ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেখ হাসিনা ॥ প্রেক্ষিত ২০১৮

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

 শেখ হাসিনা ॥ প্রেক্ষিত ২০১৮

কয়েক দশক স্বাধীনতার জন্য ধারাবাহিক আপোসহীন আন্দোলন সংগ্রাম ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মহান জন-মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যাঁর একক নেতৃত্ব, অপরিমেয় ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং প্রায় সপরিবারে প্রাণ বিসর্জন, তিনিই হচ্ছেনÑ মহাকালের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, ইতিহাসে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাঙালী রাষ্ট্রনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিজয় মাসে গৌরবের এই শুভক্ষণে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। জাতীয় চার নেতার শাহাদাতবরণ, ত্রিশ লাখ শহীদানের আত্মবিসর্জন ও দুই লাখ জননী, জায়া ও কন্যার সর্বোচ্চ ত্যাগ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। ফরাসী জাতির জীবনে ১৪ জুলাই যেমন ইতিহাস সমৃদ্ধ এক অবিস্মরণীয় দিবস, বাঙালী জাতির জীবনেও ১৬ ডিসেম্বর এ রকম এক অমর অক্ষয় দিন। যাঁদের এই দিনে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ না করলে আমরা ইতিহাসের অধ্যায়ে কালরাত্রির পদযাত্রী হব, তাঁরা হলেন পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জননেত্রী আইভি রহমানসহ একুশ আগস্টের সকল শহীদান এবং মহীয়সী রমণী ঘাতক, দালাল নির্মূল আন্দোলনের প্রধান নেত্রী প্রয়াত শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। এই দিন বাঙালী জাতি শুধু তাদের জাগ্রত জাতীয়তাবোধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সমৃদ্ধ জাতিসত্তার আলোকে একটি লাল সবুজের পতাকার দেশ প্রতিষ্ঠা করেনি, যে ভাষার জন্য এ জাতিকে প্রাণ দিতে হয়েছিল সেই বাংলাভাষা একক রাষ্ট্রভাষা হিসেবেও প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই ১৬ ডিসেম্বরের ঠিক দুই দিন পূর্বে ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের উষালগ্নে জাতিকে চিরতরে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে পাক হানাদারের দোসর আলবদর, আলশাম্স ও রাজাকার বাহিনী যেসব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত নিষ্ঠুর হিংস্র পাশবিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে, সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতিও আমাদের গভীর শোকাবহ শ্রদ্ধা। একাত্তরের নৃশংসতার বর্ণনা পৃথিবীর বহু দেশে খ্যাতিমান সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের কলাম ও লেখনিতে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক পরিবেশনায় উপস্থাপিত করেছেন। প্রখ্যাত সাংবাদিক রবার্ট পেইন তাঁর ‘ম্যাসাকার’ গ্রন্থে ধর্মান্ধ ছাত্রদের নিয়ে গোপনে আলবদর ও আলশাম্স বাহিনী গঠন এবং এ কুখ্যাত জল্লাদদের চক্রান্তের মাধ্যমে কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও প্রগতিশীল মেধাবী ছাত্রদের হত্যাযজ্ঞের নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে, তার বিশদ বর্ণনা করেছেন। পাকিস্তানী গবেষক হুসাইন হাক্কানি তার ‘বিটুইন মস্ক এ্যান্ড মিলিটারি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘জামায়াত ইসলাম ও তাদের ছাত্র সংগঠন দ্বারা গঠিত ‘আলবদর’ ও ‘আলশাম্স’ কাজ করত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ডেথ স্কোয়াড হিসেবে। এরা পাকিস্তানী সৈন্যদের একাত্ম হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিবাহিনী, আওয়ামী লীগ নেতা, ও প্রগতিশীল পেশাজীবীদের হত্যায় অংশ নেয়’ (সূত্র : সমকাল ১৩/১২/২০১৩)। ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই সানডে টাইম্স পত্রিকার প্রথম পাতার ‘পাকিস্তানে সংঘবদ্ধ নির্যাতন’ শীর্ষক কলামে কিভাবে হত্যা ও নির্যাতনের বাইরে বাঙালী মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি করে তাদের বিকৃত মন মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে, তার করুণ বর্ণনা রয়েছে। শুধু বিদেশী বা দেশীয় পত্র-পত্রিকা নয় জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামের প্রায় প্রতিটি সংকলনেই এ নৃশংসতার দলিল প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত বিশেষ নিবন্ধে বলা হয় ‘আলবদর একটি নাম, একটি বিস্ময়, একটি প্রতিজ্ঞা। মুক্তি বাহিনীর জন্য আলবদর হলো সাক্ষাত আজরাইল।’ বাঙালীর সকল ত্যাগের প্রাপ্তি শুধু স্বাধীনতা অর্জনে নিহিত নয়, আজকের সমাজ বাস্তবতায় তারা নিরন্তর আনন্দের সঙ্গে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের জন্য সেই কুৎসিত পাপিষ্ঠদের স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক মানদন্ডে নির্ভার প্রচলিত আইনের আওতায় দন্ডিত এবং দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার গগনচুম্বী ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশের সাক্ষী হয়ে থাকল। সুখের বিষয় হচ্ছে আজ শুধু দেশে নয়, ২৩ নবেম্বর ২০১৮ খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে নির্লজ্জ প্রতিষ্ঠালাভের কারণে এসব পরাজিত শত্রুদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব গ্রহণ এবং বাংলাদেশ সরকারকে তার বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানানো হয়। এসব অপার অর্জন সম্ভব হয়েছে শুধু একজনের নেতৃত্বে যিনি আজ বিশ্বপরিম-লে দেশকে সামগ্রিক দিক থেকে অত্যন্ত উঁচু মাত্রিকতায় সুপ্রতিষ্ঠিত এবং দেশবাসীকে সুমহান মর্যাদায় সমাসীন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, জাতির জনকের সুযোগ্য তনয়া, বাঙালীর অহঙ্কার, জ্ঞানদীপ্ত সমাজ ও জীবনদর্শন প্রণেতা, আধুনিক বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির পন্থা উদ্ভাবক দেশরতœ শেখ হাসিনা। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে মহান স্রষ্টার উপর গভীর আস্থাশীল, আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী নির্ভীক সাহসিকতায় অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি সাধন করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারদর্শী বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী মহীয়সী নেত্রী শেখ হাসিনা। আজ বঙ্গবন্ধু তনয়া বিশ্ব বরেণ্য-নন্দিত সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের উন্নয়ন মহাসড়কে উন্নীত করে এক অতুলনীয় মহান চরিত্রের অধিকারী হয়েছেন। সার্থক হয়েছে তাঁর দেশপ্রেম, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নের অবিচল অঙ্গীকার, প্রজ্ঞা, মেধা, নিরলস পরিশ্রমের অবিনাশী সমীকরণ। নিঃসন্দেহে দাবি করতেই পারি, মহাভারতের সেই ‘দ্রৌপদী’ অভিধা যথার্থ অর্থেই দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্যই প্রযোজ্য। আমরা জানি, উন্নয়নতত্ত্বে এজি ফ্র্যাঙ্কের ‘অনুন্নয়নের উন্নয়ন’ প্রত্যয়ে কিভাবে অনুন্নয়নধারাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়নকে রুদ্ধ করা হয়, তার বিশ্লেষণ জগত সমাদৃত। লুম্পেন বুর্জোয়া শক্তিসমূহ কিভাবে পুঁজিবাদ বা বিশ্বায়নের নামে বিশ্ব জনগোষ্ঠীর প্রায় সকল সম্পদকে কুক্ষিগত করে বস্তুগত সংস্কৃতির নবনব উদ্ভাবন-উপাদানকে বিপণন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন বৈশ্বিক বাজার সৃষ্টিতে তৎপর রয়েছে। অনুন্নত কোন দেশ উন্নয়নের রোড়ম্যাপ বাস্তবায়ন করে উন্নয়নশীল বিশ্ব বা উন্নত বিশ্বের সমাবস্থানে নিজেদের নিয়ে যাক, সেটি কখনও তাদের কাম্য নয়। বিভিন্ন নেতিবাচক কাল্পনিক কিছু বিষয় তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইন বহির্ভূত হত্যা, স্বাগতিক বা সামরিক-পেশি গণতন্ত্রায়ন, নির্বাচন বা সরকার গঠন, বাকস্বাধীনতা ও তথ্যাধিকার ইত্যাদি সম্পর্কে নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে এক ধরনের অনৈতিক চাপপ্রয়োগ কতটুকু যৌক্তিক- তার বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার, মধ্য-প্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশসমূহ বা কথিত উন্নয়ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশসমূহে যেসব রাজনৈতিক, জঙ্গী বা সন্ত্রাসী কর্মযজ্ঞ প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছে, সে সম্পর্কে তাদের নিরবতা ও বাকরুদ্ধতা সত্যিই বিশ্বের সচেতন মহলকে করে আতঙ্কিত। বর্তমান সময়ে গ্রহণযোগ্য দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান কার্যকর করার সকল মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড উৎসবমুখর পরিবেশে প্রায় সম্পন্ন করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচন কমিশন নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। অনন্য এক আমেজে পুরো দেশবাসী নির্বাচনমুখী এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য গভীর আগ্রহভরে দিনক্ষণ গণনা এবং পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে প্রচ্ছন্ন বিশ্লেষণে বিভোর। