ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাশকতার মামলায় দুলু গ্রেফতার ॥ বিএনপি নেতাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

 নাশকতার মামলায় দুলু গ্রেফতার ॥ বিএনপি নেতাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। অন্যদিকে রাজধানীর বাড্ডায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার না করে বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। যদিও এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ডিবি পুলিশ বলছে, বাড্ডায় কফিল উদ্দিনের বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযানই চালায়নি। এমন ঘটনার পর কফিল উদ্দিনের মৃত্যু নিয়ে রীতিমত রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোন গোষ্ঠী পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তাকে হত্যার পর ডিবির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। বুধবার সকালে গুলশানের বাসা থেকে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দুলুর বিরুদ্ধে একটি নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। প্রসঙ্গত, নাটোর-২ আসন থেকে বিএনপির হয়ে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। যদিও তার মনোনয়ন বাতিল করেছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুলু রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপীল করেও ব্যর্থ হন। পরে হাইকোর্টে যান। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুলুর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। বুধবার ফৌজদারি মামলায় দ-িত বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে এ দুই প্রার্থীর নির্বাচন আটকে যায়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপীল বিভাগ এ আদেশ দেন। বুধবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে ডিবি পুলিশ রাজধানীর ভাটারা থানাধীন ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে তার বাসায় যায়। এতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে কফিল উদ্দিন বাসার ছাদে আত্মগোপন করেন। এ সময় ডিবি পুলিশ তার ছেলেকে নির্যাতন করে। তারা কফিল উদ্দিনকে খুঁজতে খুঁজতে একপর্যায়ে বাসার ছাদে গিয়ে পায়। তাকে মারতে মারতে ছাদ থেকে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই কফিল উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ ডিবি পুলিশ কফিল উদ্দিনের বাসায় অভিযানই চালায়নি। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে ডিবি পরিচয়ে কেউ তাকে এভাবে হত্যা করেছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
×