ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গ্রহণ করলেন মুকওয়েজি ও নাদিয়া মুরাদ

যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের প্রতি উৎসর্গ নোবেল শান্তি পুরস্কার

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের প্রতি উৎসর্গ নোবেল শান্তি পুরস্কার

নরওয়ের রাজধানী অসলোর মিউনিসিপ্যাল ভবন অসলো সিটি হলে সোমবার এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েজি ও ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের অধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ পুরস্কার গ্রহণ করেন। নাদিয়া ইরাকের জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যৌনদাসী ছিলেন। পরে তিনি যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। খবর এএফপির। নোবেল শান্তি পুরস্কার হিসেবে একটি স্বর্ণপদক, সনদ ও ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (আট লাখ ৮০ হাজার ইউরো, দশ লাখ মার্কিন ডলার) দেয়া হবে। মুকওয়েজি যৌন সহিংসতার শিকার নারীদের সহায়তায় তার কাজের জন্য ডক্টর মিরাকল হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে নাদিয়া ইয়াজিদি নারীদের জন্য শক্তিশালী প্রচার চালাতে তার অভিজ্ঞতা সবাইকে জানাচ্ছেন। অক্টোবরে নরওয়ের নোবেল কমিটি যখন পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে তখন যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র ও সশস্ত্র সংঘাতে যৌন সহিংসতার অবসানে তাদের অবস্থানের কথা জানান। উভয় নোবেলবিজয়ী তাদের পদক বিশ্বব্যাপী ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের উৎসর্গ করেছেন। তারা বলেন, তারা আশা করছেন এই নোবেল পুরস্কার যৌন সহিংসতার সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করবে এবং বিশ্বকে বিষয়টিকে অবজ্ঞা করা কঠিন করে তুলবে। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুকওয়েজি সাংবাদিকদের জানান, আমরা বলছি না যে আমরা আইন চাই না কেননা আমরা তা জানি না। এখন সবাই জানে। এজন্য আমি এখন মনে করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব আইন করা। চিকিৎসক মুকওয়েজি ডিআর কঙ্গোর যুদ্ধবিধ্বস্ত পূর্বাঞ্চলে ধর্ষণের শিকার নারীদের চিকিৎসা ও ট্রমায় আক্রান্তদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সশস্ত্র সহিংসতায় আমরা দেখি যে নারীর দেহকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। ইরাক ও সিরিয়ায় কুর্দী ভাষাভাষী সম্প্রদায়কে টার্গেট করে আইএস জঙ্গীদের ভয়াবহতা থেকে মুক্তিলাভ করার পর মুরাদ ইয়াজিদিদের অধিকার আদায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে জঙ্গীদের হাতে আটক হওয়ার পর তাকে জোর করে বিয়ে, মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। পরে তিনি পালাতে সক্ষম হন। রবিবার তিনি বলেন, এই নোবেল হাজার হাজার নারী যারা এখনও জঙ্গীদের কাছে আটক রয়েছেন তাদের জন্য একটি প্রতীক। এই পুরস্কার কোনভাবেই সব সংঘাতের অবসান ঘটাবে না বরং হামলার শিকার সব নারী যারা গর্ভবতী হয়েছেন তাদের, শিশুদের ও নারীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। এটি সবার জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দেবে যাতে সরকারের জন্য আমরা কিছু করতে পারি। যাতে আদালতের সামনে অভিযুক্তদের হাজির করা যায়। এজন্য আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে এবং আসলে যা ঘটছে তা বন্ধ করবে।
×