ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ;###; বিদেশী সাহায্য ও ঋণনির্ভরতা কাটিয়ে স্বনির্ভর ;###;১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের মাত্র ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের রফতানি আয় গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬শ’ ;###;কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

উন্নয়নের বিশ্বস্বীকৃতি ॥ দারিদ্র্য জয় করে ৪৭ বছরে বিস্ময়কর অর্জন

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

উন্নয়নের বিশ্বস্বীকৃতি ॥ দারিদ্র্য জয় করে  ৪৭ বছরে  বিস্ময়কর  অর্জন

রহিম শেখ ॥ ভঙ্গুর এক অর্থনৈতিক দশা থেকে একাত্তরে যাত্রা শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ। দেশটির অর্থনীতি পরাস্ত হয় বিদেশী সাহায্য ও ঋণ নির্ভরতায়। পাকিস্তানীদের শোষণে রুগ্ণ দেশকে বাঁচাতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় সব। মুক্ত, কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বদেশে বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের পথ চলা শুরু। দারিদ্র্য জয় করে দীর্ঘ ৪৭ বছরে সেই নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান মতো, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের মাত্র ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের রফতানি আয় গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। শুধু রফতানি নয়, দেশের বাজেটের আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, সরকারী-বেসরকারী বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়, রেমিটেন্স আহরণ, দারিদ্র্যনিরসন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো তৈরি ও উন্নয়ন, বিদ্যুত উৎপাদন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসেছে সফলতা। বাংলাদেশের অর্থনীতির এমন অর্জনকে বিস্ময়কর বলেছেন পৃথিবী বিখ্যাত অর্থনীতিবিদরা। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এসেছে বিশ্ব স্বীকৃতিও। জানা গেছে, স্বাধীনতার মাত্র চার বছরের মাথায় চরম দুর্ভিক্ষে অসংখ্য মানুষ মারা যায়। আর স্বাধীনতার পর গত চার দশকে বিদেশী রাষ্ট্রের শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বেশ পুষ্ট হয়েছে। অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বহু পথ এগিয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প কোন প্রকার বৈদেশিক সহায়তা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক অনুষ্ঠানে এসে বাংলাদেশের গৌরবময় অর্জনের কথা শুনিয়ে যান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, যারা এক সময় বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে আখ্যায়িত করেছিল তারা আজ এ দেশকে ‘উন্নয়নের মডেল’ মনে করছে। স্বাধীনতার পর গত ৪৭ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অর্জনকে ‘রোল মডেল’ মনে করছে বিশ্বের অনেক বড় বড় দেশ। অনেক ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে। দারিদ্র্যবিমোচন, নারী শিক্ষা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমানো, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি নজর কেড়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের। মূলত ১৯৭১ সালে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানী শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল বাঙালী জাতি। স্বাধীনতার চার দশক পর সে স্বপ্ন অর্জনের পথে অনেকটাই এগিয়েছে দেশ। আর এ স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে রফতানি খাত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের রফতানি খাত কাঁচা চামড়া ও পাট নির্ভর হলেও সময়ের আবর্তনে সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, চামড়াজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণসহ হাল্কা ও মাঝারি শিল্পের নানা পণ্য। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের মাত্র ৩৪ কোটি মার্কিন ডলারের রফতানি আয় গত অর্থবছরে পৌঁছেছে প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ কোটি ডলারে। অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, মাথাপিছু কম জমি নিয়ে আর কোন দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে এমন ইতিহাস করেনি। আমাদের বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে ক্রমাগতভাবে বেশি করে সংযুক্ত হতে হবে। যে শিল্প পণ্যগুলো বহুমুখী করে রফতানি করব, সেগুলোর কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমাদের আমদানি করতে হবে, এটাই এখন চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমাদের অর্জন অনেক। কিন্তু এই অর্জন আরও হতে পারত। নানা কারণে তা হয়নি। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বেড়েছে। পোশাক রফতানি করে এখন আমরা বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে। আমাদের কোম্পানিগুলোর নাম এখন বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে পৌঁছে গেছে। এগুলোর সবই আমাদের অর্জন। সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান মনে করেন উন্নয়নের গতি দ্রুত করতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদের আহরণ বাড়াতে হবে। এ জন্য রাজস্ব আহরণের দিকে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। তিনি বলেন, সরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়ছে। কিন্তু সরকারের মানসম্পন্ন বিনিয়োগের দক্ষতা খুবই কম। বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিকেটরস ডাটাবেস ও আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ৫৮তম অবস্থানে ছিল। ২০১৫ সালে ২০৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার জিডিপি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির আঙ্গিনায় ১৪ ধাপ উপরে উঠে ৪৪তম স্থানে অবস্থান করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শূন্য হতে শুরু করে বছর বছর ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের মতো শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে দেশের অর্থনীতি। প্রথম প্রজন্মের হাতে গড়া বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানে রূপান্তর হচ্ছে দ্বিতীয় প্রজন্মের হাত ধরে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পর আমাদের অর্জন অনেক। দেশের রফতানি খাত বিশ্ব বাজারে এখন একটি উজ্জ্বল নাম। এছাড়া দেশের অর্থনীতিকে আরও অগ্রসর করতে সামনে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে দেশের ব্যবসায়ীরা অনেক পরিকল্পনা করছেন, যা দেশের অর্থনীতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। এখন মানুষ আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। সরকারের নীতিগত সহায়তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পেলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ॥ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছিল ঋণাত্মক দিয়ে। ওই সময় দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাইনাস ১৩.৯৭ শতাংশ। এর পর থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় প্রবৃদ্ধি। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৭.৮৬ শতাংশে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয় ৭.৫০ শতাংশ, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৭ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৫০ শতাংশ। মাথাপিছু আয় ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের গড় মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৫ মার্কিন ডলার। আর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ছিল মাত্র ১২৯ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে গত ৪৪ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ১১ গুণ বেড়েছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিন সূচকের দুটিতে উত্তীর্ণ হলে কোন দেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ তিন সূচকেই যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। আগামী ছয় বছর এর যে কোন দুটি সূচকে জাতিসংঘের মানদ- ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে। মানবসম্পদ সূচকে পাঁচটি বিষয়ের পরিসংখ্যান বিবেচনায় নেয় জাতিসংঘ। রিজার্ভ ॥ ১৯৭৩ সালে দেশের রিজার্ভ ছিল ১৭৩ মিলিয়ন ডলার বা ১৭ কোটি ৩ লাখ ডলার। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রিজার্ভ। চলতি বছরের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। গত নবেম্বর শেষে ৩২.৭ বিলিয়নে এসে রেকর্ড গড়ে ছিল দেশের রিজার্ভ। যা প্রতিমাসে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাজেট ॥ গত ৪৫ বছরে (১৯৭২-৭৩ থেকে ২০১৬-১৭) দেশে জাতীয় বাজেটের আকার বেড়েছে ৪৩২ গুণ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকার প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন। আর ৪৭ বছর পর প্রথম বাজেটের চেয়ে ৬০০ গুণ বেড়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটের আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। রেমিটেন্স আয় ॥ স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় ছিল ১৬.৩৫ মিলিয়ন বা এক কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত সাড়ে চার দশকে তা বেড়েছে কয়েক শ’ গুণ। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত এক দশকে রেমিটেন্স আয় প্রায় সাড়ে তিনগুণ বা ২১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মাসে দেশের প্রবাসী আয় এসেছে ১৪.৯৩ বিলিয়ন ডলারে। বেসরকারী বিনিয়োগ ॥ সরকারী বিনিয়োগ বেড়েছে ব্যাপক। সেইসঙ্গে বেড়েছে বেসরকারী বিনিয়োগও। গত এক দশকে বেসরকারী বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ৪-৫ গুণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে বলে আশা করা যাচ্ছে। রাজস্ব আয় ॥ স্বাধীনতার পর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৪২ কোটি টাকা। আর এখন রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। সর্বশেষ করদাতার সংখ্যা ২৮ লাখ ছাড়িয়েছে। রফতানি আয় ॥ স্বাধীনতার পর প্রথম অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি টাকা। সর্বশেষ ইপিবি রফতানি আয়ের এই হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে। চলতি অর্থবছরে প্রথম পাচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) ১ হাজার ৭০৭ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। আমদানি ব্যয় ॥ দেশের বহুগুণ বেড়েছে আমদানি ব্যয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ২২৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি। দারিদ্র্য নিরসন ॥ স্বাধীনতার পর দেশের ৮৮ শতাংশ মানুষ ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে। ২০০৫ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪০ শতাংশ। ২০১৫ সালে নেমে এসেছে ২৪.৮ শতাংশে। ২০১৬ সালে এ হার প্রাক্কলন করা হয় ২৩.২ শতাংশ। সেইসঙ্গে ব্যাপক হারে কমেছে অতি দারিদ্র্যের হারও। হিসাব অনুযায়ী, অতিদারিদ্র্য কমে দাঁড়িয়েছে ১২.৯ শতাংশে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ৪৬২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এখন এডিপিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৪৭ শতাংশে, এখন যা কমে সাড়ে ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
×