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বা চক্রান্তকারীরা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘœ বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে তাদের নানাবিধ মজ্জাগত কূটকৌশল অবলম্বনে তৎপর রয়েছে। জনগণের সনাতন মূল্যবোধের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন না করে অত্যন্ত অনৈতিক প্রক্রিয়ায় রীতিমতো বিস্ময়কর দলবাজি, দলবদল এমনকি জঙ্গীবাদকেও ধারণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ তাদের চিহ্নিত করতে পেরেছে বলেই মাঠ পর্যায়ে তাদের নাজুক বা নড়বড়ে অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট। বর্তমান সরকার বিগত দশ বছরে তাদের অর্জনের হালখাতাকে এতবেশি সমৃদ্ধ করতে পেরেছে তা শুধু দেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে আজ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রত্যেক উন্নয়ন, উৎপাদন, বিপণন খাতগুলোকে ঈর্ষণীয় সূচকে উন্নীত করে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরে সক্ষম ধারাবাহিক রাজনৈতিক অঙ্গীকারের ভবিষ্যত যে অত্যধিক প্রজ্বলিত- এ নিয়ে কারও সংশয় বা সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না। এ জন্যই বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁদের সামগ্রিক সমর্থন জানাতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করছে না। উন্নত শিল্পায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে প্রযুক্তির অধিকতর ইতিবাচক ব্যবহার, উন্নত যোগাযোগ, পর্যাপ্ত বিদ্যুত ব্যবস্থা, উন্নত কর্মপরিবেশসহ রাষ্ট্রের স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসবের প্রতি বর্তমান সরকারের গভীর আগ্রহ মনোযোগ বিশেষভাবে প্রশংসিত। বিগত কয়েক বছরের প্রথম দিন দুইশ’ ষাট কোটি পঁচাশি লাখ একানব্বই হাজার দুইশ’ নব্বইটি বই বিনামূল্যে কোমলমতি শিশুদের হাতে তুলে দিয়ে বিশ্বে বিস্ময়কর উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষাখাতে উন্নয়ন ব্যতিরেকে কোন আধুনিক মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যে অসম্ভব, তার পুরোপুরি উপলব্ধি এই সরকারের অপূর্ব সার্থকতা। প্রায় পনেরো কোটি মোবাইল ফোন ও নয় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাতত্ত্ব ডিজিটাল বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে কত উঁচু মার্গে নিয়ে গেছে তা সহজে অনুমেয়। পাঁচ হাজার দুইশ’ ছিয়াশিটি ডিজিটাল সেন্টারে ছত্রিশ কোটি সত্তর লাখ সেবা গ্রহীতার দৃষ্টান্ত বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির অবস্থান কত সুদৃঢ় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশ্যই এর জন্য যার কৃতিত্ব সমধিক এবং গৌরবদীপ্ত তিনি হচ্ছেনÑ বরেণ্য তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বিশ্বনন্দিত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত এম ওয়াজেদ মিঞা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিগত ৪৬ বছরে প্রায় ৫৯১ গুণে সমৃদ্ধ ৪,৬৪,৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় অর্থ ব্যবস্থাপনায় রচিত হয়েছে নতুন আরেক অধ্যায়। উল্লেখিত উন্নয়নচিত্র প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই অন্য রাষ্ট্রের অনুকরণ ও অনুসরণযোগ্য। পদ্মা সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণসহ কৃষি, বিদ্যুত, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, বৈদেশিক আয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য নিশ্চয় এই বিজয়ের মাসের গৌরবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মাস শেষে জাতীয় নির্বাচনে জনগণ প্রতিফলন ঘটাবে- নির্ধার্য চিন্তক হিসেবে এই বিশ্বাসের প্রতি সকলেই শ্রদ্ধাশীল বলে আমার ধারণা। লেখক : শিক্ষাবিদ, উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
×