ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধির স্বার্থেই প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার পদ্ধতির সম্প্রসারণ দরকার

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধির স্বার্থেই প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার পদ্ধতির সম্প্রসারণ দরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এখনও দেশে ব্যবহারের পর যে কোন প্লাস্টিকের স্থান হয় ভাগাড়ে, অথচ সামান্য পরিকল্পনাতেই তা পরিণত হতে পারে টাকার খনিতে। সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের পাশাপাশি, দরকার শক্তিশালী রিসাইক্লিং ব্যবস্থা। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, ধীরে হলেও এগিয়ে আসছে সরকার, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। তবে শুধু আর্থিক লাভ নয়, পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্বার্থেই প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার পদ্ধতির সম্প্রসারণ চান অর্থনীতিবিদরা। দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে নানা ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার, যার প্রায় শতভাগই রূপ নিচ্ছে মারাত্মক ক্ষতিকর বর্জ্য।ে বন্ধ হচ্ছে জলাধার, হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশের স্বাভাবিক সৌন্দর্য। বিপজ্জনক এই চিত্রের রূপ বদলাতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারকরণ প্রক্রিয়ায়। কিন্তু ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহে প্রাতিষ্ঠানিক কোন উদ্যোগ না থাকায় শুরুতেই হোঁচট খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ফলে, দেশে প্রতিবছর উৎপাদিত ১৫ লাখ টন প্লাস্টিকের মধ্যে রিসাইক্লিং হচ্ছে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টন। অথচ ফেলে দেয়া প্লাস্টিক থেকে দেশেই তৈরি হতে পারে পেট রেজিনের মতো আমদানি নির্ভর পণ্য। প্লাস্টিক পণ্য কিংবা পোশাক খাতের সুতা তৈরিতে প্রতিবছর আমদানিতে বাংলাদেশকে গুণতে হয় ২৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশীয় শিল্প সহায়ক নীতির অভাবে বাড়ছে না প্লাস্টিক রিসাইক্লিং, যদিও ভিন্নমত সরকারের। বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদেম মাহমুদ ইউসুফ বলেন, রিসাইক্লিং অন্য ইন্ডাস্ট্রির মতো নয়। অন্যান্য দেশে ব্যবহার করলে সরকার ভর্তুকি দেয়। আর আমাদের দেশ হয় ভিন্ন। অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, যারা বর্জ্য রিসাইক্লিং করেন আমরা তাদের সহায়তা দিব। এক টাকা ব্যয় করলে আমাদের বুঝতে হবে কী প্রয়োজনে ব্যয় করছে। তবে একে অন্যকে দোষারোপ নয়, পরিবেশের ভারসাম্য রেখে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের আহ্বান অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খাত ভিত্তিক।
×