ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসবের সমাপনী

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসবের সমাপনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চার নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ক্যাম্পাস থিয়েটার উৎসব। ‘শিক্ষা ও শিল্পের আলোয় ২০৪১-এ পৌঁছে যাবো উন্নতির শিখরে’ সেøাগানে এ উৎসবের আয়োজন করে বাঙলা কলেজ যুব থিয়েটার। উৎসব সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সারাদেশের ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনের বাছাইকৃত ১২টি নাটক নিয়ে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এ উৎসবের রবিবার ছিল সমাপনী দিন। এদিন সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হয় চারটি নাটক। সমাপনী মঞ্চায়ন ছিল রুবাইয়েৎ আহমদের ঐতিহ্য পুনঃরুদ্ধারের ‘রঙমহাল’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মপরিচয়ের ‘জীবিত ও মৃত’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তনার ‘ফেল’, হাবিব তাড়াশীর দ্বান্দ্বিক সময়ের ‘ঐক্য’। উৎসবের সমাপনী ঘোষণা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী। বিগত ১৩ বছর যাবত নাট্য ব্যক্তিত্ব লিয়াকত আলী লাকীর সবিশেষ তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলন পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৫০টি কলেজে ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনের কার্যক্রম চলমান। দেশের ক্যাম্পাস থিয়েটার আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনায় শতাধিক কর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে ক্যাম্পাস থিয়েটার গঠনের লক্ষ্যে প্রায় ৩০টিরও বেশি জেলায় নাট্য-কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এমনিতে বিভিন্ন কলেজে নাট্যচর্চার প্রচলন থাকলেও ২০০৫ সালে বাঙলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ নাট্য আন্দোলন হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ক্যাম্পাস থিয়েটারে শিক্ষার্থীরাই নাটকের পা-ুলিপি রচনা, নির্দেশনা এবং অভিনয়ের মাধ্যমে নাটক উপস্থাপন করে থাকে। ক্যাম্পাস থিয়েটারগুলো কলেজের একজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং দলটি ছাত্র ও শিক্ষকের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়।
×