ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসআইর সঙ্গে তারেকের আর পাকি হাইকমিশনে ফখরুলের বৈঠক ষড়যন্ত্রের অংশ ॥ আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৮

 আইএসআইর সঙ্গে তারেকের আর পাকি হাইকমিশনে ফখরুলের বৈঠক ষড়যন্ত্রের অংশ ॥ আওয়ামী লীগ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আইএসআইর বৈঠক এবং পাকিস্তান হাইকমিশনে মির্জা ফখরুলের গোপন বৈঠক নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। রবিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেক রাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে কারও দূতাবাসে যাতায়াত থাকতেই পারে। তবে বিজয়ের এই মাসে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে পাকিস্তান হাইকমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত জনমনে প্রশ্নের সঞ্চার করে। একদিকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর গোপন বৈঠক, অন্যদিকে পাকিস্তান হাইকমিশনে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাত ও গোপন বৈঠক ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়। আর এই দুই বৈঠক একই সূত্রে গাঁথা। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি, এই সাক্ষাতে আসন্ন নির্বাচন বানচাল ষড়যন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতি বিনষ্টে দুরভিসন্ধি। বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, গত দু’দিনে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে সারাদেশে তাদের নেতাকর্মীরা যে সন্ত্রাস ও অগ্নিকান্ড চালাচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে আমরা দেখতে পাই বিএনপির গুলশান ও পল্টন কার্যালয়ে ভাংচুর। এই হামলা আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশকেই বিঘ্নিত করে না, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সুষ্ঠু ধারাকেও ব্যাহত করে। বিএনপি একটি কর্পোরেট সংস্থা দাবি করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বিএনপি নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে কি ধরনের বাণিজ্য করেছে। একটি রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে এ ধরনের বাণিজ্য হতে পারে না। এ থেকে বোঝা যায়, বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি কর্পোরেট সংস্থা। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্যের প্রেক্ষিতেই বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মাধ্যমে দলের নেতৃত্বের ওপর আস্থাহীনতাই প্রকাশ পায়। এমন মনোনয়ন বাণিজ্যের নেতৃত্বে আছেন মির্জা ফখরুল ও রুহুল কবির রিজভী। যার নেপথ্যের নায়ক সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান। একটি নীতিভ্রষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে দেশের জনগণ এর বেশি কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না বলেই আমরা মনে করি। বিএনপির জামায়াতের সঙ্গে সখ্য প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, আমরা বারবার বলে এসেছি, বিএনপির সঙ্গে জামায়াত জোট কোন রাজনৈতিক জোট নয়, বরং এটা ‘আদর্শিক’। বিএনপির প্রধান শরিক ঐক্যফ্রন্ট নয়, জামায়াত। জামায়াতের সঙ্গে মনোনয়ন ভাগাভাগির মধ্য দিয়েই আবারও সেটা প্রমাণিত। আপনারা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছেন শরিক হিসেবে জামায়াত আসন পেয়েছে ২৩ আর ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ১৭। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া অবিচ্ছেদ্য। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, যে ক’জন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুই থেকে তিনজন বাকি আছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের। আশা করছি বাকিগুলো আজকে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোলা চিঠির আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×