আর্দশ নেই, যে আজ খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের ওবায়েদুল হক বাবুল মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক পথসভায় তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন। এদিকে রাজাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এই নির্বাচনী পথসভাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসব আমেজ বিরাজ করছে। ঢোল বাজনা বাজিয়ে পথসভায় অংশ নেয় জনতা। দুপুরের আগেই বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। পথসভা চলার একপর্যায়ে জনতার ঢল নামে। জোয়ার উঠে নৌকার। রাতে শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পথসভায়ও পৌরসভার চরজংলা এলাকায় পৃথক নির্বাচনী প্রচারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল কাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে? স্বাধীনতাবিরোধী, জামায়াতের আলবদর আল সামসের সঙ্গে। যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে। হাত মিলিয়েছে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য যারা গ্রেনেড মেরেছিল। তারেক জিয়া পরিকল্পনা করেছিল। যার যাবজ্জীবন হয়েছে, তার সঙ্গে। এই লোকের কোন আর্দশ আছে? বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালের পর এই ভোলাতে বিএনপি অনেক অত্যাচার করেছে। এই রাজাপুরে অনেক অত্যাচার করেছে। এই রাজাপুরে অনেককে আসামি করেছে। অনেকে বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। রাজাপুর, ইলিশা, বাপ্তা, চরসামাইয়া, আলীনগর, ভেদুরিয়া অনেক এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, ভোলা ত্যাগ করে ঢাকায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোলার সব চাইতে বড় কাজ আমি করে দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে যে দাঁড়িয়েছে তার বড় ভাই নদী ভাঙ্গার মন্ত্রী ছিল। জনগণের কাছে বাণিজ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, সে কি করেছিল? উত্তরে জনগণ বলেন, সে আসেও নি। রাজাপুরেই নদী ভাঙ্গন রোধ করেছি। শুধু রাজাপুরের জন্যই ব্যয় করা হয়েছে ২৮৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আর রাজাপুরে রাস্তাঘাট করার জন্য খরচ করা হয়েছে ৪৬ কোটি টাকা। এছাড়াও মন্ত্রী, শিক্ষা, পুল কালভার্ট, সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের চিত্র তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, রাজাপুরের এই বেড়িবাঁধ আবার পাকা করে দেবেন। এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, আমি শুধু দলের নয়, সকলের ভোট চাই। আওয়ামী লীগ সরকার যদি নদী ভাঙ্গন বন্ধ করতে পারে, ঘরে ঘরে বিদ্যুত দিতে পারে, রাস্তা-ঘাট, পুল-কালভার্টসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারে। তাহলে নৌকায় ভোট দেবেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতিবাজ, দুর্নীতি করে তিনি এখন জেলে। মন্ত্রী আরও বলেন, এক দিকে শেখ হাসিনা। আর একদিকে ওদের নেতা কামাল হোসেন। ভাড়া করা নেতা।
×