ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিতে শেখ রাসেল

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিতে শেখ রাসেল

রুমেল খান ॥ জমে ওঠেছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের খেলা। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন আরামবাগের বিদায়ঘণ্টা বেজেছিল মঙ্গলবার। একদিন পর বুধবার এবার বিদায় নিল গত আসরের রানার্সআপ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডও। শুধু তাই নয়, বন্দরনগরীর এই দলটির টানা তিনবার ফাইনাল খেলার স্বপ্নটাও গুঁড়িয়ে গেল। তাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিয়েছে ২০১২ আসরের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ‘বেঙ্গল ব্লুজ’রা ২-০ গোলে হারায় চট্টলার দলটিকে। প্রথমার্ধেই সবগুলো গোল হয়। প্রথম সেমিফাইনালে শেখ রাসেল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল ব্রাদার্স ইউনিয়নকে যা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। শেখ রাসেলের ডাগআউটে ছিলেন কোচ সাইফুল বারী টিটু। রক্ষণাত্মক ফুটবল কোচ হিসেবেই যিনি বেশি পরিচিত। এদিন তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে। সেটা কিভাবে? গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের ১৭ রাউন্ড পর্যন্ত এই চট্টগ্রাম আবাহনীকে প্রথম স্থানে তুলে রাখার পরও শেষ মুহূর্তে এসে শিরোপার রেস থেকে ছিটকে যাওয়ায় কোচ টিটুকে বরখাস্ত করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। সেই কষ্টটা নিশ্চয়ই ভোলেননি টিটু। এবার শেখ রাসেলের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন সেই চট্টগ্রাম আবাহনীকেই। তাদের হারিয়ে কী আত্মতৃপ্তি পেলেন না তিনি? ম্যাচ শেষে টিটু বলেন, ‘গত দুই ম্যাচে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। এই ম্যাচে জয়ের কৃতিত্বটা ছেলেদেরই দেব। দ্বিতীয়ার্ধে তাদের বলেছি তোমরা ২-০তে এগিয়ে আছ মানে ম্যাচ জিতে গেছ, এমনটা ভেব না। আবার শূন্য থেকে শুরু কর। দ্বিতীয়ার্ধে লং পাসে খেলা হয়েছে। তাই তারাও গোলের সুযোগ পায়নি, আমরাও পাইনি।’ উল্লেখ্য, এবার স্বাধীনতা কাপে গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচে একটিও গোল করতে পারেনি শেখ রাসেল। গোলশূন্য দুই ড্রতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। তবে এবার ২-০ গোল করে সেমিতে পৌঁছে আরও বেশি উজ্জীবিত দলটি এখন চোখ রাখছে ফাইনালে। ডাগআউটে দাঁড়িয়ে অনেক চিৎকার করেছেন। এটাকে খেলার একটা অংশ বলেই মনে করেন শেখ রাসেল কোচ, ‘আমি চিৎকার করেছি যাতে করে ফুটবলারদের মনোযোগে কোন বিঘœ না ঘটে। আমি খুশি যে শেষ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা নিজেদের কাজটি ভালভাবে করতে পেরেছে।’ প্রথম সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কাগজে-কলমে শক্তির বিচারে ব্রাদার্সেওর চেয়ে এগিয়ে রাসেল। ফাইনালে ওঠার ভাল সুযোগ দেখছেন টিটু, ‘আমরা ভেবেছিলাম সেমিফাইনালে হয়তো আবাহনী কিংবা সাইফ স্পোর্টিং পড়বে। আজকে জানলাম ব্রাদার্সের সঙ্গে খেলব। ব্রাদার্সকে খাটো করে দেখছি না। তবে ফাইনালে ওঠার ভাল সুযোগ আমাদের সামনে।’ দলে হাল্কা চোট সমস্যা আছে। সেমিফাইনালের আগে সেটা কাটিয়ে ওঠবে বলে মনে করেন রাসেল কোচ। ৩৪ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে বিশ্বনাথ ঘোষের ক্রসে বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে চট্টগ্রাম আবাহনীর জাল কাঁপান রাসেলের উজবেক ফরোয়ার্ড আযিযোব আলীশের (১-০)। ৩৮ মিনিটে বিপলুর শট মুফতা লাওয়াল ক্লিয়ার করতে গেলে পেয়ে যান নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড রাফায়েল ওদোয়িন। বাঁপ্রান্ত থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)। তবে প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চেষ্টা করেছে শেখ রাসেল। তবে এই অর্ধে তারা কোন গোল আদায় করে নিতে পারেনি।
×