অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ওষুধ, মোটরসাইকেল, সিরামিক, টুপিসহ ৯টি পণ্য রফতানিতে ১০ শতাংশ করে নগদ সহায়তা (ভর্তুকি) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। গত সেপ্টেম্বরে ওই ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল। মঙ্গলবার ভর্তুকি পাওয়ার শর্ত, আবেদনের নিয়মাবলি এবং ভুলভাবে কাউকে ভর্তুকি দিলে করণীয় বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদিত সকল ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হারে ভর্তুকি পাওয়া ২৬টি পণ্যের সঙ্গে এ ৯টি পণ্য যুক্ত হওয়ায় ভর্তুকি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫। ফলে ২০১৮ সালের এক জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকৃত ৩৫টি পণ্য রফতানির বিপরীতে ভর্তুকি পাবে।
যে ৯টি পণ্যে ১০ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেয়া হবে সেগুলো হচ্ছে, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, ফটোভোলটাইক মডিউল, মোটরসাইকেল, কেমিক্যাল পণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড), রেজর ও রেজর ব্লেডস, সিরামিক দ্রব্য, টুপি, কাঁকড়া ও কুচে (হিমায়িত ও সফটসেল, পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ সাপেক্ষে) এবং গ্যালভানাইজড শিট/কোয়েলস। অর্থাৎ কোন রফতানিকারক এই ৯টি পণ্যের যে কোনটায় ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলে সরকারের কাছ থেকে ১০ টাকা নগদ সহায়তা পাবেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৬ ধরনের পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও এসব পণ্য রফতানি মূল্যের বিপরীতে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব পণ্যে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ হতে হবে। এসব খাতে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধ করা হলে পরিশোধকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত পরিশোধকারী ব্যাংকের হিসাব থেকে কেটে নেয়া হবে। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনিয়মে সহযোগিতা করলে কিংবা সংঘটিত অনিয়মের সঙ্গে কোন ব্যক্তি ও ব্যাংক বা সরকারী কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
