স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিতের পরও দলটির নিবন্ধন কার্যকর করতে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, সচিবসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে আদালত। রুলে তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। দলটির সভাপতির ড. কাজী ফারুক আহম্মেদ ও সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুস সামাদের পক্ষ থেকে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
গত ৬ ডিসেম্বর আদালতের আদেশ অমান্য করে ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে রেজিস্ট্রেশন পুনর্বহাল না করা এবং দলটির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারের একটি আইনী নোটিস পাঠানো হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি, সেক্রেটারি এবং প্রার্থীদের পক্ষে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এই নোটিস পাঠান। সিইসি কেএম নুরুল হুদা ছাড়াও যাদের নোটিস দেয়া হয়েছে তারা হলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।