ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ

ধানের শীষের প্রার্থী নিয়ে হতাশ বিএনপির নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

  ধানের শীষের প্রার্থী নিয়ে হতাশ  বিএনপির নেতাকর্মীরা

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে আবারও প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে বেশ পরিচিত। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে তিনি জোরেশোরেই নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। অপরদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা হয়েছে ২০ দলীয় জোটের জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ শাখার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। তিনি এ আসনে একেবারেই নতুন। অবশ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর দলের নির্দেশে প্রত্যাহার করা দুই প্রার্থীও তাকে কোনদিন দেখেননি বলে জানান। বিএনপি এ আসনে নতুন একজনকে ধানের শীষের প্রার্থী করায় খোদ বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশা প্রকাশ করেছে। এ আসনে প্রবীণ ও নতুন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে অনেকেই নিশ্চিত করেছেন। মনির হোসাইন কাসেমীকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষণা করায় হতবাক হয়ে পড়েছেন এ আসনের বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই জানেন না মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর পরিচয় কি? কোথায় তার বাড়ি। কোন আন্দোলন সংগ্রামেও তাকে রাজপথে দেখেননি বলে জানান। রবিবার দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মামুদ এবং বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করায় দলীয় নেতাকমীরা চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা তাকে কোনদিন দেখিওনি, চিনিও না। ফতুল্লা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, যাকে বিএনপি তথা জোটের প্রার্থী করা হয়েছে তাকে কোনদিন দেখিওনি ও চিনিও না। কোথায় থাকেন তাও জানি না। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহ আলম বলেন, আমি দলকে ভালবাসি। দলের যে কোন সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। যাকে প্রার্থী করা হয়েছে হয়ত সে আমার চেয়ে বেশি যোগ্য এবং জনপ্রিয় বলে মনে করছে দল। তাই তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাংবাদিকদের বলেন, ২০ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে আট বছর ধরে আমার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই আসনে কাজ করে আসছি। বিএনপির তথা বিশ দলীয় জোটের শরিক সব দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাই তিনি আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। শরিক দল ২০ দলীয় জোটের জমিয়তে ওলামা ইসলামের মুফতি মনির হোসেন কাসেমীকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী করা প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি আস্তে আস্তে জঙ্গীবাদের দিকে ধাবিত হয়ে যাচ্ছে। তার বড় প্রমাণ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন। আমি দুঃখ পেয়েছি, কষ্ট পেয়েছি। একজন পলিটিশিয়ান হিসেবে কাউকে ছোট করছি না। যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাকেও খাটো করছি না।
×