কোহলির ষড়যন্ত্রেই কুম্বলের বিদায় মেইল ফাঁস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘটনার অনেকদিন হয়ে গেলেও রেসটা ফিরে আসছে বারবার। দেশ-বিদেশে দারুণ সব সাফল্য তুলে নেয়া অনীল কুম্বলেকে সরিয়ে ভারতের কোচ করা হয় রবি শাস্ত্রীকে। প্রভাবশালী অধিনায়ক বিরাট কোহলির ইশারাতেই এমনটা হয়েছিল বলে তখন জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। সেটি যেন বাস্তব হয়ে সামনে উঠে এলো। এবার এক ই-মেইল ফাঁস হলো, যেটিতে কোহলির কোচ সরানোর ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। কুম্বলে কোচ থাকার সময় ভীষণ সফল ছিল ভারত। ১৭ টেস্টে তারা মাত্র একটি হার দেখেছিল। তারপরও অনেকটা বাধ্য হয়ে গত বছর ভারতীয় দলের কোচের পদ ছেড়ে দিতে দেশের কিংবদন্তি এই লেগস্পিনার। কিন্তু কেন? ফাঁস হওয়া ই-মেইল থেকে জানা গেছে, কোহলি নাকি কুম্বলে কোচ থাকার সময় নিয়মিত মেসেজ (খুদেবার্তা) পাঠাতেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরির কাছে। সেগুলো সবই ছিল কোচ কুম্বলের বিরুদ্ধে। শচীন টেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষণ আর সৌরভ গাঙ্গুলীর মতো কিংবদন্তিদের নিয়ে গড়া ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট এ্যাডভাইজরি কমিটিই (সিএসি) কুম্বলেকে কোচের দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কোহলির দাপটে এই পদে টিকতে পারেননি কুম্বলে। ফাঁস হওয়া ই-মেইলের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অধিনায়কের পছন্দে রবি শাস্ত্রীকে কোচ বানিয়ে আসলে বিসিসিআইয়ের নিয়মই ভাঙ্গা হয়েছে। কুম্বলে তার পদত্যাগের সময় পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছিলেন, অধিনায়কের তার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আপত্তির কথা। এমতাবস্থায় অধিনায়কের সঙ্গে জুটি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছিলেন এই কোচ। ডায়ানা এডুলজির ফাঁস হওয়া ই-মেইলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোহলির ক্ষমতার তুলনা এনে। সাবেক প্রমীলা ক্রিকেটার ও বর্তমান বোর্ডের নারী উইংয়ের গুরুত্ববপূর্ণ সদস্য ডায়ানা বিসিসিআই কর্তাদের পাঠানো ই-মেইলে লিখেছেন, ‘বিরাট চাননি কুম্বলে দায়িত্ব চালিয়ে যান, সিএসি সেটা চাওয়া সত্ত্বেও। কুম্বলেকে অপমানিত করা হয়েছে এবং তাকে ভিলেন বানানো হয়েছে। তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট যোগ্য ছিলেন। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু নিয়ম ভাঙ্গা হয়েছে। আমি তখন এটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম।’ ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলির ক্ষমতা নিয়ে অনেক কথা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় যে বিতর্ক, সেটা হলো কোচ অনীল কুম্বলেকে সরিয়ে দেয়া। কোহলি একক ক্ষমতাবলে কোচ কুম্বলেকে ‘বলির পাঁঠা’ বানিয়েছিলেন, এমন কথা প্রচলিত আছে বাজারে। তবে দল সাফল্য পাওয়ায় সময়ের ব্যবধানে সব কিন্তু ঠিকই আড়ালে চলে যাচ্ছে।